ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর সবচেয়ে বড় সংকটে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২৬১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক : ৪২ বছরে পা দিলো দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে প্রতিষ্ঠার পর এখন সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে আছে দলটি। এ জন্য সরকারকে দুষছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও তরুণ নেতারা মনে করেন সঠিক পথেই চলছে দল।

৭৫ সালে ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রার সুচনা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, দলের হাল ধরেন তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই নেতৃত্বে ৯০’র পর তিনবার ক্ষমতায় আসে দলটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরের মাথায় তারাই এখন পার করছে কঠিন সময়।
এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা, দলের চেয়ারপারসনের কারাভোগ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের স্বেচ্ছায় প্রবাসে অবস্থান, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেয়া এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কাঙ্খিত ফল না পাওয়া-এমন নানা কারণেই সংকটের গভীরে তলিয়েছে দলটি। তারপরও শীর্ষ নেতৃত্বেই আস্থা রাখছেন তরুণ নেতারা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘সব সময় পথ সুগম হয় না। নানা বাঁধা বিপত্তি থাকবেই। আমাদের সাথে যা কিছু হয়েছে সেগুলো সে প্রচেষ্টারই অংশ। তবে আমরা তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। ফলে আজ বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি।’
প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব অথবা নবীন নেতৃত্ব সবাই আমরা একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দলকে পরিচালনা করে যাচ্ছি।’
নেতৃত্ব নয়, সাংগঠনিক সংকটের জন্য সরকারে নিপীড়নমূলক আচরণকে দায়ী করেই সন্তুষ্টি খুঁজছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দায়ত সরকারেরই। এ দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর চালু রাখার জন্য দায়িত্ব সরকারের। স্ট্রিয়ারিং তার (সরকারের) হাতে। সে যদি পরিবেশ তৈরি না করে, যেখানে আমি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে পারব। সে দায়টা কার? আমার? আমরা মার খাচ্ছি, মরে যাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি।

এমন কঠিন সময়েও নেতাকর্মীদের দল ছেড়ে না যাওয়ার মাঝেই সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন বিএনপি নেতারা।

পোস্ট শেয়ার করুন

প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর সবচেয়ে বড় সংকটে বিএনপি

আপডেটের সময় : ০৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দেশদিগন্ত ডেস্ক : ৪২ বছরে পা দিলো দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তবে প্রতিষ্ঠার পর এখন সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে আছে দলটি। এ জন্য সরকারকে দুষছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও তরুণ নেতারা মনে করেন সঠিক পথেই চলছে দল।

৭৫ সালে ৭ নভেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রার সুচনা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৮ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর, দলের হাল ধরেন তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তারই নেতৃত্বে ৯০’র পর তিনবার ক্ষমতায় আসে দলটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরের মাথায় তারাই এখন পার করছে কঠিন সময়।
এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা, দলের চেয়ারপারসনের কারাভোগ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের স্বেচ্ছায় প্রবাসে অবস্থান, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেয়া এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কাঙ্খিত ফল না পাওয়া-এমন নানা কারণেই সংকটের গভীরে তলিয়েছে দলটি। তারপরও শীর্ষ নেতৃত্বেই আস্থা রাখছেন তরুণ নেতারা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘সব সময় পথ সুগম হয় না। নানা বাঁধা বিপত্তি থাকবেই। আমাদের সাথে যা কিছু হয়েছে সেগুলো সে প্রচেষ্টারই অংশ। তবে আমরা তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি। ফলে আজ বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি।’
প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব অথবা নবীন নেতৃত্ব সবাই আমরা একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দলকে পরিচালনা করে যাচ্ছি।’
নেতৃত্ব নয়, সাংগঠনিক সংকটের জন্য সরকারে নিপীড়নমূলক আচরণকে দায়ী করেই সন্তুষ্টি খুঁজছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দায়ত সরকারেরই। এ দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর চালু রাখার জন্য দায়িত্ব সরকারের। স্ট্রিয়ারিং তার (সরকারের) হাতে। সে যদি পরিবেশ তৈরি না করে, যেখানে আমি উদারপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করতে পারব। সে দায়টা কার? আমার? আমরা মার খাচ্ছি, মরে যাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি।

এমন কঠিন সময়েও নেতাকর্মীদের দল ছেড়ে না যাওয়ার মাঝেই সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন বিএনপি নেতারা।