ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
স্বাধিনতা মানে শুধুমাত্র নিজস্ব মানচিত্র অর্জন নয়, চাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

তুরিন আফরোজকে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩৬৮ টাইম ভিউ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে ড. তুরিন আফরোজকে। সোমবার (১১ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বেগম তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে এ বিভাগের গত ২০/২/২০১৩ ইং তারিখের নং-সলিঃ/জিপি-পিপি/আঃট্রাঃ-০২/২০১০-৩৫ প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটরের পদ থেকে অপসারণ করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
আজ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।

তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে গর্ভধারিণী মা যে অভিযোগ করেছিলেন

গত ২০ জুন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আইন, বিচার, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের মা শামসুন নাহার তসনিম এক সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তুরিন আফরোজের ছোট ভাই শাহনেওয়াজ শিশির।

সংবাদ সম্মেলনে তুরিনের মা জানান, তার ৬০ শতাংশ কিডনি অকেজো। এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়ার টাকাসহ চিকিৎসার টাকাও নিয়ে গেছে তার মেয়ে।

শামসুন নাহার তসনিম বলেন, আজ দুই বছর তিন মাস ঊনিশ দিন আমি আমার বাসার বাইরে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার আঠারো দিন পরে তুরিন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার দোষ তার (তুরিন আফরোজ) কিছু অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদ করা। যেমন- আমাদের ভাড়াটিয়াদের থেকে সবসময় ভাড়ার টাকা আমিই নিতাম। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকেই বাড়িভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার, ওষুধ খরচ চলতো। এরপর ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাত ঘরে প্রবেশ নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে তার সঙ্গে প্রায়ই লাগতো (ঝগড়া)। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে ডিজিএফআই, র‌্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে ভয় দেখাতো এবং বলতো ওরা সবাই তার বন্ধু। কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করার ভয় দেখাতো। আমি তো ধারা বুঝি না। আরও বলতো, পৃথিবীর যেখানেই থাকো সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসবো।

তিনি বলেন, গানম্যান দিয়ে ভয় দেখাতো তুরিন। গ্রামের বাড়ি নীলফামারী যেতে পারি না, সে সেখানে দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষীগত করেছে। প্রতিবাদ করলে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম করেও হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, এসব জানাতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হই। ভেবেছিলাম তিনি একজন মা। ওনার ঘরে এমন হলে উনি কী করতেন? আমরা জানি উনি অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি চাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। আমি আজ মিডিয়ার মাধ্যমে ওনার সহযোগিতা কামনা করছি। আমার শরীর ভীষণ খারাপ। ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো (এই বলে কাঁদতে থাকেন তিনি)। সঙ্গে আবার ডায়াবেটিসও। ওষুধ কেনার পয়সা বাড়িভাড়া থেকে পেতাম সেটাও সে কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই এখানে-সেখানে থেকে বেড়াই। আমি আমার দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকবো? এ দেশ আমার জন্মস্থান ও আমার ৪৮ বছরের সংসার। আমি তো এখানেই থাকতে চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তুরিনের ভাই শাহনেওয়াজ শিশির বলেন, ক্ষমতার দাপটে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আমাকে এবং আমার (বিধবা) মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি করে আসছে। তার কারণ একটি আর তা হলো, দেশে আমাদের সম্পদ কুক্ষীগত করা। চক্ষু লজ্জায় এতদিন বিষয়টি আড়াল করে রেখেছি। আমি ও আমার অভাগিনী মা ক্ষমতাসীন কাউকে অবমাননা করতে চাইনি। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার বাসা থেকে আমাদের বের করে দেওয়ার পরও রাজউক কর্তৃক কর ও ভূমি কর আমি নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি। অথচ আমার অনুপস্থিতিতে নিজ স্বার্থ কাজে লাগিয়ে তুরিন আফরোজ ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে সংবিধানবহির্ভূত কাজে বাধ্য করে আমাদের মা-ছেলের ক্ষতি করছে। ব্যারিস্টার তুরিন শুধু ঢাকাতেই নয় নীলফামারীতেও আমাদের চাচাতো ভাই ও বোনদের জমিজমা জিম্মি করে রেখেছে।

তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নিজের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মা ও ভাই। মা শামসুন নাহার তসনিম ও ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশিরকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় শুক্রবার (১৪ জুন) তুরিনের বিরুদ্ধে এ জিডি করা হয়।

এর আগেও ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (জিডি নম্বর- ১১৮৮) করেছিলেন তার মা। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে বাড়ি দখলের অভিযোগে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করে তুরিন বাড়ি ও জমির দলিলপত্রও দখলে নেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

