আস্তানা ঘেরাও করে পিযুষকে গ্রেপ্তার করলো র্যাব
- আপডেটের সময় : ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / ৫১৬ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত ডেস্ক: সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি দে (৪০) সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দিকে মির্জাজাঙ্গাল এলাকার পিযুষের আস্তানা ঘেরাও করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।এরপর মধ্যরাতে র্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় জানানো হয়, সিলেটের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে ১টি বিদেশী রিভলভার, ২ রাউন্ড গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী পিযুষ কান্তি দেকে তার তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- বাপ্পা পাল ও মিন্টু রায়। অপর একজনের নাম জানা যায়নি।তবে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মির্জাজাঙ্গালে পিযুষের আস্তানা ঘেরাও করে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। এরপর ভেতর থেকে পিযুষসহ চারজনকে ধরে গাড়িতে করে নিয়ে যায় তারা।সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে’র বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতার বিরুদ্ধে। নগরীর জিন্দাবাজার-লামাবাজার সড়কের মির্জাজাঙ্গালে আস্তানা গড়ে তুলে নিজের কর্মীবাহিনী দিয়ে মানুষজনকে হেনস্তারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।সম্প্রতি তিন প্রবাসীকে পিযুষ অনুসারীরা মারধর করে। এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।গত ৬ আগস্ট জিন্দাবাজারে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে তিন প্রবাসীর উপর হামলা চালায় পিযুষ অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হন তারা। এ সময় তাদের প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৭ আগস্ট আহতদের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এই মামলার পর থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নেন পিযুষ। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের আস্তানায়ও অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বুধবার ফের আস্তানায় ফিরেই আটক হন পিযুষ।