ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মুসলিম কমিউনিটি মৌলভীবাজার এর কমিটি গঠন পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা

জ্যাকসন হাইটসে গভীর রাতে পার্কিং নিয়ে মারামারি ২ জন গ্রেফতার

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৭২০ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদের প্রিয় জায়গা পরিণত হয়েছে জ্যাকসন হাইটস। এখন নিউইয়র্কের বাংলাদেশীদের তীর্থ স্থান হচ্ছে জ্যাকসন হাইটস। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই জ্যাকসন হাইটসে এক সময় ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তোলে। যদিও এই স্থানটি এক সময় ভারতীয় এবং পাকিস্তানীদের দখলে ছিলো। তার আগে জ্যাকসন হাইটসটি স্প্যানিসদের দখলে ছিলো। এই এলাকায় মূলত: ছিলো গো- গো বার। ভয়ে কেউ রুজভেল্ট থেকে নিচের দিকে আসতো না। বাংলাদেশী, ভারতীয় এবং পাকিস্তানীরা আসার ফলে স্প্যানিসরা তাদের বারের ব্যবসা ছেড়ে চলে যায়। তখন জ্যাকসন হাইটস বলতে বুঝাতো ৭৪ স্ট্রিট। নব্বই -এর দশকে বাংলাদেশীরা ৭৩ স্ট্রিটে ব্যবসা শুরু করে। এখন পুরো জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশীদের ব্যবসা- বাণিজ্য এবং অফিস আদালত রয়েছে।
ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি এখন রাজনৈতিক কেন্দ্র বিন্দুতেও জ্যাকসন হাইটস এগিয়ে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি রয়েছে আমেরিকায়। তবে সব স্টেটে কমিটি থাকলেও নিউইয়র্ক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সরগরম। প্রতিদিনই সভা, সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল থাকে জ্যাকসন হাইটসে। আবার দলের প্রধানরা যখন নিউইয়র্ক আসেন তখন জ্যাকসন হাইটসেই অস্থায়ী অফিস করা হয়। নিউইয়র্কে থাকেন আর জ্যাকসন হাইটসে আসেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রিয় জ্যাকসন হাইটস অনেক সময় ভীতির জ্যাকসন হাইটসে রূপ নেয়। পার্কিং নিয়ে মারামারি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মাঝেমাধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মারামারির ঘটনায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটে পুলিশ ডাকাডাকির ঘটনা। অনেক সময় গ্রেফতারও করা হয়। এররমই একটি ঘটনা ঘটেছে গত ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে। ঘটনার সূত্রপাত টিএলসির ড্রাইভার শামীম হোসেনের সাথে যুব লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের এক নেতা মোসায়েদ চৌধুরীর বাকবিতন্ডা শুরু হয় গাড়ির পার্কিং নিয়ে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে। এ সময় মোসায়েদ চৌধুরী শামীম হোসেনের মুখে প্রচণ্ড ঘুষি মারেন। ঘুষিতে শামীমের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে পড়ে। এই সময় ধাক্কাধাক্কি এবং চিল্লাচিল্লিতে পালিকি পার্টি সেন্টারে সভায় উপস্থিত থাকা যুব লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীও ছুটে আসেন। পুরো এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আশেপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। অনেকেই চেষ্টা করছিলেন উত্তেজনা প্রশমনে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। শামীম হোসেন পুলিশ ডাকলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মোসায়েদ চৌধুরী ও শামীম হোসেন গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারের দুই ঘন্টার মধ্যে শামীম হোসেনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে ছেড়ে দেয়া হয় মোসায়েদ চৌধুরীকে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জ্যাকসন হাইটসবাসী। তারা বলেন, বাইরে থেকে লোকজন মারামারি করে তাতে করে জ্যাকসন হাইটসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন বললেন, যখন বাংলাদেশ থেকে দলের প্রধানরা আসেন, তখনই নিজেদের গ্রুপিং এর কারণে তারা জ্যাকসন হাইটসে এসে মারামারি করেন। তাতে করে জ্যাকসন হাইটসের ক্ষতি হচ্ছে। তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের মারামারি না করার আহবান জানান।

