ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

স্বামীর প্রতারণার শিকার পৃথিমপাশা’র সালমা সর্বস্ব খুইয়ে বদ্ধ পাগল!

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৬৬৪ টাইম ভিউ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ নানা দেশে সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধে অনেক পার্থক্য থাকলেও আধুনিক সমাজে দাম্পত্য সম্পর্ক সম্ভবত বিশ্বজুড়ে অনেকটাই এক। আর দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে বিশ্বস্ত না থাকার ইতিহাস হয়তো এই সম্পর্কেরই সমবয়সী। ফলে স্বামীর প্রতারণার ঘটনাগুলোও দেশে দেশে হয়তো অনেকটাই এক।

বলছিলাম সালমার কথা। আমাদের দেশের সালমা। কুলাউড়ার সালমা। আমার পার্শ্ববর্তী এলাকার সালমার কথা। স্বামীর প্রতারণা ও জালিয়াতির খপ্পরে পড়ে সালমা এখন রাস্তার পাগল। লোকে সালমা পাগলি বলে ডাকে। টগবগে যুবতী সালমা অনাহারে অর্ধাহারে এখন কঙ্কালসার। পিতা-মাতাহীন এতিম সালামার মাথা গুজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিয়ে প্রতারক স্বামী মিজান এখন ২য় স্ত্রীর সাথে অায়েশি সংসার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সালামার এক পড়শির জবানী থেকে জানি, কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদপাশা গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার মেয়ে সালমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী রাউৎগাও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের অাত্তর অালীর ছেলে মিজানুর রহমান। সালমার বাবা-মা বিয়ের বছর দেড়েক অাগেই মারা যান। চাচার সাথে অালোচনা করেই বিয়ের বিষয় পাকাপোক্ত হয়। কিন্তু বিয়ের ক’দিন অাগে চাচাও মারা যান। পরে চাচাতো ভাইদের তত্বাবধানেই সালমার বিয়ে হয় মিজানের সাথে। বিয়ের পর পরিবারের সম্মতিতেই মিজান শশুরের রেখে যাওয়া বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে থেকে যায়! কারণ ময়না মিয়ার কোনো ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে মাত্র। সেই হিসেবে শশুরের রেখে যাওয়া ঘরেই স্ত্রী সালমাকে নিয়ে সে সংসার পাতে। সুন্দরভাবে চলছিল সংসার! প্রায় ৪ বছর এ বাড়িতেই সংসার করে। এক পর্যায়ে স্ত্রী সালমাকে বুঝিয়ে মিজান বাড়িসহ শশুরের রেখে যাওয়া জমি বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। স্ত্রী সালমাও সরল মনে স্বামীকে বিদেশে যেতে পিতার রেখে যাওয়া যতটুকু জায়গাজমি (বাড়িসহ) ছিল, সব বিক্রি করে টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেয়। এর মধ্যে সালমা দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে সন্তান দু’টি ১০/ ১১ বছর বয়সী।
মিজান স্ত্রী সালমা ও দুই সন্তানকে নিজের বাড়িতে রেখে বিদেশ (ওমান) পাড়ি দেয়। সালমার সংসার সেখানেও ভালই চলছিল। দুই বছর পর মিজান দেশে অাসে ছুটিতে। দেশে অাসার পর কুলাউড়ার বাদে মনসুর গ্রামে শিউলি নামের এক মেয়েকে স্ত্রী সালমার অজান্তে গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পর সেই মেয়েকে (২য় স্ত্রী) নিয়ে অাবার ওমানে চলে যায়। কিন্তু সালামা কিছুই জানেনা।
ধীরে ধীরে সালমার কানে অাসে স্বামীর ২য় বিয়ের খবর। এমন কঠিন খবর শুনে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে সালমা। শুরু হয় স্বামীর সাথে মনোমালিন্য ও দুরত্ব!
অসুস্থ হয়ে পড়ে সালমা। স্বামী মিজান দেশে এসে ২ সন্তানকে এতিমখানায় দিয়ে অাবার চলে যায় বিদেশ। স্বামী সন্তানসহ সর্বস্বান্ত হারা সালমা অারও ভেঙে পড়ে মানসিক ভাবে। স্বামীর প্রতারণা, দুই সন্তানকে কোল থেকে কেড়ে নেওয়ায় সে অারও অস্থির হয়ে ওঠে। কোনোভাবেই সে এসব মেনে নিতে পারে নি। কিন্তু তাকে মিজান কিংবা তার পরিবারের কেউ গুরুত্ব দেয়নি! মিজান সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়! সালমা একসময় পাগলের মতো ছুটাছুটি করতে থাকে।
এদিকে সালমার অাপন বলতে কেউ নেই। চাচাতো ভাইয়েরাও গরীব দিনমজুর। সালমার চিকিৎসা কিংবা ভরণ পোষনেরও সাধ্য নেই তাদের। তবুও তারা চেষ্টার ত্রুটি করেনি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মিজানের সাথে যোগাযোগ করে তারা। মিজান স্ত্রী সালমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয়। পর্যায়ক্রমে ৪/৫ হাজার করে দু’একবার টাকা দেয় মিজান। সালমা প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে অাবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মিজান। টাকা পয়সা দুরে থাক্, স্ত্রী সালমার সাথে যোগাযোগও ছেড়ে দেয়! বছর দেড়েক হয়, সালমা এখন বদ্ধ পাগল! কেউ তার খোঁজ নেয় না। ৩২ বছর বয়সী যুবতী সালমা বিক্রিত ওই বাবার বাড়ি এবং বাড়ির অাশেপাশেই দিনরাত ঘুরাঘুরি কিংবা মাটিতে শুয়ে কাটায়। প্রতিবেশিরা দিলে দু’য়েকবেলা খায় নতুবা উপাস ঘুরে! মিজান দেশে অাসে যায় কিন্তু সালমার কোনো খোঁজ নেয় না।
সালমার এই করুন পরিনতিতে তার স্বামী মিজানকে দায়ী করে নামপ্রকাশ না করার শর্তে সদপাশা গ্রামের সালমার প্রতিবেশি একজন বলেন, মিজান পিতা-মাতা ও স্বজন হারা অসহায় এতিম মেয়েটির সাথে প্রতারণা করেছে, জালিয়াতি করেছে। মিজানের উচিৎ সালমার দায়িত্ব নেয়া। তার যত্ন নেয়া। চিকিৎসা করালে সালমা সুস্থ হয়ে উঠবে। তিনি অারও বলেন, পিতামাতা ও স্বজনহারা সালামার এই পরিনতির জন্য মিজান অাল্লাহ’র কাঠগড়া থেকে রেহাই পাবে না। যুবতী একটা মেয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া পাগল। যেকোনো সময় কোন অনাকাঙ্খিত অঘটন ঘটতে পারে! যার দায়ভার সে এড়াতে পারবে না!
এ ব্যাপারে তিনি কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে সালমার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি’র সাথে। মিসেস পপি বলেন, সালমার বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। ঘটনাটি জানা ছিল না। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি! সালমার পক্ষে কেউ অভিযোগ বা যোগাযোগ করলে বিষয়টি স্থানীয় বা প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অাশ্বাস দেন তিনি।

