ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার ইতালির বলোনিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযুদ্ধে বাবা ও ভাই হারানো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৪৭২ টাইম ভিউ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এমনকী ভাষাসৈনিকদের নাম উঠে এসেছে। বাদ পড়েছে চিহ্ণিত রাজাকারেরা। বরিশালের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নামও এসেছে রাজাকারের তালিকায়।

রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকার বরিশাল বিভাগের ২২নং পাতার ৯৪ নম্বর রাজাকার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তার পিতার নাম জীতেন্দ্র দত্ত এবং আগরপুর রোডের বাসিন্দা উল্লেখ করা হয়। বরিশালের সুপরিচিত সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মিহির লাল দত্ত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পিতা জিতেন্দ্র লাল দত্ত এবং মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

রাজাকারের তালিকায় পিতার নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নং- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সাময়িক সনদ নং- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এটা জাতির জন্য অপমানের।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’

পোস্ট শেয়ার করুন

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযুদ্ধে বাবা ও ভাই হারানো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম

আপডেটের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এমনকী ভাষাসৈনিকদের নাম উঠে এসেছে। বাদ পড়েছে চিহ্ণিত রাজাকারেরা। বরিশালের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নামও এসেছে রাজাকারের তালিকায়।

রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকার বরিশাল বিভাগের ২২নং পাতার ৯৪ নম্বর রাজাকার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা মিহির লাল দত্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তার পিতার নাম জীতেন্দ্র দত্ত এবং আগরপুর রোডের বাসিন্দা উল্লেখ করা হয়। বরিশালের সুপরিচিত সাংবাদিক মিহির লাল দত্ত একাধারে কবি, নাট্যকার, গীতিকার, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ। মিহির লাল দত্ত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পিতা জিতেন্দ্র লাল দত্ত এবং মেজ ভাই সুবীর দত্ত পান্থ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

রাজাকারের তালিকায় পিতার নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিহির লাল দত্তের ছেলে শুভব্রত দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা একজন ভাষা সৈনিক এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং- ২৮৯ ২১/০৫/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নং- ০৬০১০১১০৬০। এছাড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সাময়িক সনদ নং- ম২৮৬১৬। তার নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। যারা এই তালিকার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। এটা জাতির জন্য অপমানের।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’