বরাবরই তৃণমূল নেতা- কর্মিদের খবর রাখেন. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা….শাহ সাফী – সাধারন সম্পাদক গ্রেটের সিলেট কাউন্সিল ওয়ালের্স , ইউ কে
- আপডেটের সময় : ০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯
- / ১২৫৮ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেক্সঃ যে করেই হোক বা যেভাবেই হোক এবার নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা গঠন করে৷ দেখিয়ে দিলেন নজর রাখেন ইউনিয়ন থেকে উঠে আসা নেতা- কর্মিদের আবারও প্রমান রাখলেন উনি হাইভ্রিডদের আওয়ামীলীগে রাখলে দায়ীত্বপূর্ন পদে দেন না কখনও । শেখ হাসিনা এই দিকে নীতিচর্চা আগের মতই আছে , সে তৃণমূল নেতা- কর্মিদের দাবীই মেনেই দায়ীত্ব দেন ।এসব গল্প বলতে গেলে দেখা গেছে লোকে তা বিশ্বাস করতে চায় না । কিন্তু এদেশে অবিশ্বাস্য গল্পগুলো একবার নয় বারবারই সত্য হয় । আর এইবার এই অবিশ্বাস্য ঘটনা খুব সুক্ষ্ন ভাবে ঘটলো,তার প্রমান স্বরূপ উদাহরন দিতে মৌলভীবাজার -২ সংসদীয় আসনকেই তুলে ধরলাম ।আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মনসুর কে সংস্কারের কারনে যখন গত দুটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন দেয়নি । তখন তিনি অভিমানে ঐক্য প্রক্রিয়ার হয়ে মাত্র পাঁচ জনের সংগঠন নিয়ে গঠন করলেন ঐক্যফ্রন্ট । সুকৌশলে হয়ে উঠলেন ঐক্যফ্রন্টের নিতিনির্ধারকদের প্রভাবশালী একজন । এতোটাই প্রভাবশালী হলেন যে সিলেট ১ আসন চেয়ে বসেছিলেন যা রিতিমত হাস্যকর ।বড় দুটি দলই সিলেট ১ আসন কে হৃদয়ের মনিকোটায় স্হান দিয়ে থাকে সবসময় । বিএনপি উনাকে একসপ্তাহের ব্যাবধানে দিয়ে দিলো কুলাউড়া আসনটি। যে আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের পাঁচ হাজার ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলো,১৯৯৩ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী মৌলভীবাজারের কৃতী সন্তান এম সায়ফুর রহমানের হাত ধরে আমেরিকা থেকে বিএনপির রাজনীতি আর্বিভাব হয়ে কুলাউড়া বিএনপির কান্ডারী হন এম এম শাহীন ।তখনকার ১৭ ইউনিয়ন দ্বারা গঠিত কুলাউডা উপজেলার প্রত্যান্ত অন্চলে ঘুরে ঘুরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বিএনপি কে সুসংগঠিত করে তুলে ১৯৯৬ প্রায় ৩৬ হাজার ভোট পান বিএনপির হয়ে এম এম শাহীন ।হাল ধরলেন ,কিন্তু ভাগ্য অনুকুলে না থাকা ধরে রাখতে পারলে না , বহিস্কৃত হলেন ।এরপর ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নমিনেশন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হোন,তখন সুলতান মনসুর নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাকে পরাজিত করে এম এম শাহীন বিজয়ী হয়েছিলেন সতন্ত্র থেকে । কিছুদিন আগেও যখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ঢাকা কিংবা সিলেটে যা করতে পারে নি তা করেছিলেন কুলাউড়ায় এম এম শাহীন নেতৃত্বে ,নিয়মিত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরন করেছেন ঐসব আন্দোলনে। জেলও কাঠতে হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্য । আর অন্যদিকে একমাত্র সুলতান মনসুর আহমেদ সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন “ তারেক জিয়ার জন্মই আজন্ম পাপ “ । সেই শাহীনকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়ে – সুলতান মনসুরকেই ধানের শীষ প্রতিক দিয়ে দেয় বিএনপি । কথায় আছে “ঘরের ছেলে ল্যাংরাও ভালো” শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে ১০০% তাই করেন, সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্হায় জেলায় জেলায় গিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মিদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়ে থাকে । এখানেই পার্থক্য আওয়ামীলীগ সাথে বিএনপির। অন্যদিকে আওয়ামী নেত্রী পর্যবেক্ষন করছেন আওয়ামীলীগ থেকে বিতারিতদের কৌশল । তাই তো নেত্রীও জননন্দিত নেতা এম এম শাহীনকে লোপে নিতেও দেরী করেন নি । বিকল্পধারার যুক্তফ্রন্টে কৌশলে দিয়ে দেন নৌকার প্রতিক । কিন্তু তাতে কি হলো আওয়ামীলীগ বলে কথা আগেই লিখেছি সবসময়ই মূল্যায়ন করে তৃণমূল নেতা কর্মিদের মতামতকেই ।