ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযুদ্ধে বাবা ও ভাই হারানো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৫৫৮ টাইম ভিউ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এমনকী ভাষাসৈনিকদের নাম উঠে এসেছে। বাদ পড়েছে চিহ্ণিত রাজাকারেরা। বরিশালের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নামও এসেছে রাজাকারের তালিকায়।

রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকার বরিশাল বিভাগের ২২নং পাতার ৯৪ নম্বর রাজাকার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তার পিতার নাম জীতেন্দ্র দত্ত এবং আগরপুর রোডের বাসিন্দা উল্লেখ করা হয়। বরিশালের সুপরিচিত সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মিহির লাল দত্ত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পিতা জিতেন্দ্র লাল দত্ত এবং মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

রাজাকারের তালিকায় পিতার নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নং- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সাময়িক সনদ নং- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এটা জাতির জন্য অপমানের।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’

পোস্ট শেয়ার করুন

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযুদ্ধে বাবা ও ভাই হারানো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম

আপডেটের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এমনকী ভাষাসৈনিকদের নাম উঠে এসেছে। বাদ পড়েছে চিহ্ণিত রাজাকারেরা। বরিশালের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নামও এসেছে রাজাকারের তালিকায়।

রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকার বরিশাল বিভাগের ২২নং পাতার ৯৪ নম্বর রাজাকার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তার পিতার নাম জীতেন্দ্র দত্ত এবং আগরপুর রোডের বাসিন্দা উল্লেখ করা হয়। বরিশালের সুপরিচিত সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মিহির লাল দত্ত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পিতা জিতেন্দ্র লাল দত্ত এবং মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

রাজাকারের তালিকায় পিতার নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নং- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সাময়িক সনদ নং- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এটা জাতির জন্য অপমানের।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’