ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

রোজার জমজমাট চকের ইফতার বাজার

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭
  • / ২২৯৯ টাইম ভিউ

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমাবারে জমজমাট পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার হই-হুল্লোড় চকবাজার শাহী মসজিদের সামনের রাস্তায়। জুমার নামাজের পর থেকেই এখানকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে বাহারি ইফতারের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিক্কাসহ নানা পদে সাজানো হয়েছে টেবিল। কাবাবের বাইরে আছে ডিম চপ, কোয়েল, কবুতরের রোস্ট। শাহী হালিম, শাহী দইবড়ার পাশাপাশি আলুরচপ, পিয়াজু, বেগুনী, পাকোরা, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, বিফ রোল। মোগল বা নবাবী আমলের খাবারের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড আইটেম। রোজাদারের তৃষ্ণা মেটাতে রয়েছে লাবাং, মাঠা। আর সঙ্গে আছে পেশতা শরবত আর লাচ্ছি। মৌসুমি ফলের শরবতেরও রয়েছে বিশাল আয়োজন। ইফতারের আইটেম হিসেবে আরো আছে ফলের সমাহার। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের ভীর রয়েছে এখানে। মোহাম্মদপুর থেকে আজহার উদ্দিন চকবাজার শাহী মসজিদে ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়ে ইফতার কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ছোট বেলায় পুরান ঢাকায় থাকতাম। এখনো রমজান মাসের প্রত্যেক শুক্রবার চকবাজার থেকে ইফতার নিয়ে যাই পরিবারের অন্যদের জন্য। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের শক্কু মিয়ার গলির বাসিন্দা ফজলুর রহমানকে দেখা যায় রাস্তার পাশে খোলা খাবার কিনছেন। খোলা খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ ইফতার বাজার থেকে খাবার কিনি রমাজানের প্রত্যেকে দিন। এ পর্যন্ত আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। মসজিদের পাশেই কাবাব বিক্রেতা সুলতান মিয়াকে খোলা খাবার বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাবার ঢেকে রাখলে নষ্ট হবে। তাই খোলা রাখা হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

রোজার জমজমাট চকের ইফতার বাজার

আপডেটের সময় : ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমাবারে জমজমাট পুরান ঢাকার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতার হই-হুল্লোড় চকবাজার শাহী মসজিদের সামনের রাস্তায়। জুমার নামাজের পর থেকেই এখানকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে বাহারি ইফতারের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিক্কাসহ নানা পদে সাজানো হয়েছে টেবিল। কাবাবের বাইরে আছে ডিম চপ, কোয়েল, কবুতরের রোস্ট। শাহী হালিম, শাহী দইবড়ার পাশাপাশি আলুরচপ, পিয়াজু, বেগুনী, পাকোরা, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, বিফ রোল। মোগল বা নবাবী আমলের খাবারের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড আইটেম। রোজাদারের তৃষ্ণা মেটাতে রয়েছে লাবাং, মাঠা। আর সঙ্গে আছে পেশতা শরবত আর লাচ্ছি। মৌসুমি ফলের শরবতেরও রয়েছে বিশাল আয়োজন। ইফতারের আইটেম হিসেবে আরো আছে ফলের সমাহার। পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের ভীর রয়েছে এখানে। মোহাম্মদপুর থেকে আজহার উদ্দিন চকবাজার শাহী মসজিদে ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়ে ইফতার কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ছোট বেলায় পুরান ঢাকায় থাকতাম। এখনো রমজান মাসের প্রত্যেক শুক্রবার চকবাজার থেকে ইফতার নিয়ে যাই পরিবারের অন্যদের জন্য। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের শক্কু মিয়ার গলির বাসিন্দা ফজলুর রহমানকে দেখা যায় রাস্তার পাশে খোলা খাবার কিনছেন। খোলা খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ ইফতার বাজার থেকে খাবার কিনি রমাজানের প্রত্যেকে দিন। এ পর্যন্ত আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। মসজিদের পাশেই কাবাব বিক্রেতা সুলতান মিয়াকে খোলা খাবার বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাবার ঢেকে রাখলে নষ্ট হবে। তাই খোলা রাখা হয়েছে।