ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

কুলাউড়ায় চড়ক পূজা ও মেলা সম্পন্ন

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৯৫৬ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রাচীন ঐতিহ্যলালিত কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়ায় শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরসংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চড়ক পূজা উপলক্ষে ঢুলিপাড়া মাঠে বসেছিল বিরাট এক মেলা। ভক্তরা নৃত্য করার জন্য কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটি বেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে। মানুষরূপি কালী সেজে নৃত্য করে। অন্য ভক্তগণ নৃত্যের তালে তালে, ছন্দে ছন্দে ঢোলক, কাশি, করতাল বাজাতে থাকলে এ সময় দর্শনার্থীরা জয়ধ্বনি এবং নারীদের কণ্ঠে উলুধ্বনি দিতে থাকেন। শিবের ওপর উঠে কালী ভয়ানক এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থী সবাই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। এ গাছের চুড়া থেকে মাচা পর্যন্ত চারটি পাখার মতো করে বাধা হয় চারটি মোটা বাঁশ এবং তাতে যুক্ত করা হয় মোটা লম্বা রশি। আগের বছর উৎসব শেষে এই দিঘীতে ডুবিয়ে রাখা হয়ে ছিল চড়ক গাছ। ঢুলিপাড়া মাঠে গর্ত খুঁড়ে সোজা এবং খাড়া করে পোঁতা হয় এ গাছ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নারী-পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটে। বিকেলবেলা ভক্তরা মণ্ডলীতে বিশাল দা (বলিছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্য শেষে ভক্তদের লোহার শিকড় শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্বা ও গলায় গেঁথে দেওয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়।

দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী একজন ভক্তের (জ্যান্ত মানুষের) পিঠে লোহার দুটি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা উপরের দিকে উড়িয়ে দেন আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।  শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরের সভাপতি ডা. চূড়ামনি দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ রঞ্জন ধর জানান, তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটেছিল। চড়ক পূজা উপলক্ষে এক বিশাল মেলা বসে। মেলায় রকমারি জিনিসপত্রের সয়লাব ছিল।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় চড়ক পূজা ও মেলা সম্পন্ন

আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। শত বছরের অধিক সময় ধরে প্রাচীন ঐতিহ্যলালিত কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়ায় শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরসংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে চড়ক পূজা উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চড়ক পূজা উপলক্ষে ঢুলিপাড়া মাঠে বসেছিল বিরাট এক মেলা। ভক্তরা নৃত্য করার জন্য কলাগাছ ও বাঁশের খুঁটি বেষ্টিত মণ্ডলী তৈরি করে। মানুষরূপি কালী সেজে নৃত্য করে। অন্য ভক্তগণ নৃত্যের তালে তালে, ছন্দে ছন্দে ঢোলক, কাশি, করতাল বাজাতে থাকলে এ সময় দর্শনার্থীরা জয়ধ্বনি এবং নারীদের কণ্ঠে উলুধ্বনি দিতে থাকেন। শিবের ওপর উঠে কালী ভয়ানক এক অদ্ভুত রূপ ধারণ করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শনার্থী সবাই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। এ গাছের চুড়া থেকে মাচা পর্যন্ত চারটি পাখার মতো করে বাধা হয় চারটি মোটা বাঁশ এবং তাতে যুক্ত করা হয় মোটা লম্বা রশি। আগের বছর উৎসব শেষে এই দিঘীতে ডুবিয়ে রাখা হয়ে ছিল চড়ক গাছ। ঢুলিপাড়া মাঠে গর্ত খুঁড়ে সোজা এবং খাড়া করে পোঁতা হয় এ গাছ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নারী-পুরুষ দর্শনার্থীর বিশাল সমাগম ঘটে। বিকেলবেলা ভক্তরা মণ্ডলীতে বিশাল দা (বলিছেদ) দিয়ে নৃত্য, শিবের নৃত্য ও কালীর নৃত্য দেখানো হয়। নৃত্য শেষে ভক্তদের লোহার শিকড় শরীরের বিভিন্ন অংশে পিষ্ট (গাঁথা) করা হয়। বিশেষ করে জিহ্বা ও গলায় গেঁথে দেওয়া হয়। নৃত্যের তালে তালে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়।

দেবতার পূজা-অর্চনা শেষে অপরাহ্নে মূল সন্ন্যাসী একজন ভক্তের (জ্যান্ত মানুষের) পিঠে লোহার দুটি করে বিরাট আকৃতির বড়শি গেঁথে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে চড়ক গাছ ঘুরানো হয়। এ সময়ে দর্শনার্থীদের অনেকে বাতাসা আর কলা উপরের দিকে উড়িয়ে দেন আর দর্শনার্থীরা তা কুড়িয়ে নেন।  শ্রী শ্রী কালীভৈরব ও কালী মন্দিরের সভাপতি ডা. চূড়ামনি দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ রঞ্জন ধর জানান, তান্ত্রিক মন্ত্রের ধারা বিভিন্ন অলৌকিক ধর্মীয় কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটেছিল। চড়ক পূজা উপলক্ষে এক বিশাল মেলা বসে। মেলায় রকমারি জিনিসপত্রের সয়লাব ছিল।