ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

আবারও হেড লাইনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফের সংঘর্ষ ও গুলি, পুলিশসহ আহত ৬৫

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৩৩৩ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক: সাম্প্রতিক করোনা মহামারীর মধ্যেই একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এবার জেলার নাসিরনগরে ধান মাড়াই করা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৬০ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ১৯ এপ্রিল উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিঘর ও সূচীউড়ার তিতাস নদীর পাড়ে ফারুক মিয়া ধান মাড়াই করছিল। ওই সময় কামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ধান মাড়াইয়ের উপর একটি ছোট ট্রাক উঠিয়ে দেয়। তখন ফারুক তাতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি দুপক্ষের লোকজন জানতে পেরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘন্টা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় কামালের পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। তখন শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আহতদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় হয়।

গোকর্ণ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংর্ঘষ হয়। উভয় পক্ষের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, করোনার ভয়ে মানুষ যখন ঘরে বন্দী, নাসিরনগরে তখন প্রতিদিনই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। যা খুবই দুঃখজনক। গতকাল একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

আবারও হেড লাইনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফের সংঘর্ষ ও গুলি, পুলিশসহ আহত ৬৫

আপডেটের সময় : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

দেশদিগন্ত ডেস্ক: সাম্প্রতিক করোনা মহামারীর মধ্যেই একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এবার জেলার নাসিরনগরে ধান মাড়াই করা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৬০ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ১৯ এপ্রিল উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিঘর ও সূচীউড়ার তিতাস নদীর পাড়ে ফারুক মিয়া ধান মাড়াই করছিল। ওই সময় কামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ধান মাড়াইয়ের উপর একটি ছোট ট্রাক উঠিয়ে দেয়। তখন ফারুক তাতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি দুপক্ষের লোকজন জানতে পেরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন উভয়পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ৪ ঘন্টা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় কামালের পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। তখন শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আহতদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় হয়।

গোকর্ণ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংর্ঘষ হয়। উভয় পক্ষের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বলেন, করোনার ভয়ে মানুষ যখন ঘরে বন্দী, নাসিরনগরে তখন প্রতিদিনই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। যা খুবই দুঃখজনক। গতকাল একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।