ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পবিত্র কাবা থেকে বদরের প্রান্তরে… কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম কে সংবর্ধনা দিয়েছে মনফালকনে গরিজিয়া বিএনপি ইতালির মিলানে রকমারি সাজে নানান আয়োজনে প্রবাসীদের বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন বর্তমান পরিস্থিতির উপর দেশবাসীকে যে বার্তা দিলেন শায়খ নূরে আলম হামিদী স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন

এটিই আমার শেষ মেয়াদ : প্রধানমন্ত্রী

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ১৩২১ টাইম ভিউ

এটিই শেষ মেয়াদ। আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছে শেখ হাসিনা নিজেই।

ডয়েচে ভেলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার বিষয়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এবারই শেষবার। তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তিনি মনে করেন, নতুনদের সুযোগ পাওয়া উচিত।

সাক্ষাৎকারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়েও তার অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তা নিশ্চিতে পদক্ষেপও নিয়েছেন। বাংলাদেশ বহু বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। তখন দেশ একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল চলত, যা ছিল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল চালুর অনুমতি দেন।

বাংলাদেশে গত এক দশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বছরে গড়ে ৬ থেকে ৭ ভাগ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ বাণিজ্য বেড়েছে৷ বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে৷

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার শিশু-কিশোর-তরুণ যারা বেড়ে উঠছে, তাদের জন্য মধ্যবর্তী বিকল্প উপায় ভাবার চেষ্টা করছে৷ আমরা একটা দ্বীপ বেছে নিয়েছি৷ সেখানে আমরা বাঁধ দিয়েছি৷ সাইক্লোন শেল্টার ও ঘরবাড়ি তৈরি করেছি৷ আমরা তাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই এবং কাজ দিতে চাই৷ তাহলে তরুণ ও নারীরা অর্থ উপার্জন করতে পারবে৷

তবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়াকে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বলে মনে করেন হাসিনা৷ তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই এই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যেতে চায় বাংলাদেশ৷ এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভুমিকা রাখতে পারে৷

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না৷ আমাদের সাথে একটা চুক্তিও হয়েছে যে, তারা ফেরত নিয়ে যাবে৷ চীন ও ভারতের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে যে পাঁচটি দেশের বর্ডার আছে, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও লাওস, আমরা সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি যে, কীভাবে এই সমস্যা সমাধানে তাদের কাজ করা উচিত৷

পোস্ট শেয়ার করুন

এটিই আমার শেষ মেয়াদ : প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

এটিই শেষ মেয়াদ। আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছে শেখ হাসিনা নিজেই।

ডয়েচে ভেলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার বিষয়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এবারই শেষবার। তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তিনি মনে করেন, নতুনদের সুযোগ পাওয়া উচিত।

সাক্ষাৎকারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়েও তার অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তা নিশ্চিতে পদক্ষেপও নিয়েছেন। বাংলাদেশ বহু বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। তখন দেশ একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল চলত, যা ছিল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল চালুর অনুমতি দেন।

বাংলাদেশে গত এক দশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বছরে গড়ে ৬ থেকে ৭ ভাগ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ বাণিজ্য বেড়েছে৷ বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে৷

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার শিশু-কিশোর-তরুণ যারা বেড়ে উঠছে, তাদের জন্য মধ্যবর্তী বিকল্প উপায় ভাবার চেষ্টা করছে৷ আমরা একটা দ্বীপ বেছে নিয়েছি৷ সেখানে আমরা বাঁধ দিয়েছি৷ সাইক্লোন শেল্টার ও ঘরবাড়ি তৈরি করেছি৷ আমরা তাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই এবং কাজ দিতে চাই৷ তাহলে তরুণ ও নারীরা অর্থ উপার্জন করতে পারবে৷

তবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়াকে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বলে মনে করেন হাসিনা৷ তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই এই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যেতে চায় বাংলাদেশ৷ এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভুমিকা রাখতে পারে৷

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না৷ আমাদের সাথে একটা চুক্তিও হয়েছে যে, তারা ফেরত নিয়ে যাবে৷ চীন ও ভারতের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে যে পাঁচটি দেশের বর্ডার আছে, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও লাওস, আমরা সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি যে, কীভাবে এই সমস্যা সমাধানে তাদের কাজ করা উচিত৷