কুলাউড়ায় আত্মহননের ১০ দিনেও আসামী গ্রেফতার হয়নি: শাম্মির পরিবারের অভিযোগ
- আপডেটের সময় : ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
- / ৪০১ টাইম ভিউ
দুই বখাটের উৎপাতে কুলাউড়ায় স্কুল ছাত্রী শাম্মি আত্মহননের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও আসামীদেরকে আটক করতে পারেনি। উপরন্তু মামলার বাদি শাম্মির পিতা কালা মিয়াকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। দ্রুত আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামীদেরকে আটক করে বিচারের দাবীতে আজ মঙ্গলবার( ৩ নভেম্বর) বিকেলে নিহতের বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে শাম্মির পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে শাম্মির মা নাছিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন , ‘স্থানীয় অগ্রনী উচচ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী আমার মেয়ে শাম্মি আক্তারকে পাশ্বর্তী শংকরপুর গ্রামের বকুল মিয়ার পুত্র বখাটে সিএনজি চালক রিজন আহমদ বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে আমরা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রিজনের প্ররোচনায় বিষপান করে মৃত্যুবরন করে আমার মেয়ে। নানা নাটকিয়তার পর মৃত্যুর ২ দিন পর ২৭ অক্টোবর পুলিশ বখাটে রিজন ও তার সহযোগী বখাটে সিএনজি চালক নুরুলের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড ( মামলা নং ১৮,ধারা ৩০৬/৩৪) করলেও পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে। পুলিশ আমার মেয়ের সাথে রিজনের ২৮ মিনিট কথোপকথনের কল রেকর্ড এখনো উদ্বার করেনি।
শাম্মির পিতা কালা মিয়া বলেন, ‘রিজনের পরিবারের সদস্যরা আমাদেরকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো সহ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করছে । বিষয়টি আমি পুলিশকে জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাম্মির দাদি সাহেদা বেগম ও মা নাসিমা বেগম।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রিজন শাম্মির সাথে ২৮ মিনিট কথা বলার একটু পরেই শাম্মি বিষপান করে। শাম্মির বিষপানের খবর তার পরিবার না জানলেও রিজনের বন্ধু নুরুল মিয়া শাম্মির দাদিকে বিষয়টি অবহিত করলে তার পরিবার ঘরের দরজা ভেংগে প্রবেশ করে শাম্মিকে কাতরাতে দেখে সাথে সাথে তাকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ঐদিন রাত সাড়ে ১১ টায় শাম্মি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মাসুদ আলম ভ্ইুয়া জানান, শাম্মির সাথে ২৮ মিনিট মোবাইলে কথোপকথনের রেকর্ড সংগ্রহের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এখনো রেকর্ড পাইনি। অন্যদিকে আসামীরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে তাদেরকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।#