ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

করোনার নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে,জেকেজির সাবরিনা কারাগারে

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • / ২৯২ টাইম ভিউ

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই জাল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা চৌধুরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে সাবরিনাকে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তাঁকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন, রিমান্ডে দেওয়া সাবরিনার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আবার তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
আসামি সাবরিনার পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১২ জুলাই সাবরিনাকে তেজগাঁও থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে ঢাকার আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

একই মামলায় সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর ভগ্নিপতি সাঈদ চৌধুরীকে রিমান্ডে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল রোববার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

করোনা পরীক্ষার জন্য বাসা থেকে টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করা এবং পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানার পুলিশ গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বুথ বসিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছিল জেকেজি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ও তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী আগেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

করোনার নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে,জেকেজির সাবরিনা কারাগারে

আপডেটের সময় : ০৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই জাল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা চৌধুরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে সাবরিনাকে আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তাঁকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন, রিমান্ডে দেওয়া সাবরিনার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আবার তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
আসামি সাবরিনার পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

১২ জুলাই সাবরিনাকে তেজগাঁও থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে ঢাকার আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

একই মামলায় সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর ভগ্নিপতি সাঈদ চৌধুরীকে রিমান্ডে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল রোববার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

করোনা পরীক্ষার জন্য বাসা থেকে টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করা এবং পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানার পুলিশ গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এরই ধারাবাহিকতায় সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বুথ বসিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছিল জেকেজি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ও তাঁর স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী আগেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।