ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা বদরুল আলম চৌধুরীর ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

ওসি-এসপি সেজে প্রতারণা করতো অপু

দেশ দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৫১৬ টাইম ভিউ

কখনো ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। #

পোস্ট শেয়ার করুন

ওসি-এসপি সেজে প্রতারণা করতো অপু

আপডেটের সময় : ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

কখনো ওসি আবার কখনো বা পরিচয় দিত পুলিশ সুপারের (এসপি)। হোয়াটস অ্যাপেও নিজেদের নাম্বারে ব্যবহার করতো পুলিশ কর্মকর্তাদের ছবি। ভুয়া পরিচয়ে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলে প্রতারণা করতো প্রবাসীদের সাথে। এমন প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রতারক চক্রের মূল হোতা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাজী বাড়ি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই কাজী টিপুসহ ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।

পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসার পর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের আরব আমিরাত প্রবাসী শেখ মোরশেদ আহমদের সাথে পরিচয় হয় কাজী অপু ও কাজী টিপুর সাথে। এক পর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মোরশেদকে দিয়ে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি মাইক্রোবাস (নোহা) গাড়ি ক্রয় করায় তারা। ক্রয়কৃত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ করার কথা বলে গত ৩০ জুন মোরশেদের কাছ থেকে চার লাখ টাকা নেন অপু ও তার ভাই। এরপর থেকে টালবাহনা শুরু করেন তারা। গত ২৭ আগস্ট কাজী অপু একটি মাইক্রোবাসের বিক্রয়ের বায়নামাপত্র দেন শেখ মোরশেদকে। ওই কাগজপত্রে বিআরটিএ কর্মকর্তার দেয়া স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি অবগত হতে পারেন ক্রেতা। এরপর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি ও সিলেটের পুলিশ সুপার সেজে ফোনে শেখ মোরশেদকে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ ও ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের ব্যবস্থা করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হতো। হোয়াটসঅ্যাপে ওসি ও এসপির ছবি সংযুক্ত করে রাখায় প্রথম দিকে শেখ মোরশেদ প্রতারণার বিষয়টি টেরই পাননি। পরে কাজী অপু ও তার ভাই কাজী টিপুর কারসাজির কথা বুঝতে পেরে বুধবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন শেখ মোরশেদ। পুলিশ কাজী অপুকে গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, কাজী অপু এডিট করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তাদের ছবি যুক্ত করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে তাকে রিমান্ডে আনা হবে বলে জানান মো. লুৎফর রহমান। #