মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়কের বেহাল দশা
- আপডেটের সময় : ১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
- / ১৮৪০ টাইম ভিউ
ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের উন্নয়ন কাজ গত বছরের শেষ দিকে একনেক এর বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন পেলে এখন পর্যন্ত এই রাস্তাটির টেন্ডার হয়নি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের চলাচলের এ একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করে চলছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি সংস্কার না করায় যান চলাচলের অনুপুযোগি হয়ে পড়ছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দে ভরপুর।
সরেজমিন এ সড়ক দিয়ে মৌলভীবাজার যাতায়াতের সময় দেখো যায়, এ সড়কের প্রায় দুই শতাধিক স্থানে পিচ উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল এখন অনুপুযোগি হয়ে পড়ছে। এ চিত্র চোখে পড়ে। চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে অনেক পর্যটক এ রাস্তা ব্যবহার করে ভারতে যেতে হয়। চাতলাপুর চেকপোস্ট ও শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে যান চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের চার উপজেলার ১৫/১৬ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ জেলায় যাতায়াত করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভেগ।
বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি চালক ছুরুক মিয়া, রুপেশ্বর দেবনাথ, মালিক মিয়া, শুকুর মিয়া, রনি পাল, সুলতান আহমদ, আলমগীর হোসেন, ফারুক মিয়া, শামছু মিয়া, নাজমুল হোসেন, ট্রাক চালক শাহাজান মিয়া জানান, রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে। প্রতি সপ্তাহে ২/৩দিন গাড়ি নিয়ে ওয়ার্কশপে যেতে হয়। তাছাড়া যে কোন সময় এই সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
মৌলভীবাজার যাতায়াতকারী মোটরসাইকেল আরোহী গাজী জাবের আহমদ জানান, রাস্তাটি দুইটি সংসদীয় এলাকায় বিভক্ত রয়েছে। দুটি আসনেই শক্তিশালী দুজন সাংসদ বিদ্যমান থাকা সত্তেও জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি বেহাল দশার চিন্তার কারন। তারা আরও বলেন, আমার মনে হয় সাংবাদিকদের লিখনির মাধ্য সড়কটির বেহাল দশা সম্পর্কে এই দুজন সাংসদের নজরে আসতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম জানান, আমি কিছুদিন পূর্বে এ জেলায় যোগদান করেছি। যোগদান করেই রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। অতিসম্প্রতি ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম এসে রাস্তাটি সার্ভে করে গেছে। এই রাস্তাটি একবার টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে আবাার নতুনভাবে ইস্টিমিট করা হবে। তবে তিনি আশাবাদী দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।