ঢাকা , রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইরানের সাহস দেখলো পুরো বিশ্ব,যুক্তরাষ্ট্র টের টের পেলো ইরানের শক্তি ৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

ভারতীয় গরু আটক করে বিপাকে কানাইঘাট থানা পুলিশ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৫০৯ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুই দফায় সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ ৩০টি ভারতীয় গরু আটক করে চরম বিপাকে পড়েছে। আটককৃত গরু গুলো থানার অভ্যন্তরে রাখায় যত্রতত্র মল-মূত্রের কারনে দূর্গন্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। থানার ভিতরে গরুগুলোর অবাধ বিচরন ও গো-খাদ্যের সংকট থাকায় এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। গরু গুলো দেখা শুনা করতেও পুলিশের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। জানা যায়, গত ২২ আগষ্ট কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মমতাজগঞ্জ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসা ১৯টি গরু আটক করে। এর মধ্যে একটি গরু মারা যায়। এরপর গত ২৭ আগষ্ট সীমান্ত এলাকা থেকে আরো ১২টি ভারতীয় গরু মালিকবিহীন অবস্থায় আটক করে পুলিশ। আইনী জটিল প্রক্রিয়ার কারনে গরুগুলোর নিলাম বা বিক্রি করতে পারছে না পুলিশ। যার কারনে থানায় রাখা ৩০টি গরু একদিকে খাবার সংকটের কারনে রোগাক্রান্ত হচ্ছে অপরদিকে থানার ভিতরে গরুগুলো অবাধ বিচরনের কারনে থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগিরাও বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছেন। পুলিশকে দৈনন্দিন কাজ অনেক ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে গরুর পিছনে থাকতে হচ্ছে। গরুগুলো দেখা শুনার জন্য পুলিশের পাশাপাশি আলাদা লোকও রাখা হয়েছে। এব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কানাইঘাটে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে আসা ভারতীয় গরু আটক করা শুধুমাত্র পুলিশের একার কাজ নয়। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম, ওয়ারেন্ট তামিল ও আইন শৃঙ্খলার কাজ বাদ দিয়ে গরুর পিছনে ছুটতে হচ্ছে। গরু আটক করতে সীমান্তরক্ষী বর্ডারগার্ড বিজিবিকে মূলত বড় ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন সহ সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আমি কানাইঘাট থানায় যোগদান করার পর ৩০টি ভারতীয় গরু পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে আটক করেছি। এ নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গরুগুলো আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা চাওয়ার পরও আইনী প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্র থাকার কারনে গরুগুলো থানার অভ্যন্তরে রাখা হয়েছে। যার কারনে পুলিশকে নানাধরনের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। খাবার সংকটের কারনে অনেক গরু একে বারে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

ভারতীয় গরু আটক করে বিপাকে কানাইঘাট থানা পুলিশ

আপডেটের সময় : ০২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুই দফায় সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ ৩০টি ভারতীয় গরু আটক করে চরম বিপাকে পড়েছে। আটককৃত গরু গুলো থানার অভ্যন্তরে রাখায় যত্রতত্র মল-মূত্রের কারনে দূর্গন্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। থানার ভিতরে গরুগুলোর অবাধ বিচরন ও গো-খাদ্যের সংকট থাকায় এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। গরু গুলো দেখা শুনা করতেও পুলিশের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। জানা যায়, গত ২২ আগষ্ট কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মমতাজগঞ্জ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসা ১৯টি গরু আটক করে। এর মধ্যে একটি গরু মারা যায়। এরপর গত ২৭ আগষ্ট সীমান্ত এলাকা থেকে আরো ১২টি ভারতীয় গরু মালিকবিহীন অবস্থায় আটক করে পুলিশ। আইনী জটিল প্রক্রিয়ার কারনে গরুগুলোর নিলাম বা বিক্রি করতে পারছে না পুলিশ। যার কারনে থানায় রাখা ৩০টি গরু একদিকে খাবার সংকটের কারনে রোগাক্রান্ত হচ্ছে অপরদিকে থানার ভিতরে গরুগুলো অবাধ বিচরনের কারনে থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগিরাও বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছেন। পুলিশকে দৈনন্দিন কাজ অনেক ক্ষেত্রে বাদ দিয়ে গরুর পিছনে থাকতে হচ্ছে। গরুগুলো দেখা শুনার জন্য পুলিশের পাশাপাশি আলাদা লোকও রাখা হয়েছে। এব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কানাইঘাটে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে আসা ভারতীয় গরু আটক করা শুধুমাত্র পুলিশের একার কাজ নয়। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম, ওয়ারেন্ট তামিল ও আইন শৃঙ্খলার কাজ বাদ দিয়ে গরুর পিছনে ছুটতে হচ্ছে। গরু আটক করতে সীমান্তরক্ষী বর্ডারগার্ড বিজিবিকে মূলত বড় ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন সহ সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আমি কানাইঘাট থানায় যোগদান করার পর ৩০টি ভারতীয় গরু পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে আটক করেছি। এ নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গরুগুলো আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা চাওয়ার পরও আইনী প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্র থাকার কারনে গরুগুলো থানার অভ্যন্তরে রাখা হয়েছে। যার কারনে পুলিশকে নানাধরনের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। খাবার সংকটের কারনে অনেক গরু একে বারে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।