কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাঁর মা-স্ত্রীসহ চারজনকে গলা কেটে হত্যা
- আপডেটের সময় : ০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / ৫৪৭ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং গ্রামে রোকন বড়ুয়া নামে এক কুয়েতপ্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাঁর মা-স্ত্রীসহ চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। রোকন বড়ুয়ার বাড়ির আশপাশে শতাধিক বড়ুয়া পরিবারের বসতি অবস্থিত।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রোকন বড়ুয়ার মা সখী বড়ুয়া (৫০), স্ত্রী নিলা বড়ুয়া (২৫), ছেলে রবীন বড়ুয়া (৪) ও দেড় বছর বয়সী ছেলে সনি বড়ুয়া। পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
খবর পেয়ে আজ সকালে কক্সবাজার শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থলে গেছেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন। আরও গেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরী, রামুর ঐতিহাসিক রানকোট বৌদ্ধবিহারের ভিক্ষু জ্যোতিসেন মহাথেরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা পরিবারের চারজন সদস্যকে গলা কেটে হত্যা করা হলো—অথচ আশপাশের কোনো লোকজন ঘটনা টের পেল না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। টাকাপয়সার লোভে যদি কেউ ঘরে ঢোকে, তাহলে দুই শিশুকে হত্যা করবে কেন? এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিচিত লোকজনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে, পুলিশ এই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
রোকন বড়ুয়ার ভাগনি প্রিয়াঙ্কা বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মামা রোকন বড়ুয়া ১৫ বছর ধরে কুয়েতে চাকরি করে আয়-রোজগার করছেন। কয়েক বছর পরপর তিনি দেশে এসে কয়েক মাস থেকে আবার কুয়েত চলে যান। দুই মাস আগেও তিনি দেশে এসেছিলেন। ১০ থেকে ১২ দিন আগে তিনি কুয়েত ফিরে গেছেন। রত্নাপালং গ্রামে তাঁর একতলা বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে থাকতেন রোকন বড়ুয়ার মা সখী বড়ুয়া, স্ত্রী নিলা বড়ুয়া, দুই ছেলে রবীন ও সনি। তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা একে একে চারজনকে গলা কেটে হত্যা করল। কিন্তু কেন এ ঘটনা, কারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, মাথায় আসছে না।’
ঘটনাস্থল থেকে বৌদ্ধভিক্ষু জ্যোতিসেন মহাথের প্রথম আলোকে বলেন, ভোররাতে তাঁকে জানানো হয়েছে যে রোকন বড়ুয়ার পরিবারের সবাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এরপর তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দেখতে পান নিহত সবার শরীর থেকে তখনো রক্ত ঝরছে। সম্ভবত ভোররাতের দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর সন্দেহ, ভবনের ওপরের সিঁড়িঘর দিয়েই দুর্বৃত্তরা ঘুরে ঢোকে এবং একে একে সবাইকে হত্যা করে। এ রকম ঘটনা এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনায় এখানকার পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সুত্রঃ প্রথম আলো