ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

সিলেটে এক বছর পর ডোবায় মিলল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর কঙ্কাল

দেশ দিগন্ত সিলেট ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
  • / ৪৫৭ টাইম ভিউ

সিলেটে নিখোঁজের একবছর পর ডোবা থেকে এক ব্যবসায়ীর কঙ্কাল (১৫টি হাড়) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিখোঁজের এক বছর পর ব্যবসায়ীর হাড় উদ্ধার নিয়ে সিলেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বের হয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক তথ্য।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কনকলস এলাকার একটি ডোবা থেকে কামাল আহমদ নামের ওই ব্যবসায়ীর হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন।

আজ বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেন, হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদ। এর মধ্যে আমির উদ্দিন কানাইঘাটের, বাকিরা বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ের আদিনাবাদ শেখপাড়া গ্রামের মৃত রকিব আলীর ছেলে কামাল আহমদ (৪২)। চারখাই বাজারে ‘কামাল স্টোর’ নামে তার একটি পাইকারি মুদি দোকান ছিল। গত বছরের ১০ আগস্ট দোকান থেকে তিনি বাড়িতে ফিরেননি। তার খোঁজ না পাওয়ায় ২০ আগস্ট তার বড় ভাই জালাল আহমদ বিয়ানীবাজার থানায় জিডি করেন। পরে জালাল আহমদ ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।

প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে সুদীপ্ত রায় গত মঙ্গলবার সিলেটের কানাইঘাটের দনা ইসলামপুর থেকে কামাল আহমদের দোকানের কর্মচারী আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে কামাল আহমদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

আমির উদ্দিনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গেল বছরের জুন মাসে কামাল আহমদের অগোচরে দোকান থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেন আমির। বিষয়টি টের পেয়ে টাকার জন্য চাপ দেন কামাল। এজন্যই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কর্মচারী আমির উদ্দিন, মালামাল ক্রয়কারী হেলাল আহমদ, আলী আকবর, আলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবেদ আহমদ। পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট কামাল আহমদকে অপহরণ করে বিয়ানীবাজারের কনকলস গ্রামস্থ তার নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে পাশের ব্রিকফিল্ডের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ওই ডোবা থেকে ১৫টি হাড় উদ্ধার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদকে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। #

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেটে এক বছর পর ডোবায় মিলল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর কঙ্কাল

আপডেটের সময় : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

সিলেটে নিখোঁজের একবছর পর ডোবা থেকে এক ব্যবসায়ীর কঙ্কাল (১৫টি হাড়) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিখোঁজের এক বছর পর ব্যবসায়ীর হাড় উদ্ধার নিয়ে সিলেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বের হয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক তথ্য।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কনকলস এলাকার একটি ডোবা থেকে কামাল আহমদ নামের ওই ব্যবসায়ীর হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেন।

আজ বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেন, হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদ। এর মধ্যে আমির উদ্দিন কানাইঘাটের, বাকিরা বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ের আদিনাবাদ শেখপাড়া গ্রামের মৃত রকিব আলীর ছেলে কামাল আহমদ (৪২)। চারখাই বাজারে ‘কামাল স্টোর’ নামে তার একটি পাইকারি মুদি দোকান ছিল। গত বছরের ১০ আগস্ট দোকান থেকে তিনি বাড়িতে ফিরেননি। তার খোঁজ না পাওয়ায় ২০ আগস্ট তার বড় ভাই জালাল আহমদ বিয়ানীবাজার থানায় জিডি করেন। পরে জালাল আহমদ ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।

প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে সুদীপ্ত রায় গত মঙ্গলবার সিলেটের কানাইঘাটের দনা ইসলামপুর থেকে কামাল আহমদের দোকানের কর্মচারী আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে কামাল আহমদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

আমির উদ্দিনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গেল বছরের জুন মাসে কামাল আহমদের অগোচরে দোকান থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেন আমির। বিষয়টি টের পেয়ে টাকার জন্য চাপ দেন কামাল। এজন্যই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কর্মচারী আমির উদ্দিন, মালামাল ক্রয়কারী হেলাল আহমদ, আলী আকবর, আলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবেদ আহমদ। পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট কামাল আহমদকে অপহরণ করে বিয়ানীবাজারের কনকলস গ্রামস্থ তার নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে পাশের ব্রিকফিল্ডের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ওই ডোবা থেকে ১৫টি হাড় উদ্ধার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদকে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। #