ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিল কিশোরী

দেশ দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০
  • / ৪৫৫ টাইম ভিউ

লঞ্চ স্টাফদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিলেন ভোলার তজুমদ্দিনের এক কিশোরী। প্রায় ৩ ঘণ্টা নদীতে ভাসার পর জেলেদের সহায়তায় ফিরে পান নতুন জীবন।

১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী কাজের সন্ধানে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের যাত্রী হয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে শনিবার (০৪ জুলাই) সন্ধ্যায় তজমুদ্দিনের ভুঁইয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে লঞ্চ-স্টাফরা তাকে উদ্ধার না করেই গন্তব্য ঢাকায় চলে যায়।

বর্তমানে তিনি তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। মেঘনার মধ্যবর্তী তেলিয়ার চরের কবির হোসেনের মেয়ে ওই কিশোরী। হাসপাতালে ভর্তি কিশোরী জানান, কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে শনিবার সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন ঘাট থেকে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চে উঠেন।

লঞ্চে উঠার পর থেকেই কয়েকজন স্টাফ তাকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয় এবং উত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে লঞ্চের কেবিনে ঢোকানের জন্য টানা-হেঁচড়া শুরু করলে নিরুপায় হয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি বয়া ফেললেও পানির স্রোত বেশি থাকায় বয়া ধরতে পারেনি। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায় লঞ্চটি।

নদীতে ঝাঁপ দেয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জেলেদের ট্রলার এসে তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। উদ্ধার করা নৌকার জেলে রায়হান জানান, তারা নদীতে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রস্তুত করছিলেন। এমন সময় নদীর মাঝে মেয়েটির ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে যান এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

পরে তাকে মিজান তালুকদারসহ স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে। তজুমদ্দিন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার জানান, জেলেরা উদ্ধারের পর বিষয়টি তাকে জানায়। পরে তিনি ইউএনও এবং ওসির সাথে কথা বলে হাসপাতাল ভর্তি করান। তার সামনেও লঞ্চ স্টাফদের টানা হেঁচড়ার কথা মেয়েটি বলেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল জানান, কিশোরী নদীতে ঝাঁপ দেয়ার সময় ডান হাতে আঘাত পেয়েছে। জেলেরা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ঝুঁকিমুক্ত আছে।

তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক জানান, চিকিৎসা শেষে কিশোরীর বক্তব্য নেয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অভিভাকদের খুঁজে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, কিশোরীকে সুস্থ করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হাসপাতালকে বলা হয়েছে।#

পোস্ট শেয়ার করুন

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিল কিশোরী

আপডেটের সময় : ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

লঞ্চ স্টাফদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিলেন ভোলার তজুমদ্দিনের এক কিশোরী। প্রায় ৩ ঘণ্টা নদীতে ভাসার পর জেলেদের সহায়তায় ফিরে পান নতুন জীবন।

১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী কাজের সন্ধানে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের যাত্রী হয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে শনিবার (০৪ জুলাই) সন্ধ্যায় তজমুদ্দিনের ভুঁইয়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে লঞ্চ-স্টাফরা তাকে উদ্ধার না করেই গন্তব্য ঢাকায় চলে যায়।

বর্তমানে তিনি তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। মেঘনার মধ্যবর্তী তেলিয়ার চরের কবির হোসেনের মেয়ে ওই কিশোরী। হাসপাতালে ভর্তি কিশোরী জানান, কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে শনিবার সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন ঘাট থেকে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চে উঠেন।

লঞ্চে উঠার পর থেকেই কয়েকজন স্টাফ তাকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয় এবং উত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে লঞ্চের কেবিনে ঢোকানের জন্য টানা-হেঁচড়া শুরু করলে নিরুপায় হয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি বয়া ফেললেও পানির স্রোত বেশি থাকায় বয়া ধরতে পারেনি। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায় লঞ্চটি।

নদীতে ঝাঁপ দেয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর জেলেদের ট্রলার এসে তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। উদ্ধার করা নৌকার জেলে রায়হান জানান, তারা নদীতে মাছ ধরার জন্য ট্রলার প্রস্তুত করছিলেন। এমন সময় নদীর মাঝে মেয়েটির ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনে তারা এগিয়ে যান এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

পরে তাকে মিজান তালুকদারসহ স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে। তজুমদ্দিন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার জানান, জেলেরা উদ্ধারের পর বিষয়টি তাকে জানায়। পরে তিনি ইউএনও এবং ওসির সাথে কথা বলে হাসপাতাল ভর্তি করান। তার সামনেও লঞ্চ স্টাফদের টানা হেঁচড়ার কথা মেয়েটি বলেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল জানান, কিশোরী নদীতে ঝাঁপ দেয়ার সময় ডান হাতে আঘাত পেয়েছে। জেলেরা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ঝুঁকিমুক্ত আছে।

তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক জানান, চিকিৎসা শেষে কিশোরীর বক্তব্য নেয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অভিভাকদের খুঁজে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, কিশোরীকে সুস্থ করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হাসপাতালকে বলা হয়েছে।#