ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

কুলাউড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসীনতা…

দেশদিগন্ত ডেক্স
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ১৯৫৪ টাইম ভিউ

কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরীশংকর এলাকায় পিডিবির ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনের একটি খুঁটি গত ৪ মাস থেকে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় হেলে আছে। এলাকার লোকজন ঝুঁকিপূর্ন এ খুঁটির কথা কুলাউড়া বিদ্যুৎ অফিসে বার বার জানানোর পরও তাতে কোন সুফল হয়নি। ঝুঁকিপূর্ন এ খুঁটি উপড়ে পড়ে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এছাড়াও কুলাউড়া-বড়লেখা সড়কের পুশাইনগর বাজারের উত্তর পাশে রামপাশা এলাকায় একটি আকাশমনী জীবিত গাছের সাথে টানানো হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। এসব কিছু সাধারণ মানুষের নজরে আসলেও তা দেখছেননা বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুলাউড়া পুশাইনগর বাজার হয়ে ভূকশিমইল যাওয়ার রাস্তার পাশ দিয়ে টানা হয়েছে পিডিবির ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন। গত টানা বন্যায় এসব লাইনের অনেক খুঁটিরই নড়বড়ে অবস্থা হয়েছে। যার মধ্যে গৌরীশংকর এলাকায় রাস্তার পাশে একটি খুঁটি লাইনসহ হেলে পড়ে মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। লাইনসহ খুঁটিটি একেবারে রাস্তার উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। জয়চন্ডী ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন এ রাস্তা দিয়ে। যে কোন সময় খুঁটি উপড়ে পড়ে ঘটতে পারে প্রানঘাতী দূর্ঘটনা। বিষয়টি গত চার মাস থেকে বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। তাতে কোন কর্নপাত করেনি তারা। উল্টো কাজ করছি, করবো বলে সময় ক্ষেপন করছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। এই লাইনটি ছিড়ে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তখন এর দায়ভার কে নেবে? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। নাকি দুর্ঘটনা ঘটার পর টনক নড়বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. কাওছার হোসেইন, জায়েদ আহমদ, সিরাজ মিয়াসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বন্যার সময় বিদ্যুতের খুঁটিটি হেলে পড়েছিল। এরপর থেকে একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে হেলে পড়া খুঁটির ব্যাপারে বলা হলেও তারা আজ পর্যন্ত মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রত্যেকবার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেই বিষয়টি দেখবো, দেখছি বলে ফোন লাইন কেটে দেন। এভাবে দেখবো দেখছি বলে আর কতদিন যাবে।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী, যান চালক ও এলাকাবাসীর দাবি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে যেনো এই খুঁটিসহ হেলে পড়া প্রত্যেকটি ঝুঁকিপূর্ন খুঁটির মেরামত কাজ করা হয়।

এব্যাপারে কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ফাত্তাহ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি কুলাউড়ায় নতুন যোগদান করেছেন। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছেন। #

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসীনতা…

আপডেটের সময় : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গৌরীশংকর এলাকায় পিডিবির ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনের একটি খুঁটি গত ৪ মাস থেকে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় হেলে আছে। এলাকার লোকজন ঝুঁকিপূর্ন এ খুঁটির কথা কুলাউড়া বিদ্যুৎ অফিসে বার বার জানানোর পরও তাতে কোন সুফল হয়নি। ঝুঁকিপূর্ন এ খুঁটি উপড়ে পড়ে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এছাড়াও কুলাউড়া-বড়লেখা সড়কের পুশাইনগর বাজারের উত্তর পাশে রামপাশা এলাকায় একটি আকাশমনী জীবিত গাছের সাথে টানানো হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। এসব কিছু সাধারণ মানুষের নজরে আসলেও তা দেখছেননা বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুলাউড়া পুশাইনগর বাজার হয়ে ভূকশিমইল যাওয়ার রাস্তার পাশ দিয়ে টানা হয়েছে পিডিবির ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন। গত টানা বন্যায় এসব লাইনের অনেক খুঁটিরই নড়বড়ে অবস্থা হয়েছে। যার মধ্যে গৌরীশংকর এলাকায় রাস্তার পাশে একটি খুঁটি লাইনসহ হেলে পড়ে মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। লাইনসহ খুঁটিটি একেবারে রাস্তার উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। জয়চন্ডী ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন এ রাস্তা দিয়ে। যে কোন সময় খুঁটি উপড়ে পড়ে ঘটতে পারে প্রানঘাতী দূর্ঘটনা। বিষয়টি গত চার মাস থেকে বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। তাতে কোন কর্নপাত করেনি তারা। উল্টো কাজ করছি, করবো বলে সময় ক্ষেপন করছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। এই লাইনটি ছিড়ে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তখন এর দায়ভার কে নেবে? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। নাকি দুর্ঘটনা ঘটার পর টনক নড়বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. কাওছার হোসেইন, জায়েদ আহমদ, সিরাজ মিয়াসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বন্যার সময় বিদ্যুতের খুঁটিটি হেলে পড়েছিল। এরপর থেকে একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে হেলে পড়া খুঁটির ব্যাপারে বলা হলেও তারা আজ পর্যন্ত মেরামতের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রত্যেকবার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেই বিষয়টি দেখবো, দেখছি বলে ফোন লাইন কেটে দেন। এভাবে দেখবো দেখছি বলে আর কতদিন যাবে।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী, যান চালক ও এলাকাবাসীর দাবি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগে যেনো এই খুঁটিসহ হেলে পড়া প্রত্যেকটি ঝুঁকিপূর্ন খুঁটির মেরামত কাজ করা হয়।

এব্যাপারে কুলাউড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ফাত্তাহ মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি কুলাউড়ায় নতুন যোগদান করেছেন। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছেন। #