কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রকে বলৎকারের পর হত্যা
- আপডেটের সময় : ১১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯
- / ৫৭৪ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃকুলাউড়ায় পলাশ শব্দকর (৯) নামে এক স্কুলছাত্রকে বলৎকারের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে দুই বখাটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পলাশ স্থানীয় শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের বালিশ্রী গ্রামের রিকশাচালক পরিমল শব্দকরের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ৩১ জুলাই বুধবার সকালে পরিমল শব্দ করের বাড়ির পাশে একটি জমিতে ধান রোপন করছিলো পলাশ শব্দকর। এসময় প্রতিবেশী মিরজান আলীর ছেলে বখাটে জাহেদ মিয়া (১৫) তাঁর ছেলেকে ধানি জমি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পাওয়ায় সন্ধ্যায় তিনি কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান রাতে পলাশের বাড়ীতে এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত একজন সাক্ষী দেয় জাহেদ পলাশকে নিয়ে চা-বাগানের ভেতরে গেলেও বিকেলে সে একা ফেরে। বখাটে জাহেদ তা অস্বীকার করলে সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান জাহেদকে তাঁর পিতা মিরজান আলীর জিম্মায় দেন।
থানায় নিখোঁজ সংবাদ লিখিত আকারে জানানোর পরও পুলিশ এ ঘটনায় কোন তদন্ত না করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তদন্তে গেলে এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যমতে অভিযুক্ত জাহেদ ও তাঁর সহযোগী রাহেলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসলে জাহেদের দেয়া জবানবন্দিতে দুপুরে উপজেলার কালিটি চা-বাগান এলাকা থেকে পলাশ শব্দকরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় এলাকাবাসী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান। তিনি উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বখাটে জাহেদ দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে। তাকে সহযোগিতা করতো একই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ রাহেল। ঘটনায় রাহেলের সহযোগিতা নিয়ে সে স্কুলছাত্রকে বলৎকার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুলিশ বখাটে জাহেদেও পিতা মিরজান আলীকেও গ্রেফতার করে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।