ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কালীগঞ্জে গুড়িয়ে দেওয়া সেই কলেজটি অবশেষে সরকারিকরণ হলো

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩৪৩ টাইম ভিউ

মিঠু মালিথাঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অজপাড়া গাঁয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কলেজটির নামকরণ করায় ২০০১ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরও খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকে কলেজটির কার্যক্রম। থেমে থাকেননি কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা: রাশেদ শমসের। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েছেন এই মানুষটি। অবশেষে ডা: রাশেদ শমসের এর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় খুশি হয়েছেন এলাকাবাসীসহ কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

কলেজ সুত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কলেজটি ধ্বংস স্তুপের উপরেই নতুন করে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে কলেজটি ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১০ সালে কলেজটি পায় একাডেমিক স্বীকৃতি । রাজনৈতিক রোষানলের স্বীকার কলেজটির তদন্তের জন্য কমিশন গঠন হয়। ২০১০ সালে সাবেক বিচারপতি কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। সেই সাথে গুড়িয়ে দেয়া কলেজটির ধ্বংসাবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। ২০১৭ সালে কলেজটিতে ডিগ্রি শাখা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশেষ সুপারিশে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়। সেই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নামে কলেজটির নামকরণ হওয়ায় ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর এলাকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়েছে।

১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে মোট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামের ২৮টি প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়াও ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধুর নামে আরো দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কালীগঞ্জে গুড়িয়ে দেওয়া সেই কলেজটি অবশেষে সরকারিকরণ হলো

আপডেটের সময় : ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০

মিঠু মালিথাঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অজপাড়া গাঁয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কলেজটির নামকরণ করায় ২০০১ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরও খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে থাকে কলেজটির কার্যক্রম। থেমে থাকেননি কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা: রাশেদ শমসের। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দিনের পর দিন ধর্ণা দিয়েছেন এই মানুষটি। অবশেষে ডা: রাশেদ শমসের এর আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় আশার আলো সঞ্চারিত হয়েছে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় খুশি হয়েছেন এলাকাবাসীসহ কালীগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

কলেজ সুত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে কলেজটি ধ্বংস স্তুপের উপরেই নতুন করে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে কলেজটি ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১০ সালে কলেজটি পায় একাডেমিক স্বীকৃতি । রাজনৈতিক রোষানলের স্বীকার কলেজটির তদন্তের জন্য কমিশন গঠন হয়। ২০১০ সালে সাবেক বিচারপতি কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। সেই সাথে গুড়িয়ে দেয়া কলেজটির ধ্বংসাবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। ২০১৭ সালে কলেজটিতে ডিগ্রি শাখা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশেষ সুপারিশে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়। সেই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নামে কলেজটির নামকরণ হওয়ায় ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর এলাকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়েছে।

১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে মোট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামের ২৮টি প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়াও ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধুর নামে আরো দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করা হয়েছে।