ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

কুলাউড়ার কাদিপুর ইউপি সচিবকে ব্ল্যাকমেইল করলেন উদ্যোক্তা!সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
  • / ৬০১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের (সদ্য অব্যাহতি পাওয়া) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সুকুমার মল্লিক ওই ইউনিয়নের সচিবকে একটি ছবির মাধ্যমে ব্লেকমেইল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন সচিব উত্তম কুমার পালিত।

সংবাদ সম্মেলনে উত্তম কুমার বলেন, ২০১৬ সালে অফিস সময় শেষে মনের অজান্তে ভুলবশত আমি অপ্রস্তুত অবস্থায় চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে ছিলাম। গোপনে ছবিটি সুকুমার তার মোবাইল ফোনে তুলে রাখেন। তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মরহুম মানিক মিয়া পরিষদের অন্যান্যদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন। ওই সময় আমার ভুলের কথা স্বীকার করে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। কিন্তু সুকুমার থামেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবিটি প্রকাশ করে দিবেন বলে বারবার আমাকে হুমকি দিতেন। দফায় দফায় হুমকি দিয়ে সুকুমার আমার কাছ থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে ইউনিয়ন পরিষদে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আমি লোকলজ্জা এবং নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে দেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের পরমুহূর্তে ইউনিয়নের কম্পিউটার ব্যবহার করে সুকুমার কাদিপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে নিবন্ধনের সময় ইচ্ছাকৃত ভুল করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি ইউনিয়নের নামে নিবন্ধন করেন। পরবর্তি সময়ে ঢাকা অফিস থেকে আমার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে আমি ইউনিয়ন পরিষদের সকলকে বিষয়টি অবহিত করি। এবং তিনদিন সময় ব্যয় করে ওই নিবন্ধনগুলো পুনরায় কাদিপুর ইউনিয়নের ঠিকানায় নিবন্ধন করি। এছাড়াও নানা সময় সুকুমার উপজেলা শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে শীল-স্বাক্ষর জাল করে জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট প্রদান করতেন। এসব কাজে তিনি সরকারী নির্ধারিত ফি থেকে দ্বিগুন-তিনগুণ বেশি টাকা নিয়ে ইউনিয়নের বাসিন্দাদের হয়রানী করেছেন। এমনকি জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়ানো ও কমানোর নামে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারগন সাধারণ সভা আহ্বান করে সর্বসম্মতিক্রমে সুকুমারকে অব্যাহতি প্রদান করে রেজুলেশন গৃহিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাতির মিয়া বলেন, অফিসের মহিলা উদ্যোক্তার সাথে অনৈতিক প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিষদের সকলের সম্মতিক্রমে এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। সুকুমার নানা অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলো। আমি নিজে তাকে অনেক সময় সতর্ক করেছিলাম। সুকুমারের অব্যাহতি হওয়ার বিষয়ে ইউপি সচিবের কোন হাত নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা (সদ্য অব্যাহতি হওয়া) সুকুমার মল্লিক বলেন, জন্মনিবন্ধন অনলাইনে নিবন্ধন করার এখতিয়ার ইউপি সচিবের। উনি যেগুলো সংশোধন করার কথা বলেন আমি সেগুলো করেছি। এখানে আমি কিভাবে দূর্নীতি করবো? পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ছবিক্যাপশন- কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সচিব উত্তম কুমার পালিত। পাশে বসে আছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাতির মিয়া।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার কাদিপুর ইউপি সচিবকে ব্ল্যাকমেইল করলেন উদ্যোক্তা!সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

আপডেটের সময় : ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯

দেশদিগন্ত : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের (সদ্য অব্যাহতি পাওয়া) ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সুকুমার মল্লিক ওই ইউনিয়নের সচিবকে একটি ছবির মাধ্যমে ব্লেকমেইল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন সচিব উত্তম কুমার পালিত।

সংবাদ সম্মেলনে উত্তম কুমার বলেন, ২০১৬ সালে অফিস সময় শেষে মনের অজান্তে ভুলবশত আমি অপ্রস্তুত অবস্থায় চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে ছিলাম। গোপনে ছবিটি সুকুমার তার মোবাইল ফোনে তুলে রাখেন। তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মরহুম মানিক মিয়া পরিষদের অন্যান্যদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন। ওই সময় আমার ভুলের কথা স্বীকার করে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। কিন্তু সুকুমার থামেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছবিটি প্রকাশ করে দিবেন বলে বারবার আমাকে হুমকি দিতেন। দফায় দফায় হুমকি দিয়ে সুকুমার আমার কাছ থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে ইউনিয়ন পরিষদে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। আমি লোকলজ্জা এবং নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে দেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের পরমুহূর্তে ইউনিয়নের কম্পিউটার ব্যবহার করে সুকুমার কাদিপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে নিবন্ধনের সময় ইচ্ছাকৃত ভুল করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি ইউনিয়নের নামে নিবন্ধন করেন। পরবর্তি সময়ে ঢাকা অফিস থেকে আমার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে আমি ইউনিয়ন পরিষদের সকলকে বিষয়টি অবহিত করি। এবং তিনদিন সময় ব্যয় করে ওই নিবন্ধনগুলো পুনরায় কাদিপুর ইউনিয়নের ঠিকানায় নিবন্ধন করি। এছাড়াও নানা সময় সুকুমার উপজেলা শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে শীল-স্বাক্ষর জাল করে জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট প্রদান করতেন। এসব কাজে তিনি সরকারী নির্ধারিত ফি থেকে দ্বিগুন-তিনগুণ বেশি টাকা নিয়ে ইউনিয়নের বাসিন্দাদের হয়রানী করেছেন। এমনকি জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়ানো ও কমানোর নামে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারগন সাধারণ সভা আহ্বান করে সর্বসম্মতিক্রমে সুকুমারকে অব্যাহতি প্রদান করে রেজুলেশন গৃহিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাতির মিয়া বলেন, অফিসের মহিলা উদ্যোক্তার সাথে অনৈতিক প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিষদের সকলের সম্মতিক্রমে এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। সুকুমার নানা অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলো। আমি নিজে তাকে অনেক সময় সতর্ক করেছিলাম। সুকুমারের অব্যাহতি হওয়ার বিষয়ে ইউপি সচিবের কোন হাত নেই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা (সদ্য অব্যাহতি হওয়া) সুকুমার মল্লিক বলেন, জন্মনিবন্ধন অনলাইনে নিবন্ধন করার এখতিয়ার ইউপি সচিবের। উনি যেগুলো সংশোধন করার কথা বলেন আমি সেগুলো করেছি। এখানে আমি কিভাবে দূর্নীতি করবো? পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ছবিক্যাপশন- কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সচিব উত্তম কুমার পালিত। পাশে বসে আছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাতির মিয়া।