ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

১৮ তলায় উঠেও বাঁচতে পারেননি বৃষ্টি

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯
  • / ১৩৬১ টাইম ভিউ

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের একজন যশোরের মেয়ে শেখ জারিন তাসমিম বৃষ্টি (২৫)। আগুন থেকে বাঁচার জন্যে স্বামীর শেষ নির্দেশনায় ছাদে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কর্মস্থল ৯ম তলা থেকে ১৮ তলার সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলেন। সেখানেই পড়েছিল তার নিথর দেহ।

শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টির মরদেহ বাবার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোড এলাকায় আনা হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। বিকেলে জানাজা শেষে যশোরের কারবালা গোরস্থানে বৃষ্টির দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ২৬ মার্চ সহপাঠী যশোরের পুরাতন কসবা এলাকার কাজী সাদ নূরের সঙ্গে বিয়ে হয় বৃষ্টির। কাজী সাদ নূর ঢাকার রেডিসন হোটেলে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করতেন তারা। দুই বোনের মধ্যে বৃষ্টি ছিলেন ছোট। চাকরির কারণে বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়া কম ছিল। তবে বড় বোনের সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদের ছুটিতে যশোরে বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে আসতেন।

বৃষ্টির দেবর কাজী নিপুন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় ভাইকে ফোন দিয়ে ভাবি (বৃষ্টি) আগুন লাগার কথা জানান। এ সময় ভাই ভাবিকে ছাদে উঠে অবস্থান নিতে পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী তিনি সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতেও শুরু করেন। কিন্তু তিনি ছাদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। ১৮ তলার সিঁড়িতেই পড়েছিল তার মরদেহ। মরদেহের সঙ্গে পাওয়া ব্যাগে মোবাইল থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্বজনদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মর্গে জামাকাপড় ও স্যান্ডেল দেখে আত্মীয় ও সহকর্মীরা মরদেহ শনাক্ত করেন। তার চেহারা চেনা না গেলেও শরীর পোড়েনি। ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

১৮ তলায় উঠেও বাঁচতে পারেননি বৃষ্টি

আপডেটের সময় : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের একজন যশোরের মেয়ে শেখ জারিন তাসমিম বৃষ্টি (২৫)। আগুন থেকে বাঁচার জন্যে স্বামীর শেষ নির্দেশনায় ছাদে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কর্মস্থল ৯ম তলা থেকে ১৮ তলার সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিলেন। সেখানেই পড়েছিল তার নিথর দেহ।

শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টির মরদেহ বাবার বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোড এলাকায় আনা হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। বিকেলে জানাজা শেষে যশোরের কারবালা গোরস্থানে বৃষ্টির দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ২৬ মার্চ সহপাঠী যশোরের পুরাতন কসবা এলাকার কাজী সাদ নূরের সঙ্গে বিয়ে হয় বৃষ্টির। কাজী সাদ নূর ঢাকার রেডিসন হোটেলে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করতেন তারা। দুই বোনের মধ্যে বৃষ্টি ছিলেন ছোট। চাকরির কারণে বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়া কম ছিল। তবে বড় বোনের সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদের ছুটিতে যশোরে বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে আসতেন।

বৃষ্টির দেবর কাজী নিপুন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় ভাইকে ফোন দিয়ে ভাবি (বৃষ্টি) আগুন লাগার কথা জানান। এ সময় ভাই ভাবিকে ছাদে উঠে অবস্থান নিতে পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী তিনি সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতেও শুরু করেন। কিন্তু তিনি ছাদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। ১৮ তলার সিঁড়িতেই পড়েছিল তার মরদেহ। মরদেহের সঙ্গে পাওয়া ব্যাগে মোবাইল থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্বজনদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মর্গে জামাকাপড় ও স্যান্ডেল দেখে আত্মীয় ও সহকর্মীরা মরদেহ শনাক্ত করেন। তার চেহারা চেনা না গেলেও শরীর পোড়েনি। ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।