ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ভাইরাল, সাংবাদিককে হুমকি!

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯
  • / ৬৩২ টাইম ভিউ

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসের ঘুষ প্রদানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওটি সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রকাশ করায় কুলাউড়ায় কর্মরত সাংবাদিক এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিলেন মৌলভীবাজারের মতিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। ১ জুলাই সোমবার বেলা পৌণে তিনটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ওইসময় মতিউর নিজেকে একজন গাড়ি ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। জানা যায়, গত রোববার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে এক ব্যক্তির হাত থেকে নগদ টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। প্রকাশিত সেই ভিডিওটি পরে সাংবাদিক এস আলম সুমন স্থানীয় পত্রিকা সীমান্তের ডাকের ফেসবুক পেইজ ‘সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক’-এ প্রকাশ করেন। পরে ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোন করে এ হুমকি প্রদান করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক এস আলম সুমন বলেন, মতিউর রহমান আমাকে কল করেই উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন। আমি কেন ভিডিওটি প্রকাশ করলাম প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে গাড়ি শোরুম ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আমাকে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করেন। সুমন বলেন, উনাকে বিআরটিএ অফিসে নগদ লেনদেনের বিষয়টি আইনে আছে কি না জানতে চাইলে আমাকে বলেন ‘কোন আইনে আছে নগদ টাকা লেনদেন করা যাবেনা। আমার টাকা দেয়ার ভিডিও রেকর্ড ও ফেসবুকে দেওয়ায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলা করবো ও দেখে নেবো। আমি বিদেশে গাড়ি ব্যবসা করেছি দেশে গাড়ি ব্যবসা করছি। আমাকে এক নামে সবাই চেনে। আমাকে চেনোনা এর জন্য দেখে নেবো।’ এবিষয়ে ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। ওইদিন আমার স্বজন এক রোগীকে নিয়ে সিলেটে যাওয়ার সময় বিআরটিএ অফিসে যাই। সেখানে আমার একটা লাইসেন্সের জন্য চালানের টাকা ওই ব্যক্তিটিকে দিয়েছি। ওই সময় কেউ একজন অন্যায়ভাবে সেই ভিডিওটি করে। সেই ভিডিওটি এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি কাউকে ঘুষ দেই নি।

পোস্ট শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ভাইরাল, সাংবাদিককে হুমকি!

আপডেটের সময় : ০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

কুলাউড়া প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসের ঘুষ প্রদানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওটি সংগ্রহ করে ফেইসবুকে প্রকাশ করায় কুলাউড়ায় কর্মরত সাংবাদিক এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিলেন মৌলভীবাজারের মতিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। ১ জুলাই সোমবার বেলা পৌণে তিনটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ওইসময় মতিউর নিজেকে একজন গাড়ি ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। জানা যায়, গত রোববার (৩০ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিসে এক ব্যক্তির হাত থেকে নগদ টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। প্রকাশিত সেই ভিডিওটি পরে সাংবাদিক এস আলম সুমন স্থানীয় পত্রিকা সীমান্তের ডাকের ফেসবুক পেইজ ‘সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক’-এ প্রকাশ করেন। পরে ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে এস আলম সুমনকে মোবাইল ফোন করে এ হুমকি প্রদান করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক এস আলম সুমন বলেন, মতিউর রহমান আমাকে কল করেই উত্তেজিত হয়ে কথা বলছিলেন। আমি কেন ভিডিওটি প্রকাশ করলাম প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে গাড়ি শোরুম ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আমাকে মামলা ও দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করেন। সুমন বলেন, উনাকে বিআরটিএ অফিসে নগদ লেনদেনের বিষয়টি আইনে আছে কি না জানতে চাইলে আমাকে বলেন ‘কোন আইনে আছে নগদ টাকা লেনদেন করা যাবেনা। আমার টাকা দেয়ার ভিডিও রেকর্ড ও ফেসবুকে দেওয়ায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলা করবো ও দেখে নেবো। আমি বিদেশে গাড়ি ব্যবসা করেছি দেশে গাড়ি ব্যবসা করছি। আমাকে এক নামে সবাই চেনে। আমাকে চেনোনা এর জন্য দেখে নেবো।’ এবিষয়ে ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। ওইদিন আমার স্বজন এক রোগীকে নিয়ে সিলেটে যাওয়ার সময় বিআরটিএ অফিসে যাই। সেখানে আমার একটা লাইসেন্সের জন্য চালানের টাকা ওই ব্যক্তিটিকে দিয়েছি। ওই সময় কেউ একজন অন্যায়ভাবে সেই ভিডিওটি করে। সেই ভিডিওটি এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি কাউকে ঘুষ দেই নি।