২০১৮ সালেই জুলুম-অত্যাচার বিদায় নেবে: খালেদা জিয়া
- আপডেটের সময় : ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
- / ১৪৯৪ টাইম ভিউ
২০১৮ সালেই দেশ থেকে সব জুলুম-অত্যাচার বিদায় নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আগামী বছর হবে জনগণের বছর। ২০১৮ সালে দেশ থেকে সব অত্যাচার ও অত্যাচারী বিদায় নেবে। আমরা পবিত্র রমজান মাস এই দোয়া করি।
প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই বাজেটে তারা মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে যদি ১ লাখ টাকা থাকে, এ থেকে ৮’শ টাকা কেটে নেবে তারা। তাহলে থাকবে কী? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক টাকা থাকবে, যার এক লাখ টাকা আছে সে নাকী অনেক ধনী। অন্যদিকে তাদের (ক্ষমতাসীন) ব্যাংকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, সেটা কিছু না। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের দাম এখন বেশি। এরপরেও তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়িয়েছে।
দেশের বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নাই। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। কারণ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে এই আওয়ামী লীগ সরকার। এদের হাত এতো লম্বা যে তারা কোথাও হাত দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
ব্যাংকিং খাতের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ২০১৬ সাল ছিলে আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা প্রতিনিয়ত চুরি করেছে, চুরি করতে করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি করেছে, ব্যাংকের টাকা চুরি করে তারা পাচার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুণ্ঠন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন না দেয়াকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
নারী নির্যাতন, গুম-খুনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবস্থাও তুলে ধরেন তিনি।
ইফতারে মাহফিলে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান, আবদুল গনি, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ডিএলর সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, ইসমাইল জবিউল্লাহ, সঞ্জীব চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।