পরীক্ষা আওতাভুক্ত না থাকায় মৃত্যুর তালিকার বাইরে অনেকে
- আপডেটের সময় : ০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
- / ২৫২ টাইম ভিউ
অনলাইন ডেস্ক : গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। এর ঠিক ১০দিন পর (১৮ মার্চ) প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যান দেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিদেশফেরত স্বজনের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৩৩ দিনের মাথায়, ১৭ জুলাই সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে ১৮ জুলাই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে, চিকিৎসার অভাবে, শনাক্তের বাইরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষণ-উপসর্গ নিয়েও অনেকে মারা গেছেন যেগুলো পরে পরীক্ষার বাইরে থেকে গেছে। সেসব সন্দেহজনক মৃত্যু অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে না অধিদফতরের তালিকায়। ফলে করোনায় মৃত্যুর আসল সংখ্যা অনুমান করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ট্র্যাকার ডট কমের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এশিয়ায় এক লাখের বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে কেবল সৌদি আরবে মৃত্যু হার কম। এশিয়ার মধ্যে ইরানে ৫ দশমিক ১ শতাংশ, ভারতে এই হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ, পাকিস্তানে ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং সৌদি আরবে ১ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মৃত্যুর হার কম এটা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু হাসপাতালের বাইরে ও পরীক্ষা না হওয়ায় অনেকেই অর্ন্তভুক্ত হচ্ছেন না অধিদফতরের তালিকায়, রয়ে যাচ্ছেন হিসাবের বাইরে।