পোস্ট শেয়ার করুন

স্বামীর প্রতারণার শিকার পৃথিমপাশা’র সালমা সর্বস্ব খুইয়ে বদ্ধ পাগল!

আপডেটের সময় : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদকঃ নানা দেশে সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধে অনেক পার্থক্য থাকলেও আধুনিক সমাজে দাম্পত্য সম্পর্ক সম্ভবত বিশ্বজুড়ে অনেকটাই এক। আর দাম্পত্য জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে বিশ্বস্ত না থাকার ইতিহাস হয়তো এই সম্পর্কেরই সমবয়সী। ফলে স্বামীর প্রতারণার ঘটনাগুলোও দেশে দেশে হয়তো অনেকটাই এক।

বলছিলাম সালমার কথা। আমাদের দেশের সালমা। কুলাউড়ার সালমা। আমার পার্শ্ববর্তী এলাকার সালমার কথা। স্বামীর প্রতারণা ও জালিয়াতির খপ্পরে পড়ে সালমা এখন রাস্তার পাগল। লোকে সালমা পাগলি বলে ডাকে। টগবগে যুবতী সালমা অনাহারে অর্ধাহারে এখন কঙ্কালসার। পিতা-মাতাহীন এতিম সালামার মাথা গুজার ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিয়ে প্রতারক স্বামী মিজান এখন ২য় স্ত্রীর সাথে অায়েশি সংসার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সালামার এক পড়শির জবানী থেকে জানি, কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদপাশা গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার মেয়ে সালমাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী রাউৎগাও ইউনিয়নের মনরাজ গ্রামের অাত্তর অালীর ছেলে মিজানুর রহমান। সালমার বাবা-মা বিয়ের বছর দেড়েক অাগেই মারা যান। চাচার সাথে অালোচনা করেই বিয়ের বিষয় পাকাপোক্ত হয়। কিন্তু বিয়ের ক’দিন অাগে চাচাও মারা যান। পরে চাচাতো ভাইদের তত্বাবধানেই সালমার বিয়ে হয় মিজানের সাথে। বিয়ের পর পরিবারের সম্মতিতেই মিজান শশুরের রেখে যাওয়া বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে থেকে যায়! কারণ ময়না মিয়ার কোনো ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে মাত্র। সেই হিসেবে শশুরের রেখে যাওয়া ঘরেই স্ত্রী সালমাকে নিয়ে সে সংসার পাতে। সুন্দরভাবে চলছিল সংসার! প্রায় ৪ বছর এ বাড়িতেই সংসার করে। এক পর্যায়ে স্ত্রী সালমাকে বুঝিয়ে মিজান বাড়িসহ শশুরের রেখে যাওয়া জমি বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। স্ত্রী সালমাও সরল মনে স্বামীকে বিদেশে যেতে পিতার রেখে যাওয়া যতটুকু জায়গাজমি (বাড়িসহ) ছিল, সব বিক্রি করে টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেয়। এর মধ্যে সালমা দুই সন্তানের জননী। বর্তমানে সন্তান দু’টি ১০/ ১১ বছর বয়সী।
মিজান স্ত্রী সালমা ও দুই সন্তানকে নিজের বাড়িতে রেখে বিদেশ (ওমান) পাড়ি দেয়। সালমার সংসার সেখানেও ভালই চলছিল। দুই বছর পর মিজান দেশে অাসে ছুটিতে। দেশে অাসার পর কুলাউড়ার বাদে মনসুর গ্রামে শিউলি নামের এক মেয়েকে স্ত্রী সালমার অজান্তে গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পর সেই মেয়েকে (২য় স্ত্রী) নিয়ে অাবার ওমানে চলে যায়। কিন্তু সালামা কিছুই জানেনা।
