ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

মাছ দিয়েই উন্নত স্বাদের বিস্কুট ও চানাচুর উদ্ভাবন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৭৪৯ টাইম ভিউ

দেশের ইতিহাসে মাছ থেকে এই প্রথম ভিন্ন স্বাদের বিস্কুট-চানাচুর তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের একদল গবেষক সফলভাবে এ উদ্ভাবন শেষ করেছেন।

মাছের সঠিক ব্যবহার, ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি আর মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তারা। বিস্কুট ও চানাচুর তৈরীর গবেষণায় এক বছর ব্যায় করেছেন গবেষকরা।

ইতোমধ্যে পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে সাউফিস বিস্কুট-১, সাউফিস চানাচুর-১, সাউফিস বিস্কুট-২ ও সাউফিস চানাচুর-২।

গবেষক দলের প্রধান এবং ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুর উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ খাবার। যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের আমিষ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে এ বিস্কুট ও চানাচুর।

উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে গবেষণা কর্মের সহযোগী ও একোয়াকালচার বিভাগের সভাপতি ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘শিশুদের কাছে বিস্কুট আর চানাচুর আকর্ষণীয় খাবার। উদ্ভাবিত দুটি খাবারে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আমিষ, ২০-২৫ শতাংশ চর্বি, এবং ২০-২৫ শতাংশ শর্করা রয়েছে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আকর্ষণীয় খাবারের মাধ্যমে শিশুদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতেই পাঙ্গাস আর সিলভার কার্প বেছে নেয়া হয়েছে।’

গবেষক দল মাছ থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ভোগ্য পণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপাচার্য গবেষক দলের প্রশংসা করেন ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উদ্ভাবিত এ পণ্য দুটি মাছের (পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প) ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে চাষীদের সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

পোস্ট শেয়ার করুন

মাছ দিয়েই উন্নত স্বাদের বিস্কুট ও চানাচুর উদ্ভাবন

আপডেটের সময় : ১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

দেশের ইতিহাসে মাছ থেকে এই প্রথম ভিন্ন স্বাদের বিস্কুট-চানাচুর তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের একদল গবেষক সফলভাবে এ উদ্ভাবন শেষ করেছেন।

মাছের সঠিক ব্যবহার, ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি আর মানবদেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তারা। বিস্কুট ও চানাচুর তৈরীর গবেষণায় এক বছর ব্যায় করেছেন গবেষকরা।

ইতোমধ্যে পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে সাউফিস বিস্কুট-১, সাউফিস চানাচুর-১, সাউফিস বিস্কুট-২ ও সাউফিস চানাচুর-২।

গবেষক দলের প্রধান এবং ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মাছ থেকে উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুর উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ খাবার। যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের আমিষ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে এ বিস্কুট ও চানাচুর।

উদ্ভাবিত বিস্কুট ও চানাচুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে গবেষণা কর্মের সহযোগী ও একোয়াকালচার বিভাগের সভাপতি ড. এ এম সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘শিশুদের কাছে বিস্কুট আর চানাচুর আকর্ষণীয় খাবার। উদ্ভাবিত দুটি খাবারে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আমিষ, ২০-২৫ শতাংশ চর্বি, এবং ২০-২৫ শতাংশ শর্করা রয়েছে। এগুলো মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আকর্ষণীয় খাবারের মাধ্যমে শিশুদের আমিষের চাহিদা পূরণ করতেই পাঙ্গাস আর সিলভার কার্প বেছে নেয়া হয়েছে।’

গবেষক দল মাছ থেকে উদ্ভাবিত এ দুটি ভোগ্য পণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপাচার্য গবেষক দলের প্রশংসা করেন ও বাজারজাতকরণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উদ্ভাবিত এ পণ্য দুটি মাছের (পাঙ্গাস ও সিলভার কার্প) ন্যায্য বাজার মূল্য পেতে চাষীদের সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।