ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
৫ বছরে নাগরিকত্ব কে ১০ বছর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পর্তুগাল বিপুল আনন্দ উল্লাসে শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন তোমার পরীক্ষা না নিলে,দেশবাসী তোমার পার্শ্বে – এডভোকেট আবেদ রাজা কুলাউড়ায় বিএনপির প্রার্থী চায় স্হানীয় নেতা কর্মিরা পর্তুগাল বিএনপির আসন্ন কমিটি এম এ হাকিম মিনহাজের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা পর্তুগালের আলমাদা তে সন্ত্রাসীর গুলিতে সিলেটের যুবক নিহত ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক সহ ভারতের গুজরাতে বিমানের বিধ্বস্ত কুলাউড়া সহ প্রবাসীদের আবেদ রাজা’র ঈদ শুভেচ্ছা ড, সাইফুল আলম চৌধুরী’র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা বদরুল আলম চৌধুরীর ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা

প্লট চাওয়ার বিষয়টি ভাইরাল হওয়ায় ক্ষেপেছেন রুমিন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯
  • / ৭৩৫ টাইম ভিউ

গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ে প্লট চাওয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়ে ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় ক্ষেপেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। ওই চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে বাইরে যাওয়ার পেছনে ‘সরকারের হাত’ রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত (সাবেক অর্থমন্ত্রী) কোনো পদে না থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনেছেন। সরকার তার সেই নোংরামি ও অসততাকে চাপা দেওয়ার জন্যে আমার বৈধ এপ্লিকেশন নোংরাভাবে পাবলিক করেছে। একটা সরকারি নথি যখন পাবলিক হয়, তখন সেখানে সরকারের মদদ থাকে।

প্লটের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা জানান, গত এক মাস আমার ফেসবুক হ্যাক হয়ে আছে। আমি বিষয়টি দেখিনি। তবে ফেসবুকে আমার যে চিঠিটা ভাইরাল হয়েছে সেটা না অবৈধ না অনৈতিক। সুবিধাটা রাষ্ট্রীয় সুযোগ বা রাষ্ট্রীয় অধিকার।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, একজন সংসদ সদস্য রাষ্ট্র থেকে জায়গার জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন সেই সুযোগ তার আছে, তিনি একটি ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি আনতে পারেন সেই সুযোগ তার আছে, তিনি বেতন-ভাতা পান এবং তিনি পাঁচ বছরের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট পান- এই চারটি জিনিস হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সুযোগ। এই রাষ্ট্রীয় সুযোগ যিনি সংসদ সদস্য হবেন তিনিই রাষ্ট্র থেকে পাবেন। সেই সুবাদে আমি একটি আবেদনপত্র দিয়েছি। শুধু আমি একা নই, অন্তত তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ এমপি অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছেন।

‘আমরা প্রশ্ন হলো- আমার চিঠিটা মন্ত্রণালয় থেকে বেরুলো কী করে? যেখানে আমার ব্যক্তিগত টেলিফোন নম্বর দেওয়া আছে?’

তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আমি এই সরকারের কাছ থেকে এক সুতা জমিও আশা করি না, আমি চিন্তাও করি না। এটা একটি প্রসিডিউর, একটি ফরমালিটিজ যেটা সব এমপি করেছেন, আমিও করেছি।

‘এই চিঠি আমি ড্রাফটও করিনি, আমার পিএস ড্রাফট করে দিয়ে দিয়েছে। সব পিএসরা যখন তাদের এমপিদের চিঠি ড্রাফট করেছে, আমার পিএসও ড্রাফট করে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার চিঠিটা কেনো ভাইরাল হলো? এটা ভাইরাল কেনো হলো তার উত্তর আমি নিজেই দিচ্ছি।’

