ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

দেশদিগন্ত নিউজঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
  • / ২৩৬৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজঃ কুলাউড়া উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ কর্তৃক স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন নিপীড়ন করে হুয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা।

জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনটিআরসির মাধ্যমে উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান ওই শিক্ষিকা। যোগদানের পর শিক্ষিকার এমপিও পদ করার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ তাঁর সমস্ত কাগজাদি ও ফাইল রেডি করে যত টাকা খরচ লাগবে তিনি সেই টাকা দেবার প্রতিশ্রæতি দেন। বিনিময়ে ওই শিক্ষিকাকে তার দেয়া নানা ধরণের যৌন হুয়রানি মূলক আচরণ ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হতে হবে। এই প্রণোদনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক তার রুমে ডেকে নিয়ে শিক্ষিকাকে কুরুচিপূর্ণ, অনৈতিক প্রস্তাবনা দিয়ে যৌন হুয়রানি করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্যও প্রস্তাব দেন। এরপরও থামেননি ওই প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বিভিন্ন সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্কুলের দপ্তরীর মাধ্যমে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করার প্রস্তাবনা দেন, কিন্তুু শিক্ষিকা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর শিক্ষিকাসহ আরো দুজন শিক্ষিকাকে এমপিও করানোর কথা বলে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ বিষয়টি স্থানীয় এলাকায় চাউর হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে শুরু হয় কানাঘোষা। ন্যায়বিচারের জন্য ওই শিক্ষিকা কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই শিক্ষিকা জানান, আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ আমার সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। অনেকদিন সহ্য করেছিলাম। বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ করেছি। এ ঘটনার সঠিক সমাধান না হলে আমি স্কুলে যাবো না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
শিক্ষিকার বাবা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন আচরণে আমার মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। সপ্তাহখানেক থেকে সে স্কুলে যাচ্ছে না। একদিন এমপিও করার স্বাক্ষরের জন্য মৌলভীবাজার শিক্ষা অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাড়ি আসতে দেরি দেখে আমি নিজে মৌলভীবাজার গিয়ে রাত ১১টায় আমার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমার মেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে দ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রস্তাবনা দিয়ে উত্যক্ত করেছেন সে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অভিযোগটি থানায় পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

আপডেটের সময় : ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজঃ কুলাউড়া উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ কর্তৃক স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন নিপীড়ন করে হুয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা।

জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনটিআরসির মাধ্যমে উপজেলার তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান ওই শিক্ষিকা। যোগদানের পর শিক্ষিকার এমপিও পদ করার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ তাঁর সমস্ত কাগজাদি ও ফাইল রেডি করে যত টাকা খরচ লাগবে তিনি সেই টাকা দেবার প্রতিশ্রæতি দেন। বিনিময়ে ওই শিক্ষিকাকে তার দেয়া নানা ধরণের যৌন হুয়রানি মূলক আচরণ ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হতে হবে। এই প্রণোদনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক তার রুমে ডেকে নিয়ে শিক্ষিকাকে কুরুচিপূর্ণ, অনৈতিক প্রস্তাবনা দিয়ে যৌন হুয়রানি করে আসছেন। প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাকে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্যও প্রস্তাব দেন। এরপরও থামেননি ওই প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বিভিন্ন সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্কুলের দপ্তরীর মাধ্যমে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করার প্রস্তাবনা দেন, কিন্তুু শিক্ষিকা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপর শিক্ষিকাসহ আরো দুজন শিক্ষিকাকে এমপিও করানোর কথা বলে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ বিষয়টি স্থানীয় এলাকায় চাউর হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে শুরু হয় কানাঘোষা। ন্যায়বিচারের জন্য ওই শিক্ষিকা কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই শিক্ষিকা জানান, আমি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ আমার সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। অনেকদিন সহ্য করেছিলাম। বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ করেছি। এ ঘটনার সঠিক সমাধান না হলে আমি স্কুলে যাবো না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
শিক্ষিকার বাবা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন আচরণে আমার মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছে। সপ্তাহখানেক থেকে সে স্কুলে যাচ্ছে না। একদিন এমপিও করার স্বাক্ষরের জন্য মৌলভীবাজার শিক্ষা অফিসে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাড়ি আসতে দেরি দেখে আমি নিজে মৌলভীবাজার গিয়ে রাত ১১টায় আমার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমার মেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে দ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রস্তাবনা দিয়ে উত্যক্ত করেছেন সে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অভিযোগটি থানায় পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।