স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র
- আপডেটের সময় : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
- / ২৫৮ টাইম ভিউ
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ।
পর্তুগালে গণতন্ত্র বিপ্লবের ৫০ বছর পূর্তি প্রায় ৬ লাখ মানুষের র্যালী
১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্র,একদলীয় ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল এস্তাদো নভোর রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন।
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব বর্ডার বা মানচিত্র অর্জন নয়, নিজস্ব বর্ডারও কারাগার হয়ে যায় যদি গণতন্ত্র বাকস্বাধীনতা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার না থাকে।
আজ ২৫ই এপ্রিল, পর্তুগালের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তি। ১৯৭৪ সালের এই তারিখে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পর্তুগালের দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারি শাসনের বিরুদ্ধে অবসান ঘটে এবং এই দিনটিকে পর্তুগীজ জাতি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বাধীনতা দিবস হিসেবে গ্রহণ করে।
পর্তুগালকে প্রতিটি স্হরে আধুনিকীকরণ করতে সক্ষম করে, তাই বিপ্লবের তারিখটিকে দিয়া ডি লিবারডে (স্বাধীনতা দিবস) হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।
পর্তুগাল ডিকোডেড অনুসারে নাগরিকদের অধিকার বিপ্লবের পরে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, যার ফলে দেশের উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার উন্নতি হয়েছে। আজ,১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাই ভোট দিতে পারে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় এবং নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রয়েছে। বিপ্লবের বছরটি ঔপনিবেশিক যুদ্ধের সমাপ্তিও নিয়ে আসে এবং ১৯৮৬ সালে, পর্তুগাল ইইউতে যোগদান করতে পারে এবং এই অ্যাক্সেস থেকে উপকৃত হচ্ছে।
গণতন্ত্র পুর্নউদ্ধার করে বিপ্লব পর্তুগালের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক, যেখানে অগ্রগতির একটি পথ চালু করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ২৫ এপ্রিল
পর্তুগালের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠার ৫০ বছর পর যে পরিবর্তন হয়েছে, তা পর্তুগালের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক, যেখানে অগ্রস্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠার ৫০বছর পর্তুগাল বিপ্লবের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।
যদি পিছনে ফিরে ইতিহাসের দিকে তাকানো হয়, তাহলে উপলব্ধি করা যায়সে সময় কীভাবে সশস্ত্র বাহিনী আন্দোলন (MFA) এর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ২৫ শে এপ্রিল ১৯৭৪ সালে -এ লিসবনের রাস্তায় নেমেছিল এবং এস্তাদো নভোকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুর্নউদ্ধার করে ইতিহাস তৈরি করেছিল।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং পর্তুগালকে প্রতিটি স্তরে আধুনিকীকরণ করতে সক্ষম হয়, তাই বিপ্লবের তারিখটিকে দিয়া ডি লিবারডে (স্বাধীনতা দিবস) হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।
৫০ বছর পরে তাতে পরিবর্তন হয়েছে কি, তথ্য দেওয়া হলো
সালাজার একনায়কত্ব (১৯৩৩-১৯৭৪ )একটি একদলীয় ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল যা এস্তাদো নভোর রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের কেন্দ্রীয় যন্ত্র হিসাবে গোপন পুলিশ পিআইডিইকে ব্যবহার করেছিল।
পর্তুগাল ডিকোডেড অনুসারে নাগরিকদের অধিকার বিপ্লবের পরে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, যার ফলে দেশের উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার উন্নতি হয়েছে। আজ,১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাই ভোট দিতে পারে, নিজের মতামত ব্যাক্ত করতে পারে।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় এবং নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রয়েছে। বিপ্লবের বছরটি ঔপনিবেশিক যুদ্ধের সমাপ্তিও নিয়ে আসে এবং ১৯৮৬ সালে, পর্তুগাল ইইউতে যোগদান করে এবং এই অ্যাক্সেস থেকে অভিবাসীরা পর্তুগাল উপকৃত হচ্ছে ।
যা পর্তুগাল ডিকোডেডের ইনফোগ্রাফিক দ্বারা চিত্রিত, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসেবা ও অভিবাসী ছিল বিপ্লবের অন্যতম সেরা অর্জন।