ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মরদেহ পোড়ানোর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে উহানের আকাশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৬১৮ টাইম ভিউ

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। উহানে মহামারী আকার ধারণ করেছে এই করোনাভাইরাস। এমনকি করোনাভাইরাসের দাপটে উহানসহ বহু শহর অবরুদ্ধ করে দিয়েছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর ডেইলি মেইলের।

তার তাতেই বিপাকে পড়েছেন শ্মশানকর্মীরা। রীতিমতো ২৪ ঘণ্টাই এখন মরদেহ পোড়াতে হচ্ছে তাদের। আবার সংক্রমণের ভয়ে খুবই সতর্কভাবে এই কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে প্রিয়জনের মুখও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত ১ ফেব্রুয়ারি জানায়, করোনাভাইরাসে যারা মারা যাচ্ছে তাদের মরদেহ অবশ্যই পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এ কারণে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে শ্মশানকর্মীদের। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িঘর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পোড়াচ্ছেন তারা।

ইউন নামে উহানের এক শ্মশানকর্মী বলেন, তারা প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি মরদেহ পোড়াচ্ছেন। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তিনি ও তার প্রায় সব সহকর্মীই প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। এমনকি বিশ্রাম নেয়ার জন্য বাড়িও ফিরতে পারছেন না কেউ কেউ। তাই তাদের আরও লোকবল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সংক্রমণ এড়াতে শ্মশানকর্মীদের ভাইরাস প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের পোশাক দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে দেখা দিয়েছে অন্যরকম এক সমস্যা। কেননা খেতে হলে বা বাথরুমে যেতে হলে খুলতে হয় এই পোশাক। আবার একবারের বেশি ব্যবহারও করা যায়নি এটা।

উল্লেখ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৭৮ জনে।

পোস্ট শেয়ার করুন

মরদেহ পোড়ানোর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে উহানের আকাশ

আপডেটের সময় : ০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। উহানে মহামারী আকার ধারণ করেছে এই করোনাভাইরাস। এমনকি করোনাভাইরাসের দাপটে উহানসহ বহু শহর অবরুদ্ধ করে দিয়েছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর ডেইলি মেইলের।

তার তাতেই বিপাকে পড়েছেন শ্মশানকর্মীরা। রীতিমতো ২৪ ঘণ্টাই এখন মরদেহ পোড়াতে হচ্ছে তাদের। আবার সংক্রমণের ভয়ে খুবই সতর্কভাবে এই কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে প্রিয়জনের মুখও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গত ১ ফেব্রুয়ারি জানায়, করোনাভাইরাসে যারা মারা যাচ্ছে তাদের মরদেহ অবশ্যই পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এ কারণে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে শ্মশানকর্মীদের। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িঘর থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পোড়াচ্ছেন তারা।

ইউন নামে উহানের এক শ্মশানকর্মী বলেন, তারা প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি মরদেহ পোড়াচ্ছেন। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তিনি ও তার প্রায় সব সহকর্মীই প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। এমনকি বিশ্রাম নেয়ার জন্য বাড়িও ফিরতে পারছেন না কেউ কেউ। তাই তাদের আরও লোকবল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সংক্রমণ এড়াতে শ্মশানকর্মীদের ভাইরাস প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের পোশাক দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে দেখা দিয়েছে অন্যরকম এক সমস্যা। কেননা খেতে হলে বা বাথরুমে যেতে হলে খুলতে হয় এই পোশাক। আবার একবারের বেশি ব্যবহারও করা যায়নি এটা।

উল্লেখ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৭৮ জনে।