ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

কুলাউড়ায় চড়ক পূজা ও মেলা সম্পন্ন

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১০২০ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রাচীন ঐতিহ্যলালিত কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়ায় শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরসংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চড়ক পূজা উপলক্ষে ঢুলিপাড়া মাঠে বসেছিল বিরাট এক মেলা। ভক্তরা নৃত্য করার জন্য কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটি বেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে। মানুষরূপি কালী সেজে নৃত্য করে। অন্য ভক্তগণ নৃত্যের তালে তালে, ছন্দে ছন্দে ঢোলক, কাশি, করতাল বাজাতে থাকলে এ সময় দর্শনার্থীরা জয়ধ্বনি এবং নারীদের কণ্ঠে উলুধ্বনি দিতে থাকেন। শিবের ওপর উঠে কালী ভয়ানক এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থী সবাই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। এ গাছের চুড়া থেকে মাচা পর্যন্ত চারটি পাখার মতো করে বাধা হয় চারটি মোটা বাঁশ এবং তাতে যুক্ত করা হয় মোটা লম্বা রশি। আগের বছর উৎসব শেষে এই দিঘীতে ডুবিয়ে রাখা হয়ে ছিল চড়ক গাছ। ঢুলিপাড়া মাঠে গর্ত খুঁড়ে সোজা এবং খাড়া করে পোঁতা হয় এ গাছ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নারী-পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটে। বিকেলবেলা ভক্তরা মণ্ডলীতে বিশাল দা (বলিছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্য শেষে ভক্তদের লোহার শিকড় শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্বা ও গলায় গেঁথে দেওয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়।

দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী একজন ভক্তের (জ্যান্ত মানুষের) পিঠে লোহার দুটি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা উপরের দিকে উড়িয়ে দেন আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।  শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরের সভাপতি ডা. চূড়ামনি দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ রঞ্জন ধর জানান, তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটেছিল। চড়ক পূজা উপলক্ষে এক বিশাল মেলা বসে। মেলায় রকমারি জিনিসপত্রের সয়লাব ছিল।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় চড়ক পূজা ও মেলা সম্পন্ন

আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রাচীন ঐতিহ্যলালিত কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়ায় শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরসংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চড়ক পূজা উপলক্ষে ঢুলিপাড়া মাঠে বসেছিল বিরাট এক মেলা। ভক্তরা নৃত্য করার জন্য কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটি বেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে। মানুষরূপি কালী সেজে নৃত্য করে। অন্য ভক্তগণ নৃত্যের তালে তালে, ছন্দে ছন্দে ঢোলক, কাশি, করতাল বাজাতে থাকলে এ সময় দর্শনার্থীরা জয়ধ্বনি এবং নারীদের কণ্ঠে উলুধ্বনি দিতে থাকেন। শিবের ওপর উঠে কালী ভয়ানক এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থী সবাই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। এ গাছের চুড়া থেকে মাচা পর্যন্ত চারটি পাখার মতো করে বাধা হয় চারটি মোটা বাঁশ এবং তাতে যুক্ত করা হয় মোটা লম্বা রশি। আগের বছর উৎসব শেষে এই দিঘীতে ডুবিয়ে রাখা হয়ে ছিল চড়ক গাছ। ঢুলিপাড়া মাঠে গর্ত খুঁড়ে সোজা এবং খাড়া করে পোঁতা হয় এ গাছ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নারী-পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটে। বিকেলবেলা ভক্তরা মণ্ডলীতে বিশাল দা (বলিছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্য শেষে ভক্তদের লোহার শিকড় শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্বা ও গলায় গেঁথে দেওয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়।

দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী একজন ভক্তের (জ্যান্ত মানুষের) পিঠে লোহার দুটি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা উপরের দিকে উড়িয়ে দেন আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।  শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরের সভাপতি ডা. চূড়ামনি দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ রঞ্জন ধর জানান, তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটেছিল। চড়ক পূজা উপলক্ষে এক বিশাল মেলা বসে। মেলায় রকমারি জিনিসপত্রের সয়লাব ছিল।