ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির দোয়া দ্বিতীয়বারের মতো পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও কমলা লেবুর দেশে দুই দিন শহীদ জিয়াউর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে দোয়া মাহফিল লাউয়াছড়া বনে অল্পের জন্যে রক্ষা পেল ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ইতালির মিলানে কনস্যুলেটের আয়োজনে বৈশাখী অনুষ্ঠান সম্পন্ন সভাপতি আবুল হাসনাত ও মাসুম আহমদ কে সম্পাদক করে গ্লোবাল জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন পর্তুগাল কমিটি গঠন হাজীপুর বিএনপির অন্তর্দন্দে : ইউনিয়ন ছাত্রদলের ২ নেতা কারাগারে আহবায়ক কমিটি গঠনের পর শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রথম সভা ১লা জুন হাজীপুর বিএনপির সম্মেলন, ৩ পদে ৮ জনের মনোনয়ন দাখিল

জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, বাবাকে আয়শা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • / ৫১১ টাইম ভিউ

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই এদিকে রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমাযুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রিফাত ফরাজী জবানবন্দি দিয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, বাবাকে আয়শা

আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই এদিকে রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমাযুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রিফাত ফরাজী জবানবন্দি দিয়েছেন।