পোস্ট শেয়ার করুন

জ্যাকসন হাইটসে গভীর রাতে পার্কিং নিয়ে মারামারি ২ জন গ্রেফতার

আপডেটের সময় : ০১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদের প্রিয় জায়গা পরিণত হয়েছে জ্যাকসন হাইটস। এখন নিউইয়র্কের বাংলাদেশীদের তীর্থ স্থান হচ্ছে জ্যাকসন হাইটস। প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই জ্যাকসন হাইটসে এক সময় ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তোলে। যদিও এই স্থানটি এক সময় ভারতীয় এবং পাকিস্তানীদের দখলে ছিলো। তার আগে জ্যাকসন হাইটসটি স্প্যানিসদের দখলে ছিলো। এই এলাকায় মূলত: ছিলো গো- গো বার। ভয়ে কেউ রুজভেল্ট থেকে নিচের দিকে আসতো না। বাংলাদেশী, ভারতীয় এবং পাকিস্তানীরা আসার ফলে স্প্যানিসরা তাদের বারের ব্যবসা ছেড়ে চলে যায়। তখন জ্যাকসন হাইটস বলতে বুঝাতো ৭৪ স্ট্রিট। নব্বই -এর দশকে বাংলাদেশীরা ৭৩ স্ট্রিটে ব্যবসা শুরু করে। এখন পুরো জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশীদের ব্যবসা- বাণিজ্য এবং অফিস আদালত রয়েছে।
ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি এখন রাজনৈতিক কেন্দ্র বিন্দুতেও জ্যাকসন হাইটস এগিয়ে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি রয়েছে আমেরিকায়। তবে সব স্টেটে কমিটি থাকলেও নিউইয়র্ক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সরগরম। প্রতিদিনই সভা, সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল থাকে জ্যাকসন হাইটসে। আবার দলের প্রধানরা যখন নিউইয়র্ক আসেন তখন জ্যাকসন হাইটসেই অস্থায়ী অফিস করা হয়। নিউইয়র্কে থাকেন আর জ্যাকসন হাইটসে আসেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রিয় জ্যাকসন হাইটস অনেক সময় ভীতির জ্যাকসন হাইটসে রূপ নেয়। পার্কিং নিয়ে মারামারি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মাঝেমাধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মারামারির ঘটনায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটে পুলিশ ডাকাডাকির ঘটনা। অনেক সময় গ্রেফতারও করা হয়। এররমই একটি ঘটনা ঘটেছে গত ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে। ঘটনার সূত্রপাত টিএলসির ড্রাইভার শামীম হোসেনের সাথে যুব লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের এক নেতা মোসায়েদ চৌধুরীর বাকবিতন্ডা শুরু হয় গাড়ির পার্কিং নিয়ে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি চলতে থাকে। এ সময় মোসায়েদ চৌধুরী শামীম হোসেনের মুখে প্রচণ্ড ঘুষি মারেন। ঘুষিতে শামীমের নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে পড়ে। এই সময় ধাক্কাধাক্কি এবং চিল্লাচিল্লিতে পালিকি পার্টি সেন্টারে সভায় উপস্থিত থাকা যুব লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীও ছুটে আসেন। পুরো এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আশেপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। অনেকেই চেষ্টা করছিলেন উত্তেজনা প্রশমনে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। শামীম হোসেন পুলিশ ডাকলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মোসায়েদ চৌধুরী ও শামীম হোসেন গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতারের দুই ঘন্টার মধ্যে শামীম হোসেনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে ছেড়ে দেয়া হয় মোসায়েদ চৌধুরীকে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় জ্যাকসন হাইটসবাসী। তারা বলেন, বাইরে থেকে লোকজন মারামারি করে তাতে করে জ্যাকসন হাইটসের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন বললেন, যখন বাংলাদেশ থেকে দলের প্রধানরা আসেন, তখনই নিজেদের গ্রুপিং এর কারণে তারা জ্যাকসন হাইটসে এসে মারামারি করেন। তাতে করে জ্যাকসন হাইটসের ক্ষতি হচ্ছে। তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের মারামারি না করার আহবান জানান।