ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

স্ত্রীকে নিয়ে ফুটপাতে রাত কাটছে স্বাস্থ্যকর্মীর ! করোনা আতঙ্কে তাড়িয়ে দিল বাড়িওয়ালা !

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
  • / ৪৫০ টাইম ভিউ

আবার অমানবিকতার পরিচয় কলকাতাতেই। যেহেতু স্বাস্থ্য  দফতরের সঙ্গে যুক্ত, সেহেতু তার থেকে করোনা ছড়াতে পারে। আর সেই আশঙ্কাতেই বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল।   ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলীর নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। সঞ্জয় শীল, পেশায় অক্সিজেন ডিস্ট্রিবিউটর এর কর্মী। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল অক্সিজেন সরবরাহ করার কাজ করে। সেখান থেকে মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন পায়। স্ত্রী অপর্ণা শীল ওই অফিসে ছোট খাটো কাজ করে।দুজনের দাবী স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সব কাজ করছে ওরা।  নরেন্দ্রপুর, কাদারহাট,শ্যামা পল্লীতে বাড়িওয়ালা শৈলেন দাসের বাড়িতে চার বছর ধরে ভাড়া থাকে সঞ্জয়রা।মাসিক ভাড়া দেড় হাজার টাকা।নিঃসন্তান দম্পতির বেশ কাটছিল।সারাদিনে হাড়ভাঙা খাটুনি করে, রাতে ফিরে এসে ইটের দেয়াল ঘেরা ঘরে ক্লান্ত শরীরে শান্তির ঘুম ঘুমাতো।  বাদ সেধেছে করোনা ভাইরাস।

এখন আর মাথার ছাদ নেই। আকাশকে মাথার ছাদ করে, ফুটপাতের কংক্রিটের বিছানায় ২০ দিন হল রাত কাটাচ্ছে। সারাদিনে, খাবার সামান্য যা জুটছে তাই খাচ্ছে। লক ডাউনের বাজারে,এই ভাবে স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রচুর লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হচ্ছে এ রাজ্যে।এই কারণে, বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মী প্রতিদিন বিভিন্ন পাড়াতে ঢুকতে পারছে না।এমনকি যারা দিন রাত মানুষকে বাঁচানোর জন্য জীবনপাত করছে,তাদেরকে উচ্ছিষ্টের মত,ছুঁড়ে ফেলছে এলাকার বাসিন্দারা।  সঞ্জয় ও তার স্ত্রী বহুবার নরেন্দ্রপুর থানাতে অভিযোগ জানাতে গেলে, থানা কোনও ভাবে ওদের কথা গ্রাহ্য করেনি।বৃহস্পতিবার (১৭ ই এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই দুজন আবার থানায় যায়।থানায় পুলিশ বাবুদের বহু আকুতি মিনতি করার পরও, ওকে কোনো ভাবে সাহায্য করেনি থানা।বারুপুর পুলিশ জেলার এসপি রশিদ মুনির খান ,বিষয়টি ফোনে শোনার পর আশ্বস্ত করেন,বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার।তারপরও নরেন্দ্রপুর থানা কোনও ভাবে বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ করেনি।যথারীতি থানা থেকে ওদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।   বাড়ি ওয়ালা শৈলেন বাবুর সঙ্গে ফোন যোগা যোগ করার চেষ্টা করলে,তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।সঞ্জয়ের দাবী বাড়িওয়ালাকে  ফোন করলে তিনি,প্রথমে ভাড়া চাইছে।এবং ওই বাড়ির দিকে গেলে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। সঞ্জয় ও অপর্ণার পরনের  জামা কাপড়, আসবাব পত্র ,সবই ওই ঘরে আটকে। দুজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ,খোলা আকাশের নীচে আজকের রাতটাও,অনাহারে, অর্ধনিদ্রায় কাটাচ্ছে।    করোনা আতঙ্কে কি মানুষের মানবিকতা শেষ?   শহরে মহিলাকে নিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকা কতটা নিশ্চিত নিরাপত্তার,সেটা ভেবে অনেকেরই ভয়ে রোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

স্ত্রীকে নিয়ে ফুটপাতে রাত কাটছে স্বাস্থ্যকর্মীর ! করোনা আতঙ্কে তাড়িয়ে দিল বাড়িওয়ালা !

