ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কমলগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত ॥ অজ্ঞাত ৪শ জনকে আসামী করে থানায় মামলা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
  • / ৫৪৪ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যাক্তি (৫০) নিহত হয়েছেন। শনিবার ২০ জুলাই রাত ১০ টার দিকে রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রোববার অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

দেওড়াছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুবোধ কুর্মী জানান, দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় স্থানীয় লোকজন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে অজ্ঞাত পরিচয়ের ঐ ব্যক্তিকে আটক করে তার নাম পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় জিজ্ঞেস করার পর অসংলগ্ন কথাবার্তায় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে চা বাগান শ্রমিকরা চা বাগান অফিসে নিয়ে আসেন। এতে কয়েক শত শ্রমিক বিক্ষুদ্ধ হয়ে অফিস চত্বরে ঢুকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। পরে দেওড়াছড়া চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মোস্তফা জামানের নির্দেশনায় এ চা বাগানের মেডিক্যাল সুপারভাইজার গোপাল দেব তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে  নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে  মৃত ঘোষনা করেন।  খবর পেয়ে রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত লোকটি এ এলাকার ছিল না। চা শ্রমিকরা সন্দেহজনক ঘোরাফেরায় তাকে আটক করে নাম পরিচয় জানতে চাইলে সে সঠিক জবাব দিতে পারেনি। পরে ছেলে ধরা সন্দেহে গণ পিটুনিতে সে আহত হলে গুরুতর আহতাবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে সে মারা যায়। থানার ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় অঞ্জাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে লাশটির ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে। এখন লাশের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করছি। পরিচয় না পাওয়া গেলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে লাশটির সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনাটির রহস্য জানার জন্য পুলিশ জোরালোভাবে তদন্ত করে দেখছে ।

পোস্ট শেয়ার করুন

কমলগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত ॥ অজ্ঞাত ৪শ জনকে আসামী করে থানায় মামলা

আপডেটের সময় : ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যাক্তি (৫০) নিহত হয়েছেন। শনিবার ২০ জুলাই রাত ১০ টার দিকে রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রোববার অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

দেওড়াছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুবোধ কুর্মী জানান, দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় স্থানীয় লোকজন সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে অজ্ঞাত পরিচয়ের ঐ ব্যক্তিকে আটক করে তার নাম পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় জিজ্ঞেস করার পর অসংলগ্ন কথাবার্তায় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে চা বাগান শ্রমিকরা চা বাগান অফিসে নিয়ে আসেন। এতে কয়েক শত শ্রমিক বিক্ষুদ্ধ হয়ে অফিস চত্বরে ঢুকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। পরে দেওড়াছড়া চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মোস্তফা জামানের নির্দেশনায় এ চা বাগানের মেডিক্যাল সুপারভাইজার গোপাল দেব তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে  নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে  মৃত ঘোষনা করেন।  খবর পেয়ে রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত লোকটি এ এলাকার ছিল না। চা শ্রমিকরা সন্দেহজনক ঘোরাফেরায় তাকে আটক করে নাম পরিচয় জানতে চাইলে সে সঠিক জবাব দিতে পারেনি। পরে ছেলে ধরা সন্দেহে গণ পিটুনিতে সে আহত হলে গুরুতর আহতাবস্থায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে সে মারা যায়। থানার ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় অঞ্জাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে লাশটির ময়নাতদন্ত করানো হচ্ছে। এখন লাশের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করছি। পরিচয় না পাওয়া গেলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে লাশটির সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনাটির রহস্য জানার জন্য পুলিশ জোরালোভাবে তদন্ত করে দেখছে ।