সন্দেহ থেকেই স্বামীকে খুন করে ঘেনি
- আপডেটের সময় : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
- / ৪৫০ টাইম ভিউ
প্রায় দেড় যুগের সংসার। দুই ছেলে সন্তান নিয়ে সংসারে সুখেরও কমতি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ সেই সুখের সংসারে সৃষ্টি হয় ‘সন্দেহের অসুখ’। স্বামী নিজাম আহমদ ‘পরনারীতে’ আসক্ত, দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইছেন। এমন সন্দেহ থেকে তাকে কুপিয়ে খুন করেন স্ত্রী ঘেনি বেগম (৩৫)। মৃত্যু নিশ্চিত করতে স্বামীর গোপনাঙ্গও কেটে ফেলেন তিনি। পরে দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ‘সন্দেহ’ থেকে স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ঘেনি বেগম। গতকাল শুক্রবার আদালতেও দিয়েছেন স্বীকারোক্তি।
ঘেনি বেগম সিলেট নগরীর ছড়ারপাড় সুগন্ধা-৬০ নম্বর বাসার নিজাম আহমদের স্ত্রী। দুই ছেলে নিয়ে স্বামীর সাথে তিনি দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলার আবদুল গফ্ফারের বাসায় ভাড়াটে হিসেবে থাকতেন।
ঘেনি বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার মাঝরাতে বাসায় ফিরেন সিরাজ আহমদ। এসময় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘেনি বেগম বটি দা দিয়ে স্বামী সিরাজ উদ্দিনের ঘাড়ে কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে গোপনাঙ্গ কেটে মৃত্যুনিশ্চিত করে কাঁথা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রেখে দুই ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, ঘেনি বেগম প্রথমে তার পিত্রালয় ফেঞ্চুগঞ্জে চলে যান। কিন্তু স্বামী হত্যার ঘটনা জানার পর ভাইয়েরা তাকে আশ্রয় না দেওয়ায় তিনি দুইছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া হাকালুকি হাওরের জিরো পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় শুক্রবার সিরাজ আহমদের ভাতিজা তুহিন আহমদ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি আকতার হোসেন।#