ধীরে ধীরে সালমার কানে অাসে স্বামীর ২য় বিয়ের খবর। এমন কঠিন খবর শুনে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে সালমা। শুরু হয় স্বামীর সাথে মনোমালিন্য ও দুরত্ব!
অসুস্থ হয়ে পড়ে সালমা। স্বামী মিজান দেশে এসে ২ সন্তানকে এতিমখানায় দিয়ে অাবার চলে যায় বিদেশ। স্বামী সন্তানসহ সর্বস্বান্ত হারা সালমা অারও ভেঙে পড়ে মানসিক ভাবে। স্বামীর প্রতারণা, দুই সন্তানকে কোল থেকে কেড়ে নেওয়ায় সে অারও অস্থির হয়ে ওঠে। কোনোভাবেই সে এসব মেনে নিতে পারে নি। কিন্তু তাকে মিজান কিংবা তার পরিবারের কেউ গুরুত্ব দেয়নি! মিজান সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়! সালমা একসময় পাগলের মতো ছুটাছুটি করতে থাকে।
এদিকে সালমার অাপন বলতে কেউ নেই। চাচাতো ভাইয়েরাও গরীব দিনমজুর। সালমার চিকিৎসা কিংবা ভরণ পোষনেরও সাধ্য নেই তাদের। তবুও তারা চেষ্টার ত্রুটি করেনি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মিজানের সাথে যোগাযোগ করে তারা। মিজান স্ত্রী সালমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয়। পর্যায়ক্রমে ৪/৫ হাজার করে দু’একবার টাকা দেয় মিজান। সালমা প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে অাবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মিজান। টাকা পয়সা দুরে থাক্, স্ত্রী সালমার সাথে যোগাযোগও ছেড়ে দেয়! বছর দেড়েক হয়, সালমা এখন বদ্ধ পাগল! কেউ তার খোঁজ নেয় না। ৩২ বছর বয়সী যুবতী সালমা বিক্রিত ওই বাবার বাড়ি এবং বাড়ির অাশেপাশেই দিনরাত ঘুরাঘুরি কিংবা মাটিতে শুয়ে কাটায়। প্রতিবেশিরা দিলে দু’য়েকবেলা খায় নতুবা উপাস ঘুরে! মিজান দেশে অাসে যায় কিন্তু সালমার কোনো খোঁজ নেয় না।
সালমার এই করুন পরিনতিতে তার স্বামী মিজানকে দায়ী করে নামপ্রকাশ না করার শর্তে সদপাশা গ্রামের সালমার প্রতিবেশি একজন বলেন, মিজান পিতা-মাতা ও স্বজন হারা অসহায় এতিম মেয়েটির সাথে প্রতারণা করেছে, জালিয়াতি করেছে। মিজানের উচিৎ সালমার দায়িত্ব নেয়া। তার যত্ন নেয়া। চিকিৎসা করালে সালমা সুস্থ হয়ে উঠবে। তিনি অারও বলেন, পিতামাতা ও স্বজনহারা সালামার এই পরিনতির জন্য মিজান অাল্লাহ’র কাঠগড়া থেকে রেহাই পাবে না। যুবতী একটা মেয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া পাগল। যেকোনো সময় কোন অনাকাঙ্খিত অঘটন ঘটতে পারে! যার দায়ভার সে এড়াতে পারবে না!
এ ব্যাপারে তিনি কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে সালমার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি’র সাথে। মিসেস পপি বলেন, সালমার বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। ঘটনাটি জানা ছিল না। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি! সালমার পক্ষে কেউ অভিযোগ বা যোগাযোগ করলে বিষয়টি স্থানীয় বা প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অাশ্বাস দেন তিনি।