ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কমছেই না পেঁয়াজের ঝাঁজ, সবজির দামও চড়া

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪৯৫ টাইম ভিউ

রাজধানীর বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজ এলেও এখনো কমেনি ঝাঁজ। এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে চাল ও আদার। আলু, ডিম, আটা, ময়দা, এলাচ এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। একমাত্র পেঁপে ছাড়া বাকি সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ টাকা ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপের কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে আসলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই খুচরা বাজারেও চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, কলমিলতা, কচুখেত বাজার, শান্তিনগর সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চিকন চালের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের নাজির ও মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। মোটা স্বর্ণ চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আটা প্রতি কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ময়দাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। সয়াবিন তৈল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। এছাড়া ৪৩০ টাকার ৫ লিটারের সয়াবিন তৈল ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মুসরের ডাল কেজি প্রতি ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নেপালি ডাল ১২৫ টাকা দরে। মুগডাল ১৩০ টাকায়। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি রসুন ১৭০ টাকা কেজি। হলুদ গুড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। শুকনা মরিচ কেজিতে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাক সবজি

শীতের সবজি সাদা ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি শিমেরও দাম। প্রকারভেদে শিমের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কালচে ও সাদা বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৬০, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একই দামে শশাও বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি আলু কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের কাঁচা মরিচের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাল শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংস

রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতলা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পুঁটি মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, টেংড়া মাছ কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে কোথাও কোথাও ১২৫ টাকা দরেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

কমছেই না পেঁয়াজের ঝাঁজ, সবজির দামও চড়া

আপডেটের সময় : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

রাজধানীর বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজ এলেও এখনো কমেনি ঝাঁজ। এছাড়া বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে চাল ও আদার। আলু, ডিম, আটা, ময়দা, এলাচ এবং ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। একমাত্র পেঁপে ছাড়া বাকি সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ টাকা ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপের কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে আসলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি বাজারে দাম বেশি। তাই খুচরা বাজারেও চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, কলমিলতা, কচুখেত বাজার, শান্তিনগর সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চিকন চালের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের নাজির ও মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। মোটা স্বর্ণ চাল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আটা প্রতি কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ময়দাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৮ টাকায়। সয়াবিন তৈল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। এছাড়া ৪৩০ টাকার ৫ লিটারের সয়াবিন তৈল ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মুসরের ডাল কেজি প্রতি ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নেপালি ডাল ১২৫ টাকা দরে। মুগডাল ১৩০ টাকায়। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি রসুন ১৭০ টাকা কেজি। হলুদ গুড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। শুকনা মরিচ কেজিতে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাক সবজি

শীতের সবজি সাদা ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি শিমেরও দাম। প্রকারভেদে শিমের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কালচে ও সাদা বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৬০, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একই দামে শশাও বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি আলু কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। একটু নিম্নমানের কাঁচা মরিচের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাল শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংস

রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতলা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পুঁটি মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, টেংড়া মাছ কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও শোল মাছ প্রতি পিস ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে কোথাও কোথাও ১২৫ টাকা দরেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়।