ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

এ মাসেই ৫০ হাজার শিক্ষককে বদলি করা হচ্ছে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯
  • / ৯৫১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ   গত কয়েক বছরে সরকার ২৬ হাজারের বেশি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে। ওই সব বিদ্যালয়ের প্রায় এক লাখ শিক্ষকের চাকরি সরকারি করা হয়েছে।

চলতি মার্চ মাসেই এসব শিক্ষকের মধ্য থেকে ৫০ হাজার শিক্ষককে বদলি করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নতুন জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের অর্ধেককে পুরনো সরকারি বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে। মার্চ মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এএফএম মনজুর কাদির বলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে সরকারি আদেশ জারি করা হবে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের বেশিরভাগের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

অনেকের যথাযথ প্রশিক্ষণও নেই। এসব ঘাটতির কারণে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে মানসম্মত পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।

রেজিস্ট্রার্ড ২৬ হাজার ১৯৩ স্কুল তিন ধাপে জাতীয়করণ হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপের স্কুলের প্রায় সব শিক্ষক এক বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপের দুই হাজার ৭০ এবং তৃতীয় ধাপের ৪৬০ স্কুলের কেউই এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ পাননি। ওই সব স্কুলে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক আছেন।

ইতোমধ্যে গত মাসেই বদলির নোটিশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপসচিব মাহবুবুর রশীদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ৩৬১৬৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার প্রেক্ষিতে ২৬১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উক্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণ করা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, বর্তমানে সারা দেশে ৬৫৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এর ৪ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে সরকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে নব্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়সমূহে শুধু আত্মীয়করণকৃত শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকায় উক্ত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান কাঙ্খিত মাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিটি বিদ্যালয় মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক ও নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন জরুরি বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

পুরাতন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটালে সারাদেশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে।

এতে আরো বলা হয়, এই অবস্থায় পুরাতন সরকারি প্রাথমিক হতে নিকটস্থ/পাশ্ববর্তী নব্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিকে বিদ্যালয়ে কিংবা নব্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক থেকে পুরাতন প্রাথমিকে বদলি করে বদলিকৃত শিক্ষকগণের তালিকাসহ প্রতিবেদন আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

পোস্ট শেয়ার করুন

এ মাসেই ৫০ হাজার শিক্ষককে বদলি করা হচ্ছে

আপডেটের সময় : ০৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ   গত কয়েক বছরে সরকার ২৬ হাজারের বেশি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে। ওই সব বিদ্যালয়ের প্রায় এক লাখ শিক্ষকের চাকরি সরকারি করা হয়েছে।

চলতি মার্চ মাসেই এসব শিক্ষকের মধ্য থেকে ৫০ হাজার শিক্ষককে বদলি করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নতুন জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের অর্ধেককে পুরনো সরকারি বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে। মার্চ মাসের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এএফএম মনজুর কাদির বলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে সরকারি আদেশ জারি করা হবে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের বেশিরভাগের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

অনেকের যথাযথ প্রশিক্ষণও নেই। এসব ঘাটতির কারণে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে মানসম্মত পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।

রেজিস্ট্রার্ড ২৬ হাজার ১৯৩ স্কুল তিন ধাপে জাতীয়করণ হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপের স্কুলের প্রায় সব শিক্ষক এক বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপের দুই হাজার ৭০ এবং তৃতীয় ধাপের ৪৬০ স্কুলের কেউই এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ পাননি। ওই সব স্কুলে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক আছেন।

ইতোমধ্যে গত মাসেই বদলির নোটিশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপসচিব মাহবুবুর রশীদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ৩৬১৬৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার প্রেক্ষিতে ২৬১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উক্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণ করা হয়।

নোটিশে আরো বলা হয়, বর্তমানে সারা দেশে ৬৫৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এর ৪ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে সরকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে নব্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়সমূহে শুধু আত্মীয়করণকৃত শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকায় উক্ত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান কাঙ্খিত মাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিটি বিদ্যালয় মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক ও নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন জরুরি বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

পুরাতন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটালে সারাদেশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে।

এতে আরো বলা হয়, এই অবস্থায় পুরাতন সরকারি প্রাথমিক হতে নিকটস্থ/পাশ্ববর্তী নব্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিকে বিদ্যালয়ে কিংবা নব্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক থেকে পুরাতন প্রাথমিকে বদলি করে বদলিকৃত শিক্ষকগণের তালিকাসহ প্রতিবেদন আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।