‘শুভেচ্ছা ক্লাবের’দুই যুগে পদার্পণ
- আপডেটের সময় : ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১২ টাইম ভিউ
‘শুভেচ্ছা ক্লাবের’ দুই যুগে পদার্পণ ।
দেখতে দেখতে ২৪ বছরে পদার্পন করলো । স্মৃতি হাতড়ে পেছনে গেলে, ২৩ বছর আগের একটি ছোট্ট উদ্যোগ আজ বিশাল এক মহীরুহ, এক অনুপ্রেরণাদায়ী হাজীপুর এর ২ নং ওয়ার্ডের শুভেচ্ছা ক্লাবের গল্প।
গত ৮ ফ্রেবুয়ারী ( বৃহস্পতিবার ) হরিচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই যুগে পদার্পণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি পুল কেশ নাগ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রবাসী উপদেষ্টা রুহুল মুরসালিন, প্রতিষ্টাকালীন সদস্য আসাদ্দুজামান টিটু,সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান সহ অন্যান্যরা।
২০০০ সালে কুলাউড়া উপজেলার ১০নং হাজীপুর ইউনিয়ন এর ২নং ওয়ার্ডের কয়েকজন তরুন আব্দুল মালিক চৌধুরী, সুমন দে,আসলম আলী,নুরুল তালুকদার,পরিতোষ দে,সঞ্জয় দে,সঞ্জয় দাস সহ আর কয়েকজন প্রথম শুভেচ্ছা ক্লাব গঠনের উদ্যোগ হাতে নেন।এরপর কার্যক্রমের প্রস্তুতি ও কর্মী কমিটি গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় পথযাত্রা।
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি করা হয় বিশিষ্ট সংগঠক আব্দুল মালিক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় আব্দুল হাই কে।
সে সময় হাজীপুর ইউনিয়ন ছিলো সবদিক থেকে অনগ্রসর।সবচেয়ে পিছিয়ে এ জনপদকে সংগঠনের স্বাপ্নিকরা ব্রত নিলেন- তারা এলাকার হয়ে উঠবেন। পিছিয়ে পড়া এ সমাজকে একটি জাগ্রত সমাজে রূপান্তরিত করবেন, যার মাধ্যমে ‘মানুষ মানুষ হয়ে উঠবে’মানুষের কল্যাণে কাজে করবে।
কয়েকটি মৌলিক নীতিমালার উপর ভিত্তি করে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া উপযোগী সমাজ প্রতিষ্টা করার ভিশন নিয়ে শুভেচ্ছা ক্লাবের এগিয়ে চলা। সঙ্গে থাকলো সুবিধাবঞ্চিত ও সমাজে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাহায্য এগিয়ে আসা।এসব নিয়েই এগিয়ে চললো শুভেচ্ছা ক্লাব আজ দুই যুগের পথযাত্রা ও অর্জনের একটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠা কালীন আব্দুল মালিক চৌধুরী মুটোফোনে জানান – সমাজসেবা- মানবিকতা ও সুস্হ বিনোদনে খেলাধুলা সাথে স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠা লগ্নে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যেতে, কতটুকু পেরেছি তা জানি না।
তবে সংগঠন দুই যুগে পদার্পণ করে প্রমান রেখেছে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, শুভেচ্ছা ক্লাব এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে। জীবনের তাগিদে দেহ প্রবাসে অবস্থান করলেও হৃদয় পড়ে আছে হাজীপুরে এবং শুভেচ্ছা ক্লাবে।
সবসময় যোগাযোগ রেখে সংগঠনের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
সংগঠনের সবার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ, শুভেচ্ছা ক্লাবের সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলস কঠোর পরিশ্রম করে সংগঠন কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।