ঢাকা , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা বদরুল আলম চৌধুরীর ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পাহাড়

দেশ দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ৪১১ টাইম ভিউ

টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর প্রদীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যার অভিযোগ আনেন এক নারী। আর এ নিয়ে প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এ দিন দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে আব্দুল জলিল নামে একজনকে হত্যার এ অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম।

অভিযুক্তরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মশিউর রহমান, এএসআই আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, হোয়াইক্ষ্যং ইউপির দফাদার কাঞ্জরপাড়ার মৌলভী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল হক। সাক্ষী করা হয়েছে ১০ জনকে।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের আদালতপাড়া থেকে আব্দুল জলিলকে আটক করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরের মাধ্যমে তাকে টেকনাফ থানায় নেয়া হয়। সেখানে বন্দুকযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে আব্দুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রদীপ কুমার দাশ। পরে স্বামীকে বাঁচাতে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রদীপকে পাঁচ লাখ টাকা দেন সানোয়ারা বেগম। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা দিলেও চলতি বছরের ৭ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে আব্দুল জলিলকে হত্যা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আব্দুল জলিলের ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না, এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় করা মামলার তদন্তসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আাদলত।

এর আগে দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেয়ার পরও একজনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া আরো একটি মামলায় ২৩ জনসহ আসামি হন প্রদীপ। সেখানেও দাবি করা টাকা না দেয়ায় মাহমুদুর রহমান নামে এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।#

পোস্ট শেয়ার করুন

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পাহাড়

আপডেটের সময় : ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর প্রদীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যার অভিযোগ আনেন এক নারী। আর এ নিয়ে প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এ দিন দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে আব্দুল জলিল নামে একজনকে হত্যার এ অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম।

অভিযুক্তরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মশিউর রহমান, এএসআই আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, হোয়াইক্ষ্যং ইউপির দফাদার কাঞ্জরপাড়ার মৌলভী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল হক। সাক্ষী করা হয়েছে ১০ জনকে।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের আদালতপাড়া থেকে আব্দুল জলিলকে আটক করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরের মাধ্যমে তাকে টেকনাফ থানায় নেয়া হয়। সেখানে বন্দুকযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে আব্দুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রদীপ কুমার দাশ। পরে স্বামীকে বাঁচাতে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রদীপকে পাঁচ লাখ টাকা দেন সানোয়ারা বেগম। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা দিলেও চলতি বছরের ৭ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে আব্দুল জলিলকে হত্যা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আব্দুল জলিলের ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না, এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় করা মামলার তদন্তসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আাদলত।

এর আগে দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেয়ার পরও একজনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া আরো একটি মামলায় ২৩ জনসহ আসামি হন প্রদীপ। সেখানেও দাবি করা টাকা না দেয়ায় মাহমুদুর রহমান নামে এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।#