রুমিন ফারহানা বলেন, গত দুদিন আগে আবুল মাল আবদুল মুহিত (সাবেক অর্থমন্ত্রী ) কোনো পদে না থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনেছিলেন। সরকার তার সেই নোংরামি ও অসততাকে চাপা দেওয়ার জন্যে আমার যে বৈধ অ্যাপ্লিকেশন সেটা নোংরাভাবে পাবলিক করেছে। একটা সরকারি নথি কখন পাবলিক হয় যখন সেখানে সরকারের মদদ থাকে।

‘এই সরকার আমাদের ফোনে আড়ি পাতে, এই সরকার আমাদের ফেসবুক হ্যাক করে, এই সরকার আমাদের সমস্ত গোপন নথি ইচ্ছে করে প্রকাশ করে। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, যারাই সরকারের কাজের সমালোচনা করবে, যারাই সরকারকে সঠিক পথে আনবার জন্যে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সে বিষয়ে কথা বলবে এবং সরকারের মনমতো কথা না বলবে তাদের ব্যাপারে সরকারের এক ধরনের চেষ্টা থাকে তাদের হিউমিলেটেড করা বা তাদের কোনো না কোনোভাবে ম্যালাইন করা।’

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো আমার চিঠিটা কি অবৈধ? কোন আইনে অবৈধ? এটা কি অনৈতিক কোনো আইনে অনৈতিক? এটা তো রাষ্ট্রীয় চিঠি। আমি তো সরকারের কাছ থেকে কিছুই চাইনি। আমার বেতনটা যেমন রাষ্ট্রীয়, আমার এই অ্যাপ্লিকেশনও রাষ্ট্রীয়।

‘এই সরকার যে অবৈধ এটা এখন বলছি, আগেও বলেছি- এটা সম্পূর্ণ অবৈধ সরকার। এটা জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচিত সরকার। এই সরকার সর্ব অর্থে অবৈধ সরকার। আমি সরকারের কাছে কোনো কিছু চাইনি। আমি রাষ্ট্রীয় সুযোগ চেয়েছি। এটা তারা (সরকার) করেছে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে যে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে ওইটাকে চাপা দেওয়ার জন্য, জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য। যাতে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে যায়।’

তিনি বলেন, আমি এখন চ্যালেঞ্জ করবো- যতজন এমপি অ্যাপ্লিকেশন করেছেন সব প্রকাশ করা হোক। রুমিন কেনো একলা?

রুমিন ফারহানা বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। একাদশ নির্বাচনে নারী সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৩ আগস্ট পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। একটি দৈনিক পত্রিকা এ নিউজ করার পর রোববার তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্লট চাওয়ার বিষয়টি ভাইরাল হওয়ায় ক্ষেপেছেন রুমিন

আপডেটের সময় : ০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৯

গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ে প্লট চাওয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়ে ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় ক্ষেপেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। ওই চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে বাইরে যাওয়ার পেছনে ‘সরকারের হাত’ রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত (সাবেক অর্থমন্ত্রী) কোনো পদে না থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি এনেছেন। সরকার তার সেই নোংরামি ও অসততাকে চাপা দেওয়ার জন্যে আমার বৈধ এপ্লিকেশন নোংরাভাবে পাবলিক করেছে। একটা সরকারি নথি যখন পাবলিক হয়, তখন সেখানে সরকারের মদদ থাকে।

প্লটের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা জানান, গত এক মাস আমার ফেসবুক হ্যাক হয়ে আছে। আমি বিষয়টি দেখিনি। তবে ফেসবুকে আমার যে চিঠিটা ভাইরাল হয়েছে সেটা না অবৈধ না অনৈতিক। সুবিধাটা রাষ্ট্রীয় সুযোগ বা রাষ্ট্রীয় অধিকার।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, একজন সংসদ সদস্য রাষ্ট্র থেকে জায়গার জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন সেই সুযোগ তার আছে, তিনি একটি ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি আনতে পারেন সেই সুযোগ তার আছে, তিনি বেতন-ভাতা পান এবং তিনি পাঁচ বছরের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট পান- এই চারটি জিনিস হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সুযোগ। এই রাষ্ট্রীয় সুযোগ যিনি সংসদ সদস্য হবেন তিনিই রাষ্ট্র থেকে পাবেন। সেই সুবাদে আমি একটি আবেদনপত্র দিয়েছি। শুধু আমি একা নই, অন্তত তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ এমপি অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছেন।

‘আমরা প্রশ্ন হলো- আমার চিঠিটা মন্ত্রণালয় থেকে বেরুলো কী করে? যেখানে আমার ব্যক্তিগত টেলিফোন নম্বর দেওয়া আছে?’

তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আমি এই সরকারের কাছ থেকে এক সুতা জমিও আশা করি না, আমি চিন্তাও করি না। এটা একটি প্রসিডিউর, একটি ফরমালিটিজ যেটা সব এমপি করেছেন, আমিও করেছি।

‘এই চিঠি আমি ড্রাফটও করিনি, আমার পিএস ড্রাফট করে দিয়ে দিয়েছে। সব পিএসরা যখন তাদের এমপিদের চিঠি ড্রাফট করেছে, আমার পিএসও ড্রাফট করে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার চিঠিটা কেনো ভাইরাল হলো? এটা ভাইরাল কেনো হলো তার উত্তর আমি নিজেই দিচ্ছি।’

রুমিন ফারহানা বলেন, গত দুদিন আগে আবুল মাল আবদুল মুহিত (সাবেক অর্থমন্ত্রী ) কোনো পদে না থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনেছিলেন। সরকার তার সেই নোংরামি ও অসততাকে চাপা দেওয়ার জন্যে আমার যে বৈধ অ্যাপ্লিকেশন সেটা নোংরাভাবে পাবলিক করেছে। একটা সরকারি নথি কখন পাবলিক হয় যখন সেখানে সরকারের মদদ থাকে।

‘এই সরকার আমাদের ফোনে আড়ি পাতে, এই সরকার আমাদের ফেসবুক হ্যাক করে, এই সরকার আমাদের সমস্ত গোপন নথি ইচ্ছে করে প্রকাশ করে। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, যারাই সরকারের কাজের সমালোচনা করবে, যারাই সরকারকে সঠিক পথে আনবার জন্যে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সে বিষয়ে কথা বলবে এবং সরকারের মনমতো কথা না বলবে তাদের ব্যাপারে সরকারের এক ধরনের চেষ্টা থাকে তাদের হিউমিলেটেড করা বা তাদের কোনো না কোনোভাবে ম্যালাইন করা।’

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো আমার চিঠিটা কি অবৈধ? কোন আইনে অবৈধ? এটা কি অনৈতিক কোনো আইনে অনৈতিক? এটা তো রাষ্ট্রীয় চিঠি। আমি তো সরকারের কাছ থেকে কিছুই চাইনি। আমার বেতনটা যেমন রাষ্ট্রীয়, আমার এই অ্যাপ্লিকেশনও রাষ্ট্রীয়।

‘এই সরকার যে অবৈধ এটা এখন বলছি, আগেও বলেছি- এটা সম্পূর্ণ অবৈধ সরকার। এটা জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচিত সরকার। এই সরকার সর্ব অর্থে অবৈধ সরকার। আমি সরকারের কাছে কোনো কিছু চাইনি। আমি রাষ্ট্রীয় সুযোগ চেয়েছি। এটা তারা (সরকার) করেছে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে যে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে ওইটাকে চাপা দেওয়ার জন্য, জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য। যাতে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে যায়।’

তিনি বলেন, আমি এখন চ্যালেঞ্জ করবো- যতজন এমপি অ্যাপ্লিকেশন করেছেন সব প্রকাশ করা হোক। রুমিন কেনো একলা?

রুমিন ফারহানা বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। একাদশ নির্বাচনে নারী সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৩ আগস্ট পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। একটি দৈনিক পত্রিকা এ নিউজ করার পর রোববার তা ফেসবুকে ভাইরাল হয়।