ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা রিডানডেন্ট ক্লোথিং আর মজুর মামার ‘বিশ্বকাপ’ ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন ঈদের কাপড় কিনার জন্য মা’য়ের উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা লিসবনে বন্ধু মহলের আয়োজনে বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল

যে কারণে কাদিয়ানিরা কাফির

মাহদী হাসান
  • আপডেটের সময় : ০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ২৮৬ টাইম ভিউ

১৯৭৪ সালে ১৪৪ টি মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল মক্কা মুকাররামায় সমবেত হয়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আকিদা-বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করে কাদিয়ানীরা কাফির বলে সবাই একত্বতা পোষণ করেন। তৎকালিন সৌদি সরকার কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণা করে সঙ্গে সঙ্গে সৌদিতে কাদিয়ানীদের প্রবেশ চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

 

৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের জাতিয় সংসদ কতৃক সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির অনুসারীদেরকে ইসলামের গণ্ডিবহিভূ্ত অমুসলিম [কাফের] ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

কেননা, কাদিয়ানিউজম ফেতনার মূল উৎসই ছিলো পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকেই পুরো বিশ্বে এই ফিতনার বিকাশ। ১৯৮৮ সালে ইরাকে সকল মুসলিম দেশের ধর্মমন্ত্রীরা একত্রিত হয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন যে নিজ নিজ দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম [কাফের] ঘোষণা করবেন। বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সফল হলেও বাংলাদেশের মত ধর্মপ্রাণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্র বর্তমান পর্যন্ত এই ওয়াদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই দেশে সাংবিধানিকভাবে কাদিয়ানীদের কাফের [অমুসলিম-কাফির] ঘোষণা করা হয়নি। যা অত্যন্ত দু:খজনক!

এখনও ১৮ কোটি মুসলমানদের প্রাণের দাবি হলো অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে অমুসলিম [কাফের] ঘোষণা করা হোক। এবং তাদের কতৃক লোকদেখানো ইসলামের নামে সেমিনার-জলসা- ইজতিমা এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা হোক। কেননা কাদিয়ানীরা কাফির। ইসলামের নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে কিছু করার কোন অধিকার তাদের নেই।

 

মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এবং তার অনুসারীরা যে যে কারণে কাফির। তাদের কিছু ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাস নিম্নে পেশ করা হলো।

[১] খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার:
যার মধ্যে ইসলামের নূনতম জ্ঞান ও আছে, তিনি জানেন যে, আমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ সা. ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ এবং ‘সর্বশেষ নবি’ বা ‘আখেরী নবি’। তাঁর পর দুনিয়াতে আর কোন নবি আসবেন না। তাঁর আগমনের মাধ্যমেই দুনিয়াতে নবুওয়াতের এই ধারাবাহিকতা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। এই আকিদা-বিশ্বাস সরাসরি কুরআন-হাদিসের ‘নুসুস’ দ্বারা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত। এই আকিদা-বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক-অপরিহার্য। এই মতাদর্শ অস্বীকারকারীরা কাফির, ইসলামে গণ্ডিবহিভূত।
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকারকারী। সে নিজেকে ‘যিল্লি নবি’ বুরুজী নবি’ সর্বশেষ নবি হিসাবে দাবি করে, আর তার অনুসারীরা এই আকিদায় বিশ্বাসী, সুতরাং কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকারকারী কাদিয়ানীরা কাফির।

[২] ‘মাসীহ’ হওয়ার দাবি:
কুরআনুল কারীমের অনেক আয়াত এবং অনেক ‘মারফু’ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত শেষ যুগে হযরত ঈসা ‘মাসিহ’ আলাইহিস্ সালাম আগমন করবেন। কিন্তু কাদিয়ানীরা দাবি করে প্রতিশ্রুত ‘মাসীহ’ হলেন ‘গোলাম আহমদ কাদিয়ানী'[ নাউজুবিল্লাহ] ঈসা আলাইহিস্ সালাম নয়।

[৩] জিহাদকে অস্বীকার:
ইসলামে জিহাদ মুসলমানদের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ফরজ করা হয়েছে, এটি সর্বসম্মত স্বীকৃত আকিদা-বিশ্বাস। কিন্তু বিটিশ বেনিয়া গোষ্ঠির দালাল মির্জা গোলাম ও তার অনুসারীদের বক্তব্য হলো: ইসলামে জিহাদের বিধান রহিত হয়ে গেছে, অস্ত্রের জিহাদ মোটেও জায়েজ নয়। তারা জিহাদকে চূড়ান্ত হারাম বলে বিশ্বাস করে।