আপডেটের সময় : ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০

আবার অমানবিকতার পরিচয় কলকাতাতেই। যেহেতু স্বাস্থ্য  দফতরের সঙ্গে যুক্ত, সেহেতু তার থেকে করোনা ছড়াতে পারে। আর সেই আশঙ্কাতেই বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল।   ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলীর নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। সঞ্জয় শীল, পেশায় অক্সিজেন ডিস্ট্রিবিউটর এর কর্মী। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল অক্সিজেন সরবরাহ করার কাজ করে। সেখান থেকে মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন পায়। স্ত্রী অপর্ণা শীল ওই অফিসে ছোট খাটো কাজ করে।দুজনের দাবী স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সব কাজ করছে ওরা।  নরেন্দ্রপুর, কাদারহাট,শ্যামা পল্লীতে বাড়িওয়ালা শৈলেন দাসের বাড়িতে চার বছর ধরে ভাড়া থাকে সঞ্জয়রা।মাসিক ভাড়া দেড় হাজার টাকা।নিঃসন্তান দম্পতির বেশ কাটছিল।সারাদিনে হাড়ভাঙা খাটুনি করে, রাতে ফিরে এসে ইটের দেয়াল ঘেরা ঘরে ক্লান্ত শরীরে শান্তির ঘুম ঘুমাতো।  বাদ সেধেছে করোনা ভাইরাস।

এখন আর মাথার ছাদ নেই। আকাশকে মাথার ছাদ করে, ফুটপাতের কংক্রিটের বিছানায় ২০ দিন হল রাত কাটাচ্ছে। সারাদিনে, খাবার সামান্য যা জুটছে তাই খাচ্ছে। লক ডাউনের বাজারে,এই ভাবে স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রচুর লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হচ্ছে এ রাজ্যে।এই কারণে, বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মী প্রতিদিন বিভিন্ন পাড়াতে ঢুকতে পারছে না।এমনকি যারা দিন রাত মানুষকে বাঁচানোর জন্য জীবনপাত করছে,তাদেরকে উচ্ছিষ্টের মত,ছুঁড়ে ফেলছে এলাকার বাসিন্দারা।  সঞ্জয় ও তার স্ত্রী বহুবার নরেন্দ্রপুর থানাতে অভিযোগ জানাতে গেলে, থানা কোনও ভাবে ওদের কথা গ্রাহ্য করেনি।বৃহস্পতিবার (১৭ ই এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই দুজন আবার থানায় যায়।থানায় পুলিশ বাবুদের বহু আকুতি মিনতি করার পরও, ওকে কোনো ভাবে সাহায্য করেনি থানা।বারুপুর পুলিশ জেলার এসপি রশিদ মুনির খান ,বিষয়টি ফোনে শোনার পর আশ্বস্ত করেন,বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার।তারপরও নরেন্দ্রপুর থানা কোনও ভাবে বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ করেনি।যথারীতি থানা থেকে ওদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।   বাড়ি ওয়ালা শৈলেন বাবুর সঙ্গে ফোন যোগা যোগ করার চেষ্টা করলে,তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।সঞ্জয়ের দাবী বাড়িওয়ালাকে  ফোন করলে তিনি,প্রথমে ভাড়া চাইছে।এবং ওই বাড়ির দিকে গেলে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। সঞ্জয় ও অপর্ণার পরনের  জামা কাপড়, আসবাব পত্র ,সবই ওই ঘরে আটকে। দুজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ,খোলা আকাশের নীচে আজকের রাতটাও,অনাহারে, অর্ধনিদ্রায় কাটাচ্ছে।    করোনা আতঙ্কে কি মানুষের মানবিকতা শেষ?   শহরে মহিলাকে নিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকা কতটা নিশ্চিত নিরাপত্তার,সেটা ভেবে অনেকেরই ভয়ে রোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।