শেখ হাসিনা অবশ্যই বিভিন্ন জরিপে দেখেছেন কুলাউড়া বিএনপি কে ভাঙতে হলে এই সুযোগই এখন, সাথে সাথেই লোপে নিলেন এম এম শাহীন কে সিলেটের জনসভায় প্রকাশ্য বলেন দিলেন ধানের শীষে প্রার্থীক তুলে নিলাম নৌকায় । কারন উনি জানতেন কুলাউড়ায় বিএনপি কে কয়েক যোগের জন্য নেতৃত্বশূন্য করতে হলে তাই করতে হবে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে । স্হানীয় আওয়ামীদের শুরু হলো নতুন খেলা এম এম শাহীনের উত্তরসুরী বিএনপি নেতা- কর্মিদের গ্রেফতার করে ভেঙে দেওয়া হলো শাহীনের প্রতি বিশ্বাসের জায়গাঠুকুও । হেরে গেলেন আওয়ামী কৌশলের কাছে জিন্দাবাদের এম এম শাহীন । যাক যেখানে ছিলাম , সুলতান মনসুর যখন কথায় কথায় বলছিলেন শেখ মুজিবের উত্তরসুরী এবং আওয়ামীলীগের কর্মি এমন কি নির্বাচনের আগেরদিন সংবাদ সন্মেলনেও উনি পরিস্কারভাবে বলেছেন আমি আওয়ামীলীগের কর্মি , তখনও ছাত্রদল – যুবদল এবং বিএনপির দুই- তৃতীয়াংশ নেতা কর্মিরা যেভাবে সুলতান ভাই সুলতান বলেছেন উনারা তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামও ভূলে গেছেন তখন আবেগের আবরনে । তা নিয়ে অনেক সাবেক ছাত্রনেতারা বিরক্তিবোধ করেছেনও । যা প্রকাশ পায় গতকয়দিন আগে সিলেট মহানগর বিএনপির এক নেতার ফেসবুক স্টেটাস দেখে এমন অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এসব বলছেন ও লিখেছেন। সুলতান মনসুরের এধরনের কৌশল হতে পারে শেখ হাসিনার আস্হাভাজন কিংবা প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য । এমনটি হতে পারে বলেই অনেকেই মনে মন্তব্য করেছেন, যেখানে ঐক্যফ্রন্টের ছয় জনের সাথে কয়জন মানুষ আছে , নেই বললেই চলে সেখানে কাদের সিদ্দিক ও সুলতান মনসুররা নিধিরাম সর্দার হয়ে বসে গেলেন বিএনপির মতো বড় একটি দলের ঘাড়ে । আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু গ্রাম পর্যায়ের নেতা- কর্মিদের খবরাখবর রাখেন যেমন, থেমনি মূল্যায়নও করেন । তাই তো বার বার প্রমান দিতেছেন ইউনিয়ন ও পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে উঠে আসা দের মন্ত্রীপরিষদে ঠাঁই দিয়ে । সময়ের স্রোতে বয়ে যাচ্ছেই জীবনের মূল্যবান সময়, কতবার পূর্ণিমা-অমাবস্যার পালাবদল হচ্ছে এবং তা হবেই স্বাভাবিক নিয়মের পরিক্রমায় , দীর্ঘ সময়ে আনন্দের কত স্বপ্ন দেখা হয় এবং তা স্বপ্নভেঙ্গে যেতে হচ্ছে কালের বির্বতনে , কত বেদনা সইতে হয়েছে আরো সইতে হবে সব কথা এখানে লেখা সম্ভব হচ্ছে না হবেও না ।রাজনীতিতে আনন্দ-বেদনার লেগেই থাকবে, অসংখ্য ফুল দিয়ে মালা তৈরী করে গ্রিষ্মের দুপরের খরা রৌদ্রের ষ্টেশন ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে ছিলো যার গলায় পড়ানোর জন্য, তাকেই আজ গালী দিচ্ছে বেঈমান বলে । আর যাকে ভাই বলছে আওয়ামীদের কাছে সে জাতীয় বেঈমান হিসেবে গণ্য হচ্ছে । কিন্তু শেখ হাসিনা মির্জাফর চিনতে ভূল করেন না , তেমনি ভূল করেন না তৃণমূল নেতা- কর্মি রত্নদের চিনতেও ।
শেখ হাসিনা একজন বিখ্যাত এবং রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবে ইতিহাসখ্যাত হচ্ছেন একে একে উনার বুদ্ধমত্তা ও দূরদর্শিতার জন্য । মেডাম শেখ হাসিনা যাদের লালন করেছিলেন তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে ঐ লোক গুলি চরম নৈতিক । যার প্রমান দিলেন ড, কামাল – সুলতানরা ঐক্যফ্রন্টের নামে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করিয়ে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হয়েছে তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়ে । কিন্তু সব কথা কি বলা যায়! আনন্দের, বেদনার সব কাহিনী কি প্রকাশ করা যায় । আর কত শিখিয়ে দিবেন প্রধানমন্ত্রী উনি বলে ছেন আন্দোলনে সফল না হলে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবেন না,তবে শেষে তা বলতে পারি সারা বিশ্বের বিস্ময় আমাদের অহংকার শেখ হাসিনার কাছে তৃণমূল কর্মিরা মূল্যায়িত হোন তাই সত্য ও বাস্তবসম্মত ।
শাহ সাফী –
সাধারন সম্পাদক
গ্রেটের সিলেট কাউন্সিল ওয়ালের্স , ইউ কে ঃ