[৪] কুরআনুল কারীমে রাসুল সা. মর্যাদা সংক্লান্ত আয়াতগুলো অস্বীকার: মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দাবি মতে সে আয়াতগুলো তার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। [নাউযুবিল্লাহ]
[খুতবায়ে ইলহামিয়া পৃ.১৬-১৮]

[৫] ‘কাদিয়ান’গ্রামের নাম কুরআনে আছে:-
মির্জা গোলাম আহমদের ভাষ্যমতে কুরআনে তিনটি স্হানের নাম উল্লেখ আছে, মক্কা, মদীনা, আকসা। ‘আকসা’ দ্বারা উদ্দ্যেশ্য হলো ‘মাদীহে মাওউদ’র অবতরণ স্হান, আর তা হলো ‘কাদিয়ান’। সুতরাং কোন সন্দেহ নেই ‘কাদিয়ান’ পল্লির নাম কুরআনে উল্লেখ আছে।[খুতবায়ে ইলহামিয়া পৃ.১৬-২০]

[৬] মির্জা গোলামের ভাষ্যমতে ইমাম মাহদী ও ঈসা আলাইহিস্ সালাম সম্পর্কিত মুসলমানদের আকিদা-বিশ্বাস ভুল।

[৭] কাদিয়ানীদের দাবি মির্জা গোলাম আহমদ সে নবি ‘আহমদ’-‘মুহাম্মদ’।

[৮] সে বহু নবি, এমনকি সকল নবিদের শ্রেষ্ঠ নবি। [নাউযুবিল্লাহ!]

[৯] সে রামকৃষ্ণ, কৃষ্ণের অবতার। কাদিয়ানীদের দাবি রামকৃষ্ণ ও নবি ছিলেন।
[নাউযুবিল্লাহ!]
[১০] সে নবি ইবরাহিম! সে খাতামুন নাবিয়্যিন। তার অনুসারীরা সাহাবী। তাদের বার্ষিক জলসা যিল্লি হজ্ব। [নাউযুবিল্লাহ!]
[১১] মুসলমানগণ কাফির, মির্জাকে স্বীকৃতি না দিলে ইসলাম ধর্ম শয়তানী মতবাদ [নাইযুবিল্লাহ!]
[ কাদিয়ানীরা অমুসলিম কেন? পৃ.১২১-১২২] আ’যানাল্লাহু মিন যালিকা]

লেখক:
মুফতি,মুহাদ্দিস-
জামেয়া আবু হুরায়রা রা. আল-ইসলামিয়া ইয়ারপোর্ট সিলেট।

পোস্ট শেয়ার করুন

যে কারণে কাদিয়ানিরা কাফির

আপডেটের সময় : ০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

১৯৭৪ সালে ১৪৪ টি মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল মক্কা মুকাররামায় সমবেত হয়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আকিদা-বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করে কাদিয়ানীরা কাফির বলে সবাই একত্বতা পোষণ করেন। তৎকালিন সৌদি সরকার কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণা করে সঙ্গে সঙ্গে সৌদিতে কাদিয়ানীদের প্রবেশ চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

 

৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের জাতিয় সংসদ কতৃক সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির অনুসারীদেরকে ইসলামের গণ্ডিবহিভূ্ত অমুসলিম [কাফের] ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

কেননা, কাদিয়ানিউজম ফেতনার মূল উৎসই ছিলো পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকেই পুরো বিশ্বে এই ফিতনার বিকাশ। ১৯৮৮ সালে ইরাকে সকল মুসলিম দেশের ধর্মমন্ত্রীরা একত্রিত হয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন যে নিজ নিজ দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম [কাফের] ঘোষণা করবেন। বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সফল হলেও বাংলাদেশের মত ধর্মপ্রাণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্র বর্তমান পর্যন্ত এই ওয়াদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই দেশে সাংবিধানিকভাবে কাদিয়ানীদের কাফের [অমুসলিম-কাফির] ঘোষণা করা হয়নি। যা অত্যন্ত দু:খজনক!

এখনও ১৮ কোটি মুসলমানদের প্রাণের দাবি হলো অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে অমুসলিম [কাফের] ঘোষণা করা হোক। এবং তাদের কতৃক লোকদেখানো ইসলামের নামে সেমিনার-জলসা- ইজতিমা এগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করা হোক। কেননা কাদিয়ানীরা কাফির। ইসলামের নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে কিছু করার কোন অধিকার তাদের নেই।

 

মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এবং তার অনুসারীরা যে যে কারণে কাফির। তাদের কিছু ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাস নিম্নে পেশ করা হলো।

