ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইরানের সাহস দেখলো পুরো বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র টের টের পেলো ইরানের শক্তি ৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

অনিয়মই যেনো নিয়ম ইবনেসিনা হাসপাতাল সোবহানিঘাট, সিলেট

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • / ৫৯৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক: ফেসবুক এরখম স্টেটাস নিয়মিত দেখা যায় প্রবাসী আব্দুল আওয়াল এর ফেসবুক স্টেটাস হবুহু তুলে ধরা হলো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণমূলক পোস্ট।

আজ বাদ মাগরিব ডাক্তার সাহেবের ব্যবস্হাপত্র নিয়ে ঔষধ ক্রয় করতে নীচতলাতে থাকা ফার্মেসিতে যাই।ক্রয়কৃত ঔষধের মধ্য থেকে একটি ইনজেকশন (স্লিপ সহ)দিয়ে কাউন্টার থেকে জরুরী বিভাগ দেখিয়ে দিয়ে বলা হলো সেখানে ইনজেকশনটি (পুশ)দিয়ে দেয়ার জন্যে। সেখানে গেলে কর্তব্যরত সেবক বললেন কাউন্টার থেকে আরেকটি টিকেট নিয়ে আসার জন্যে। OPD থেকে বিল পরিশোধ পূর্বক টিকিট নিয়ে ঐ সেবকের নিকট পুণ:রায় যাই। যার কাছে আমার ব্যবস্হাপত্র ও ইনজেকশন রয়েছে।সেখানে গিয়ে টিকিট দিয়ে কিছু সময় দাড়িয়ে রইলাম। কর্তব্যরত ব্যক্তিগণ আমার দিকে কর্ণপাত না করে অন্যান্য লোকজনদের কাগজপত্র নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত রয়েছেন।ইতিমধ্যে আমার কাগজ ও ইনজেকশন নীচে পড়ছে এলোমেলো হচ্ছে।আবার ও দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আমার পরিশোধিত বিলের কাগজটি রেখে অন্যান্য কাগজপত্র ইনজেকশন আমার হাতে ফেরত দিয়ে পরিশোধিত বিলের কাগজটি তাঁদের রেজিস্টার /ফাইলের ভিতরে রেখে দিলেন।
আমি অনেকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে থেকে কয়েকবার আমার বিষয়ে নজর দিতে বিষয়টি সরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম। সন্তোষজনক কোন উত্তর না পেয়ে আমি বললাম, ভাই! আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছি না। (আমার পায়ে ভীষণ ব্যাথা ছিল) আমার কাগজ ফেরত দিয়ে দিন। তৎক্ষণাৎ সেবকটি মেজাজের ভঙ্গিতে কাগজে কি যেনো লিখে বললেন, যান, কাউন্টার থেকে আপনার বিল ফেরত নিয়ে যান।বিষয়টি আমার নিকট অত্যান্ত অশুভন মনে হলো। কাগজ হাতে নিয়ে কাউন্টারে গেলে সেখান থেকে বলা হলো, আপনি পরিচালকের নিকট যান। অত:পর আমি সম্মানীত পরিচালকের নিকট নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে তিনি নিজে গিয়ে আমাকে ইনজেকশন পুশ করার ব্যবস্হা করিয়ে দেন।
আজ ইবনে-সিনা হাসপাতালের মতো একটি প্রবল বিশ্বাসের জায়গাতে আমি নিজেই এমন আচরণ আর পরিস্হিতির স্বীকার হয়ে অত্যান্ত আশাহত ব্যাতিত মর্মাহত হয়েছি। এটাতো সরকারী কিংবা বিনামূল্যে সেবা পাওয়ার কোন প্রতিষ্ঠান নয়। তবুও কেন এমন আচরণ? এখানেও শক্তের ভক্ত আচরণ হবে তা কখনো ভাবিনি। জরুরী বিভাগে আগন্তুক রোগী বসার জন্যে রয়েছে মাত্র দু”টি চেয়ার। যেখানে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি অনেককে। আমি নিজেও অনেক কষ্ট করে দাড়িয়ে ছিলাম। সেখানে বসার জন্যে আরো কিছু চেয়ার থাকা আবশ্যক। সেবকদের শিষ্টাচারে আন্তরিক হওয়া আবশ্যক।মনে রাখা দরকার:মানুষ সেখানে টাকা খরচ করে যায় কিছুটা ভালো সেবা কিংবা আচরণ পাওয়ার আশায়।
উপরোক্ত বিষয়ে উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
(আমার এ নগন্য লিখাটুকু যাদের নজরে পড়বে,তাঁদের মধ্য থেকে যদি এমন কেহ থাকেন যে,বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে দিতে পারার সামর্থ রাখেন, দয়া করে জনস্বার্থে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছে দিতে বিনীত অনুরোধ করছি

