ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

খাল-নদীর পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী সব স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯
  • / ৫৮৩ টাইম ভিউ

নদী ও খাল-বিল ও সাগরের জোয়ারভাটার পানির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী সব ধরনের স্থাপনা অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সব জেলা প্রশাসককে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা পাঠাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহম্মদ শফিউল আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে জোয়ার ভাটার পানিও যেন বাধাহীনভাবে ওঠানামা করতে পারে সে বিষয়টি বাস্তবায়নেরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৮ আগস্ট) তেঁজগাওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এবারের বন্যা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থতি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এ সময় পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের কাছে বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তিনি।

পরিস্থিতি অবগত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, অনেক স্থানে খাল বিল দখল করে মাছের ঘের করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্রিজের নিচে ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে দেয়াল তৈরি করে পানি আটকে রেখে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় খাল-নদী দখল করে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জোয়ার ভাটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা। এ সব কারণে এবারের বন্যায় জনদুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছে।

জানা গেছে, এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সব যারা করেছেন তারা যতোই ক্ষমতাশালী হোক তা আমলে না নিয়ে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব অবকাঠামো, দেয়াল বা জঞ্জাল ভেঙে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসককে কার্যকর উদ্যোগ নিতে তিনি লিখিতভাবে নির্দেশ দিতে বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে। অবিলম্বে জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাঠানোরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

পোস্ট শেয়ার করুন

খাল-নদীর পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী সব স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেটের সময় : ০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

নদী ও খাল-বিল ও সাগরের জোয়ারভাটার পানির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী সব ধরনের স্থাপনা অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সব জেলা প্রশাসককে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা পাঠাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহম্মদ শফিউল আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে জোয়ার ভাটার পানিও যেন বাধাহীনভাবে ওঠানামা করতে পারে সে বিষয়টি বাস্তবায়নেরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৮ আগস্ট) তেঁজগাওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এবারের বন্যা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থতি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এ সময় পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের কাছে বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তিনি।

পরিস্থিতি অবগত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, অনেক স্থানে খাল বিল দখল করে মাছের ঘের করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্রিজের নিচে ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে দেয়াল তৈরি করে পানি আটকে রেখে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় খাল-নদী দখল করে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জোয়ার ভাটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা। এ সব কারণে এবারের বন্যায় জনদুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছে।

জানা গেছে, এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সব যারা করেছেন তারা যতোই ক্ষমতাশালী হোক তা আমলে না নিয়ে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব অবকাঠামো, দেয়াল বা জঞ্জাল ভেঙে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসককে কার্যকর উদ্যোগ নিতে তিনি লিখিতভাবে নির্দেশ দিতে বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে। অবিলম্বে জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাঠানোরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।