ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

রাজনীতি, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১১৪২ টাইম ভিউ

দেশের চলমান রাজনীতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকট- এই তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যাননের বৈঠকে। প্রথম দুইটি বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে থমাস শ্যাননের এ বৈঠক ‘কার্যকর ও ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, থমাস শ্যাননের সঙ্গে আলোচনার প্রধান দুই ইস্যু ছিল দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, আলোচনা ছিল কার্যকর ও ফলপ্রসূ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, হয়েছে- বলা যাবে না। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের পক্ষে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। বৈঠকে বিএনপি নেতারা শ্যাননকে বলেছেন- বর্তমানে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অনুপস্থিত। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতিও দিচ্ছে না সরকার। বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে নানামুখী চাপে রেখে। প্রসঙ্গক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রমে দ্রুতগতির বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনার টেবিলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে উখিয়া যাওয়া-আসার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা ও তাদের গাড়ি ভাঙচুরের প্রসঙ্গটিও বৈঠকে তুলে ধরেন দলটির নেতারা। তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চলাফেরার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তিনি সব সময় সড়কপথে সবধরনের জনসংযোগ করেন। কিন্তু এখন দেশের কোথাও সফর করলে সেটা আকাশপথে না সড়ক পথে হবে সেটাও ঠিক করে দিতে চায় সরকার। শ্যাননের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। অতীত অভিজ্ঞতা ও সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ডের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তাই কেবল বিএনপিই নয়, দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায়। নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা জনমতের তোয়াক্কা না করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছে। এ সময় সবার অংশগ্রহণে, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়টিও তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন থমাস শ্যানন। আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে- বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত ও এর ভিত মজবুত জরুরি। সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে একটি তাৎপর্যপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আরো কূটনৈতিক প্রয়াস বাড়ানোর পক্ষে দু’পক্ষই একমত পোষণ করে। গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌনে এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে অংশ নেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ ও বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বৈঠকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন থমাস এ শ্যানন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কানাডার প্রতিনিধি দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডিয়ান প্রতিনিধি দল বলেছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গেলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই আগামীতে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় কানাডা। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন। বৈঠকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কানাডিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইয়াসমিন রাতানস্কি এমপি। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সালমা আতাউল্লাহ ঝা এমপি, ম্যাট জেনেরক্স এমপি, থমাস মুলকেয়ার এমপি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনয়েট প্রিফন্টেইন।

পোস্ট শেয়ার করুন

রাজনীতি, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা

আপডেটের সময় : ০২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭

দেশের চলমান রাজনীতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সংকট- এই তিনটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যাননের বৈঠকে। প্রথম দুইটি বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে থমাস শ্যাননের এ বৈঠক ‘কার্যকর ও ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, থমাস শ্যাননের সঙ্গে আলোচনার প্রধান দুই ইস্যু ছিল দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, আলোচনা ছিল কার্যকর ও ফলপ্রসূ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, হয়েছে- বলা যাবে না। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের পক্ষে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। বৈঠকে বিএনপি নেতারা শ্যাননকে বলেছেন- বর্তমানে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অনুপস্থিত। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতিও দিচ্ছে না সরকার। বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে নানামুখী চাপে রেখে। প্রসঙ্গক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রমে দ্রুতগতির বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনার টেবিলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে উখিয়া যাওয়া-আসার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা ও তাদের গাড়ি ভাঙচুরের প্রসঙ্গটিও বৈঠকে তুলে ধরেন দলটির নেতারা। তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চলাফেরার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তিনি সব সময় সড়কপথে সবধরনের জনসংযোগ করেন। কিন্তু এখন দেশের কোথাও সফর করলে সেটা আকাশপথে না সড়ক পথে হবে সেটাও ঠিক করে দিতে চায় সরকার। শ্যাননের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। অতীত অভিজ্ঞতা ও সরকারের বর্তমান কর্মকাণ্ডের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তাই কেবল বিএনপিই নয়, দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন চায়। নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা জনমতের তোয়াক্কা না করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছে। এ সময় সবার অংশগ্রহণে, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়টিও তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন থমাস শ্যানন। আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে- বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত ও এর ভিত মজবুত জরুরি। সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে একটি তাৎপর্যপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আরো কূটনৈতিক প্রয়াস বাড়ানোর পক্ষে দু’পক্ষই একমত পোষণ করে। গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌনে এক ঘণ্টার এই বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে অংশ নেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ ও বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বৈঠকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন থমাস এ শ্যানন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কানাডার প্রতিনিধি দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডিয়ান প্রতিনিধি দল বলেছে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গেলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই আগামীতে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় কানাডা। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন। বৈঠকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কানাডিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইয়াসমিন রাতানস্কি এমপি। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সালমা আতাউল্লাহ ঝা এমপি, ম্যাট জেনেরক্স এমপি, থমাস মুলকেয়ার এমপি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনয়েট প্রিফন্টেইন।