ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মাছ দিয়েই উন্নত স্বাদের বিস্কুট ও চানাচুর উদ্ভাবন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৭২৭ টাইম ভিউ

দেশের ইতিহাসে মাছ থেকে এই প্রথম ভিন্ন স্বাদের বিস্কুট-চানাচুর তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের একদল গবেষক সফলভাবে এ উদ্ভাবন শেষ করেছেন।

মাছের সঠিক ব্যবহার, ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি আর মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তারা। বিস্কুট ও চানাচুর তৈরীর গবেষণায় এক বছর ব্যায় করেছেন গবেষকরা।

ইতোমধ্যে পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে সাউফিস বিস্কুট-১, সাউফিস চানাচুর-১, সাউফিস বিস্কুট-২ ও সাউফিস চানাচুর-২।

গবেষক দলের প্রধান এবং ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুর উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ খাবার। যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের আমিষ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে এ বিস্কুট ও চানাচুর।

উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে গবেষণা কর্মের সহযোগী ও একোয়াকালচার বিভাগের সভাপতি ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘শিশুদের কাছে বিস্কুট আর চানাচুর আকর্ষণীয় খাবার। উদ্ভাবিত দুটি খাবারে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আমিষ, ২০-২৫ শতাংশ চর্বি, এবং ২০-২৫ শতাংশ শর্করা রয়েছে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আকর্ষণীয় খাবারের মাধ্যমে শিশুদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতেই পাঙ্গাস আর সিলভার কার্প বেছে নেয়া হয়েছে।’

গবেষক দল মাছ থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ভোগ্য পণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপাচার্য গবেষক দলের প্রশংসা করেন ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উদ্ভাবিত এ পণ্য দুটি মাছের (পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প) ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে চাষীদের সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

পোস্ট শেয়ার করুন

মাছ দিয়েই উন্নত স্বাদের বিস্কুট ও চানাচুর উদ্ভাবন

আপডেটের সময় : ১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

দেশের ইতিহাসে মাছ থেকে এই প্রথম ভিন্ন স্বাদের বিস্কুট-চানাচুর তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের একদল গবেষক সফলভাবে এ উদ্ভাবন শেষ করেছেন।

মাছের সঠিক ব্যবহার, ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি আর মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তারা। বিস্কুট ও চানাচুর তৈরীর গবেষণায় এক বছর ব্যায় করেছেন গবেষকরা।

ইতোমধ্যে পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে সাউফিস বিস্কুট-১, সাউফিস চানাচুর-১, সাউফিস বিস্কুট-২ ও সাউফিস চানাচুর-২।

গবেষক দলের প্রধান এবং ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুর উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ খাবার। যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের আমিষ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে এ বিস্কুট ও চানাচুর।

উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে গবেষণা কর্মের সহযোগী ও একোয়াকালচার বিভাগের সভাপতি ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘শিশুদের কাছে বিস্কুট আর চানাচুর আকর্ষণীয় খাবার। উদ্ভাবিত দুটি খাবারে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আমিষ, ২০-২৫ শতাংশ চর্বি, এবং ২০-২৫ শতাংশ শর্করা রয়েছে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আকর্ষণীয় খাবারের মাধ্যমে শিশুদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতেই পাঙ্গাস আর সিলভার কার্প বেছে নেয়া হয়েছে।’

গবেষক দল মাছ থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ভোগ্য পণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপাচার্য গবেষক দলের প্রশংসা করেন ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উদ্ভাবিত এ পণ্য দুটি মাছের (পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প) ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে চাষীদের সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।