ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

মাথায় ফুটবল নিয়ে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে মৌলভীবাজারে!

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১২২৪ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: মাথার ওপর একটা বড়সড় ফুটবল। স্থির যাঁর মাথার ওপর, তাঁর দুই হাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালাছেন। মোটামুটি গতিতে মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছেন তিনি।সোমবার(৭ জানুয়ারি)ভোরে ঢাকা থেকে সিলেটে যাবার উদ্দেশ্যে রইনা দেন।

এমন ফুটবল মাথায় নিয়ে চলা বাইকচালককে দেখা গেল মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল সড়কের সড়ক বভন মোড়ে।

ইশারা দিয়ে দাঁড় করানো হলো তাঁকে। মোটরসাইকেলে হুট করে ব্রেক কষলেন। মাথা থেকে ফুটবল একচুলও নড়ল না। আশপাশের কেউ একজন বলে উঠল, বলের সঙ্গে ‘চুম্বক’ আছে। এই চুম্বক-রহস্য জানতে চাওয়া হলো তাঁর কাছে।

ফুটবল নামিয়ে হাতে দিয়ে বললেন, ‘দেখেন তো চুম্বক আছে নাকি? আমার মাথাটাও দেখেন। চেক করেন।’
তাঁর দেওয়া ফুটবল হাতে নিয়ে কথা হলো। ভদ্রলোকের নাম মাসুদ রানা। এলাকায় মানুষ তাঁকে নাম দিয়েছে ‘ফুটবল-মানব’। খুলনার ডুমুরিয়া থানার বরুনা গ্রামের বাসিন্দা

তার সাথে কথা বলে জানাযায়, গ্রামে মা আছেন, দুই সন্তান আছে। কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করতে পারেন না, এটা একটা আক্ষেপ। উল্টো শুধু খেলা দেখানোর জন্য বাড়ির জমি বিক্রি করে মোটরসাইকেলটা কিনেছেন।
স্বপ্ন দেখেন গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নিজের নামটা লেখানোর। তিনি দাবি করলেন, ফুটবল মাথায় নিয়ে ৬৯ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে পারেন, যা এর আগে নাকি কেউ করেনি।

কথা শেষ করার আগে বলেন, ‘এত কিছু শিখতে পেরেছি খুলনার দীন মোহাম্মদ স্যারের চেষ্টায়। উনি আমাকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়েছেন। কিছু লিখলে তাঁর নামটা দিয়েন। আর ওয়ালটনের ডন স্যারের নামটা দিয়েন। তাঁর জন্যই আমি ঢাকা শহরে থাকতে পারি।কথা শেষ করে ফুটবল মাথায় নিয়ে মোটরসাইকেল চালু করেন সিলেটের উদ্দেশ্যে।

 

পোস্ট শেয়ার করুন

মাথায় ফুটবল নিয়ে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে মৌলভীবাজারে!

আপডেটের সময় : ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: মাথার ওপর একটা বড়সড় ফুটবল। স্থির যাঁর মাথার ওপর, তাঁর দুই হাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালাছেন। মোটামুটি গতিতে মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছেন তিনি।সোমবার(৭ জানুয়ারি)ভোরে ঢাকা থেকে সিলেটে যাবার উদ্দেশ্যে রইনা দেন।

এমন ফুটবল মাথায় নিয়ে চলা বাইকচালককে দেখা গেল মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল সড়কের সড়ক বভন মোড়ে।

ইশারা দিয়ে দাঁড় করানো হলো তাঁকে। মোটরসাইকেলে হুট করে ব্রেক কষলেন। মাথা থেকে ফুটবল একচুলও নড়ল না। আশপাশের কেউ একজন বলে উঠল, বলের সঙ্গে ‘চুম্বক’ আছে। এই চুম্বক-রহস্য জানতে চাওয়া হলো তাঁর কাছে।

ফুটবল নামিয়ে হাতে দিয়ে বললেন, ‘দেখেন তো চুম্বক আছে নাকি? আমার মাথাটাও দেখেন। চেক করেন।’
তাঁর দেওয়া ফুটবল হাতে নিয়ে কথা হলো। ভদ্রলোকের নাম মাসুদ রানা। এলাকায় মানুষ তাঁকে নাম দিয়েছে ‘ফুটবল-মানব’। খুলনার ডুমুরিয়া থানার বরুনা গ্রামের বাসিন্দা

তার সাথে কথা বলে জানাযায়, গ্রামে মা আছেন, দুই সন্তান আছে। কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করতে পারেন না, এটা একটা আক্ষেপ। উল্টো শুধু খেলা দেখানোর জন্য বাড়ির জমি বিক্রি করে মোটরসাইকেলটা কিনেছেন।
স্বপ্ন দেখেন গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নিজের নামটা লেখানোর। তিনি দাবি করলেন, ফুটবল মাথায় নিয়ে ৬৯ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে পারেন, যা এর আগে নাকি কেউ করেনি।

কথা শেষ করার আগে বলেন, ‘এত কিছু শিখতে পেরেছি খুলনার দীন মোহাম্মদ স্যারের চেষ্টায়। উনি আমাকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়েছেন। কিছু লিখলে তাঁর নামটা দিয়েন। আর ওয়ালটনের ডন স্যারের নামটা দিয়েন। তাঁর জন্যই আমি ঢাকা শহরে থাকতে পারি।কথা শেষ করে ফুটবল মাথায় নিয়ে মোটরসাইকেল চালু করেন সিলেটের উদ্দেশ্যে।