[১] খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকার:
যার মধ্যে ইসলামের নূনতম জ্ঞান ও আছে, তিনি জানেন যে, আমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ সা. ‘খাতামুন নাবিয়্যিন’ এবং ‘সর্বশেষ নবি’ বা ‘আখেরী নবি’। তাঁর পর দুনিয়াতে আর কোন নবি আসবেন না। তাঁর আগমনের মাধ্যমেই দুনিয়াতে নবুওয়াতের এই ধারাবাহিকতা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। এই আকিদা-বিশ্বাস সরাসরি কুরআন-হাদিসের ‘নুসুস’ দ্বারা বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত। এই আকিদা-বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক-অপরিহার্য। এই মতাদর্শ অস্বীকারকারীরা কাফির, ইসলামে গণ্ডিবহিভূত।
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী খতমে নবুওয়াতকে অস্বীকারকারী। সে নিজেকে ‘যিল্লি নবি’ বুরুজী নবি’ সর্বশেষ নবি হিসাবে দাবি করে, আর তার অনুসারীরা এই আকিদায় বিশ্বাসী, সুতরাং কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকারকারী কাদিয়ানীরা কাফির।

[২] ‘মাসীহ’ হওয়ার দাবি:
কুরআনুল কারীমের অনেক আয়াত এবং অনেক ‘মারফু’ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত শেষ যুগে হযরত ঈসা ‘মাসিহ’ আলাইহিস্ সালাম আগমন করবেন। কিন্তু কাদিয়ানীরা দাবি করে প্রতিশ্রুত ‘মাসীহ’ হলেন ‘গোলাম আহমদ কাদিয়ানী'[ নাউজুবিল্লাহ] ঈসা আলাইহিস্ সালাম নয়।

[৩] জিহাদকে অস্বীকার:
ইসলামে জিহাদ মুসলমানদের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত ফরজ করা হয়েছে, এটি সর্বসম্মত স্বীকৃত আকিদা-বিশ্বাস। কিন্তু বিটিশ বেনিয়া গোষ্ঠির দালাল মির্জা গোলাম ও তার অনুসারীদের বক্তব্য হলো: ইসলামে জিহাদের বিধান রহিত হয়ে গেছে, অস্ত্রের জিহাদ মোটেও জায়েজ নয়। তারা জিহাদকে চূড়ান্ত হারাম বলে বিশ্বাস করে।

[৪] কুরআনুল কারীমে রাসুল সা. মর্যাদা সংক্লান্ত আয়াতগুলো অস্বীকার: মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দাবি মতে সে আয়াতগুলো তার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। [নাউযুবিল্লাহ]
[খুতবায়ে ইলহামিয়া পৃ.১৬-১৮]

[৫] ‘কাদিয়ান’গ্রামের নাম কুরআনে আছে:-
মির্জা গোলাম আহমদের ভাষ্যমতে কুরআনে তিনটি স্হানের নাম উল্লেখ আছে, মক্কা, মদীনা, আকসা। ‘আকসা’ দ্বারা উদ্দ্যেশ্য হলো ‘মাদীহে মাওউদ’র অবতরণ স্হান, আর তা হলো ‘কাদিয়ান’। সুতরাং কোন সন্দেহ নেই ‘কাদিয়ান’ পল্লির নাম কুরআনে উল্লেখ আছে।[খুতবায়ে ইলহামিয়া পৃ.১৬-২০]

[৬] মির্জা গোলামের ভাষ্যমতে ইমাম মাহদী ও ঈসা আলাইহিস্ সালাম সম্পর্কিত মুসলমানদের আকিদা-বিশ্বাস ভুল।

[৭] কাদিয়ানীদের দাবি মির্জা গোলাম আহমদ সে নবি ‘আহমদ’-‘মুহাম্মদ’।

[৮] সে বহু নবি, এমনকি সকল নবিদের শ্রেষ্ঠ নবি। [নাউযুবিল্লাহ!]

[৯] সে রামকৃষ্ণ, কৃষ্ণের অবতার। কাদিয়ানীদের দাবি রামকৃষ্ণ ও নবি ছিলেন।
[নাউযুবিল্লাহ!]
[১০] সে নবি ইবরাহিম! সে খাতামুন নাবিয়্যিন। তার অনুসারীরা সাহাবী। তাদের বার্ষিক জলসা যিল্লি হজ্ব। [নাউযুবিল্লাহ!]
[১১] মুসলমানগণ কাফির, মির্জাকে স্বীকৃতি না দিলে ইসলাম ধর্ম শয়তানী মতবাদ [নাইযুবিল্লাহ!]
[ কাদিয়ানীরা অমুসলিম কেন? পৃ.১২১-১২২] আ’যানাল্লাহু মিন যালিকা]

লেখক:
মুফতি,মুহাদ্দিস-
জামেয়া আবু হুরায়রা রা. আল-ইসলামিয়া ইয়ারপোর্ট সিলেট।