তুরিন আফরোজকে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ

আপডেটের সময় : ০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে ড. তুরিন আফরোজকে। সোমবার (১১ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বেগম তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে এ বিভাগের গত ২০/২/২০১৩ ইং তারিখের নং-সলিঃ/জিপি-পিপি/আঃট্রাঃ-০২/২০১০-৩৫ প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটরের পদ থেকে অপসারণ করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
আজ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।

তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে গর্ভধারিণী মা যে অভিযোগ করেছিলেন

গত ২০ জুন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আইন, বিচার, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের মা শামসুন নাহার তসনিম এক সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তুরিন আফরোজের ছোট ভাই শাহনেওয়াজ শিশির।

সংবাদ সম্মেলনে তুরিনের মা জানান, তার ৬০ শতাংশ কিডনি অকেজো। এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়ার টাকাসহ চিকিৎসার টাকাও নিয়ে গেছে তার মেয়ে।

শামসুন নাহার তসনিম বলেন, আজ দুই বছর তিন মাস ঊনিশ দিন আমি আমার বাসার বাইরে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার আঠারো দিন পরে তুরিন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার দোষ তার (তুরিন আফরোজ) কিছু অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদ করা। যেমন- আমাদের ভাড়াটিয়াদের থেকে সবসময় ভাড়ার টাকা আমিই নিতাম। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকেই বাড়িভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার, ওষুধ খরচ চলতো। এরপর ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাত ঘরে প্রবেশ নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে তার সঙ্গে প্রায়ই লাগতো (ঝগড়া)। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে ডিজিএফআই, র‌্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে ভয় দেখাতো এবং বলতো ওরা সবাই তার বন্ধু। কোনো কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করার ভয় দেখাতো। আমি তো ধারা বুঝি না। আরও বলতো, পৃথিবীর যেখানেই থাকো সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসবো।

তিনি বলেন, গানম্যান দিয়ে ভয় দেখাতো তুরিন। গ্রামের বাড়ি নীলফামারী যেতে পারি না, সে সেখানে দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষীগত করেছে। প্রতিবাদ করলে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম করেও হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, এসব জানাতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হই। ভেবেছিলাম তিনি একজন মা। ওনার ঘরে এমন হলে উনি কী করতেন? আমরা জানি উনি অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি চাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। আমি আজ মিডিয়ার মাধ্যমে ওনার সহযোগিতা কামনা করছি। আমার শরীর ভীষণ খারাপ। ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো (এই বলে কাঁদতে থাকেন তিনি)। সঙ্গে আবার ডায়াবেটিসও। ওষুধ কেনার পয়সা বাড়িভাড়া থেকে পেতাম সেটাও সে কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই এখানে-সেখানে থেকে বেড়াই। আমি আমার দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকবো? এ দেশ আমার জন্মস্থান ও আমার ৪৮ বছরের সংসার। আমি তো এখানেই থাকতে চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তুরিনের ভাই শাহনেওয়াজ শিশির বলেন, ক্ষমতার দাপটে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আমাকে এবং আমার (বিধবা) মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি করে আসছে। তার কারণ একটি আর তা হলো, দেশে আমাদের সম্পদ কুক্ষীগত করা। চক্ষু লজ্জায় এতদিন বিষয়টি আড়াল করে রেখেছি। আমি ও আমার অভাগিনী মা ক্ষমতাসীন কাউকে অবমাননা করতে চাইনি। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার বাসা থেকে আমাদের বের করে দেওয়ার পরও রাজউক কর্তৃক কর ও ভূমি কর আমি নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি। অথচ আমার অনুপস্থিতিতে নিজ স্বার্থ কাজে লাগিয়ে তুরিন আফরোজ ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে সংবিধানবহির্ভূত কাজে বাধ্য করে আমাদের মা-ছেলের ক্ষতি করছে। ব্যারিস্টার তুরিন শুধু ঢাকাতেই নয় নীলফামারীতেও আমাদের চাচাতো ভাই ও বোনদের জমিজমা জিম্মি করে রেখেছে।

তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নিজের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মা ও ভাই। মা শামসুন নাহার তসনিম ও ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশিরকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায় শুক্রবার (১৪ জুন) তুরিনের বিরুদ্ধে এ জিডি করা হয়।

এর আগেও ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে থানায় জিডি (জিডি নম্বর- ১১৮৮) করেছিলেন তার মা। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে বাড়ি দখলের অভিযোগে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করে তুরিন বাড়ি ও জমির দলিলপত্রও দখলে নেন।