পোস্ট শেয়ার করুন

অনিয়মই যেনো নিয়ম ইবনেসিনা হাসপাতাল সোবহানিঘাট, সিলেট

আপডেটের সময় : ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত ডেস্ক: ফেসবুক এরখম স্টেটাস নিয়মিত দেখা যায় প্রবাসী আব্দুল আওয়াল এর ফেসবুক স্টেটাস হবুহু তুলে ধরা হলো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণমূলক পোস্ট।

আজ বাদ মাগরিব ডাক্তার সাহেবের ব্যবস্হাপত্র নিয়ে ঔষধ ক্রয় করতে নীচতলাতে থাকা ফার্মেসিতে যাই।ক্রয়কৃত ঔষধের মধ্য থেকে একটি ইনজেকশন (স্লিপ সহ)দিয়ে কাউন্টার থেকে জরুরী বিভাগ দেখিয়ে দিয়ে বলা হলো সেখানে ইনজেকশনটি (পুশ)দিয়ে দেয়ার জন্যে। সেখানে গেলে কর্তব্যরত সেবক বললেন কাউন্টার থেকে আরেকটি টিকেট নিয়ে আসার জন্যে। OPD থেকে বিল পরিশোধ পূর্বক টিকিট নিয়ে ঐ সেবকের নিকট পুণ:রায় যাই। যার কাছে আমার ব্যবস্হাপত্র ও ইনজেকশন রয়েছে।সেখানে গিয়ে টিকিট দিয়ে কিছু সময় দাড়িয়ে রইলাম। কর্তব্যরত ব্যক্তিগণ আমার দিকে কর্ণপাত না করে অন্যান্য লোকজনদের কাগজপত্র নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত রয়েছেন।ইতিমধ্যে আমার কাগজ ও ইনজেকশন নীচে পড়ছে এলোমেলো হচ্ছে।আবার ও দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আমার পরিশোধিত বিলের কাগজটি রেখে অন্যান্য কাগজপত্র ইনজেকশন আমার হাতে ফেরত দিয়ে পরিশোধিত বিলের কাগজটি তাঁদের রেজিস্টার /ফাইলের ভিতরে রেখে দিলেন।
আমি অনেকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে থেকে কয়েকবার আমার বিষয়ে নজর দিতে বিষয়টি সরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলাম। সন্তোষজনক কোন উত্তর না পেয়ে আমি বললাম, ভাই! আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছি না। (আমার পায়ে ভীষণ ব্যাথা ছিল) আমার কাগজ ফেরত দিয়ে দিন। তৎক্ষণাৎ সেবকটি মেজাজের ভঙ্গিতে কাগজে কি যেনো লিখে বললেন, যান, কাউন্টার থেকে আপনার বিল ফেরত নিয়ে যান।বিষয়টি আমার নিকট অত্যান্ত অশুভন মনে হলো। কাগজ হাতে নিয়ে কাউন্টারে গেলে সেখান থেকে বলা হলো, আপনি পরিচালকের নিকট যান। অত:পর আমি সম্মানীত পরিচালকের নিকট নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললে তিনি নিজে গিয়ে আমাকে ইনজেকশন পুশ করার ব্যবস্হা করিয়ে দেন।
আজ ইবনে-সিনা হাসপাতালের মতো একটি প্রবল বিশ্বাসের জায়গাতে আমি নিজেই এমন আচরণ আর পরিস্হিতির স্বীকার হয়ে অত্যান্ত আশাহত ব্যাতিত মর্মাহত হয়েছি। এটাতো সরকারী কিংবা বিনামূল্যে সেবা পাওয়ার কোন প্রতিষ্ঠান নয়। তবুও কেন এমন আচরণ? এখানেও শক্তের ভক্ত আচরণ হবে তা কখনো ভাবিনি। জরুরী বিভাগে আগন্তুক রোগী বসার জন্যে রয়েছে মাত্র দু”টি চেয়ার। যেখানে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি অনেককে। আমি নিজেও অনেক কষ্ট করে দাড়িয়ে ছিলাম। সেখানে বসার জন্যে আরো কিছু চেয়ার থাকা আবশ্যক। সেবকদের শিষ্টাচারে আন্তরিক হওয়া আবশ্যক।মনে রাখা দরকার:মানুষ সেখানে টাকা খরচ করে যায় কিছুটা ভালো সেবা কিংবা আচরণ পাওয়ার আশায়।
উপরোক্ত বিষয়ে উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
(আমার এ নগন্য লিখাটুকু যাদের নজরে পড়বে,তাঁদের মধ্য থেকে যদি এমন কেহ থাকেন যে,বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে দিতে পারার সামর্থ রাখেন, দয়া করে জনস্বার্থে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌছে দিতে বিনীত অনুরোধ করছি