মৌলভীবাজারে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা
- আপডেটের সময় : ০৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০১৯
- / ৮৫৪ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ ঢাকার বিশেষ আদালতে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মৌলভীবাজারে অনলাইন পত্রিকার মশাহিদ আহমদ ও আব্দুল বাছিত খান নামক দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রবিবার এই মামলাটি দায়ের করেন কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি মাঞ্জুরুল হক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি তারিখে মৌলভীবাজারে শিল্প ও বাণিজ্যমেলায় কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষক আটক ও মুচলেকা দিয়ে মুক্ত শিরোনামে অনাবিল ডটকম ও অপরাধ অনুসন্ধান নামক দুটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনার সাথে প্রতিবেদনের কোনো মিল নেই। ফলে মামলার বাদি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি মাঞ্জুরুল হক অনলাইন পত্রিকা অনাবিল ডটকমের প্রতিনিধি মশাহিদ আহমদ ও অপরাধ অনুসন্ধানের প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খানের কাছে প্রথমে প্রতিবাদ ও পরে উকিল নোটিশ দেন। কিন্তু তারা উকিল নোটিশের কোনো জবাব না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ ঢাকার বিশেষ আদালতে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা (নং ৪৩/২০১৯) দায়ের করেন।
অনলাইন পত্রিকা অনাবিল ডটকমের প্রতিনিধি মশাহিদ আহমদ মৌলভীবাজার সদরের আনিকেলীবুদা গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র ও অপরাধ অনুসন্ধানের প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খান কমলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র।
মামলার বাদি অভিযোগে উল্লেখ করেন, উক্ত সাংবাদিকরা নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। তারা মৌলভীবাজারে শিল্প ও বাণিজ্যমেলায় কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের দুই শিক্ষক আটক ও মুচলেকা দিয়ে মুক্ত শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এই ঘটনার সাথে বাস্তবে কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি মাঞ্জুরুল হকের উক্ত ঘটনার সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে ছবি নিয়ে মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করে। এতে মামলার বাদী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মান-সম্মান বিনষ্ট হয়। তিনি সংবাদের প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদ না প্রকাশ করায় উকিল নোটিশ করেন। কিন্তু অভিযুক্ত সাংবাদিকরা উকিল নোটিশের কোনো জবাব দেননি। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং মামলা দায়ের করেন।
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ ঢাকার বিশেষ আদালতে মৌলভীবাজারে সাংবাদিকদের নামে এটি প্রথম মামলা বলে জানিয়েছেন উক্ত মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সোহেল ইসলাম খান।