ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

কাউকে সমর্থন করিনি,নেত্রীর ক্ষুদে বার্তায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৫৮৪ টাইম ভিউ

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সদ্য সাবেক উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির তোফায়েল বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ’লীগের রাজনীতি করি,উনার কর্মী হয়ে সারাজীবন কাজ করে আসছি,আজীবন কর্মী হয়ে পাশে থাকবো। পদ-পদবীর জন্য রাজনীতি করি না,করলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ নেত্রীর কাছে পদের জন্য দৌঁড়ঝাঁপ করতাম।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কুলাউড়ার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন,গত রোববার ১০ নভেম্বরের উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিল শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি কমিটি ঘোষণা করেন। সেই কমিটিতে আমাকে সদস্য পদে রাখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম আব্দুর রহিম মৌলভীবাজার জেলা মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে তিনি সারাজীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে গেছেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ভারতের কৈলাশহরের বাবু বাজার ক্যাম্পে স্বপরিবারে অবস্থান করি। বাবার দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছি। ১৯৭৯ সালে কুলাউড়ার এনসি স্কুলের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ১৯৮৩ সালে কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক, ১৯৮৫ সালে সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৭ সালে সভাপতি নির্বাচিত হই। ওই একই বছর কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। একই বছর কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের ইতিহাসে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হই। আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারনে ১৯৮৭ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাড়ে ৯ মাস কারাবরণ করি। ওই সময়ের পুলিশের নির্যাতনের ক্ষত এখনো আমাকে কষ্ট দেয়। এখনো আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারিনা।’ ‘১৯৯১ সালে আমি প্রথম কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৪ সালে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী থাকলেও আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। ১৯৯৭ সালে আমি উপজেরার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। পরবর্তিতে পুনরায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।’

এক এগারোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দলের সভানেত্রী এবং দলের সঙ্কটময় ওই সময় আমি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। দলের ওইসময়কার আন্দোলনে নিজেকে বিলিয়ে দেই।’

আমেরিকা প্রবাসে অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৯ সালে আমেরিকা যাই এবং ২০১৪ সালে আমি পুনরায় দেশে আসি। ওই সময়ে আমি আমেরিকার নিউজার্সি স্টেট আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের প্রধান সমন্ময়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।’

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ গত রবিবার (১০ নভেম্বর) আমি কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতি উপস্থিত কাউন্সিলরদের ব্যাপক সমর্থন ছিলো। কিন্তু দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন আমাকে দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ক্ষুদে বার্তা এসেছে বলে কাছে নিয়ে বলেন, তোমার সম্পাদক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বংয়ং নেত্রী।’ কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে আমি দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা মেনেই তাঁকে সম্মান জানিয়ে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করি। তবে আমি কাউকে সমর্থন করিনি। যেহেতু আমার বাবা আজীবন আওয়ামীলীগ করে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে গেছেন, আমিও উনার সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’

সবশেষে তিনি আবারও বলেন, কাউন্সিলে তিনি কাউকে সমর্থন দেননি ‘আমি কাউকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করিনি। আমি শুধু আমার দলের সভানেত্রীর পাঠানো ম্যাসেজের সম্মানার্থে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’

পোস্ট শেয়ার করুন

কাউকে সমর্থন করিনি,নেত্রীর ক্ষুদে বার্তায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি

আপডেটের সময় : ০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সদ্য সাবেক উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির তোফায়েল বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আ’লীগের রাজনীতি করি,উনার কর্মী হয়ে সারাজীবন কাজ করে আসছি,আজীবন কর্মী হয়ে পাশে থাকবো। পদ-পদবীর জন্য রাজনীতি করি না,করলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ নেত্রীর কাছে পদের জন্য দৌঁড়ঝাঁপ করতাম।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে কুলাউড়ার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন,গত রোববার ১০ নভেম্বরের উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিল শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি কমিটি ঘোষণা করেন। সেই কমিটিতে আমাকে সদস্য পদে রাখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম আব্দুর রহিম মৌলভীবাজার জেলা মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে তিনি সারাজীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে গেছেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ভারতের কৈলাশহরের বাবু বাজার ক্যাম্পে স্বপরিবারে অবস্থান করি। বাবার দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে নিজেকে বিসর্জন দিয়েছি। ১৯৭৯ সালে কুলাউড়ার এনসি স্কুলের ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ১৯৮৩ সালে কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক, ১৯৮৫ সালে সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৭ সালে সভাপতি নির্বাচিত হই। ওই একই বছর কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। একই বছর কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের ইতিহাসে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হই। আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারনে ১৯৮৭ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাড়ে ৯ মাস কারাবরণ করি। ওই সময়ের পুলিশের নির্যাতনের ক্ষত এখনো আমাকে কষ্ট দেয়। এখনো আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারিনা।’ ‘১৯৯১ সালে আমি প্রথম কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৪ সালে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী থাকলেও আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। ১৯৯৭ সালে আমি উপজেরার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। পরবর্তিতে পুনরায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।’

এক এগারোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দলের সভানেত্রী এবং দলের সঙ্কটময় ওই সময় আমি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। দলের ওইসময়কার আন্দোলনে নিজেকে বিলিয়ে দেই।’

আমেরিকা প্রবাসে অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৯ সালে আমেরিকা যাই এবং ২০১৪ সালে আমি পুনরায় দেশে আসি। ওই সময়ে আমি আমেরিকার নিউজার্সি স্টেট আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের প্রধান সমন্ময়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।’

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ গত রবিবার (১০ নভেম্বর) আমি কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতি উপস্থিত কাউন্সিলরদের ব্যাপক সমর্থন ছিলো। কিন্তু দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন আমাকে দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ক্ষুদে বার্তা এসেছে বলে কাছে নিয়ে বলেন, তোমার সম্পাদক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বংয়ং নেত্রী।’ কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে আমি দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা মেনেই তাঁকে সম্মান জানিয়ে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করি। তবে আমি কাউকে সমর্থন করিনি। যেহেতু আমার বাবা আজীবন আওয়ামীলীগ করে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে গেছেন, আমিও উনার সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’

সবশেষে তিনি আবারও বলেন, কাউন্সিলে তিনি কাউকে সমর্থন দেননি ‘আমি কাউকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করিনি। আমি শুধু আমার দলের সভানেত্রীর পাঠানো ম্যাসেজের সম্মানার্থে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’